Saturday, November 26, 2016

‘আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কে মিথ্যাচারিতা


আশাদ্দুদ দরজার জাহিল কাযযাবুদ্দীন তার ‘ভ্রান্ত মতবাদে’ লিখেছে, “তিনি স্বপ্নে দেখেছেন ফুরফুরার হযরত মাওলানা আবূ বকর সিদ্দীকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশিষ্ট খলীফা মাওলানা রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি  তিনি এক মাহফিলে ওয়াজ করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি সমবেত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ দেখ আমি আগে মাসিক আল বাইয়্যিনাত পড়তাম না। আমাকে সর্বপ্রথম এটা পড়তে বললেন হাদীছের বিখ্যাত ইমাম আল্লামা দাইলামী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তারপর বললেন খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি। অতঃপর আমি এক বন্ধুসহ গেলাম মদীনায় প্রিয় নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিয়ারতে, নবীজি তিনিও আমাকে বললেন ‘আল বাইয়্যিনাত’ পড়তে। এরপর  থেকে আমি ‘আল বাইয়্যিনাত’ পড়ে থাকি।”
উক্ত স্বপ্ন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে কাযযাবুদ্দীন লিখেছে, “মৃত্যুর পর আম্বিয়ায়ে কেরাম কবরে নামায পড়েন বলে হাদীছ শরীফ-এ প্রমাণ রয়েছে। এছাড়া কবরে কোন ব্যক্তি পত্র-পত্রিকা তো দূরের কথা কুরআন শরীফ-কিতাব পাঠ করে এমন কোন প্রমাণও কুরআন শরীফ-হাদীছ শরীফ-এর কোথাও নেই।”

‘বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ’ সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা


আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কাযযাবুদ্দীন তার কলঙ্কিত রেসালা “ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত সম্পর্কে তিনি এত বাড়াবাড়ি করেছেন যে, আল বাইয়্যিনাত জুলাই ’৯৯ সংখ্যায় ১৩৪ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, আল্লামা রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মছনবী শরীফকে যেমন ফার্সী ভাষায় কুরআন শরীফ বলা হয়, তদ্রুপ আল বাইয়্যিনাতও যেন ‘বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ।”
উক্ত বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে কাযযাবুদ্দীন লিখেছে, “এক দিকে তিনি আল বাইয়্যিনাত পত্রিকাকে কুরআন শরীফ বলে আখ্যায়িত করেছেন, আবার আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার বিরোধিতা করলে ঈমান হারা হয়ে যাওয়ার ধারণা প্রদান করেছেন। এর অর্থ হলো তিনি এই পত্রিকাকে প্রকৃত অর্থেই কুরআনের সমতুল্য আখ্যায়িত করতে চান।”

বুযূর্গদের প্রশংসা করা সম্পর্কে মিথ্যাচারিতা

কাযযাবুদ্দীন লিখেছে, “………. তিনি বিভিন্ন বুযূর্গ সম্পর্কে অতি উচ্চ মাত্রায় বাড়াবাড়ি করে কিছু প্রশংসা করেছেন। ….. যেমন তিনি বলেন,
১.    কেউ যদি হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত মাকতুবাত শরীফ পড়ে (পড়াকালীন সময়ে) যদিও সে নবী নয়, তবুও নবীদের দফতরে তার নাম থাকে। ………।”
২.    রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি নিজেকে ‘গাউছুল আ’যম দাবি করেন। আর উনার পত্রিকায় গাউছুল আ’যম বড় পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে বলা হয়েছে, গাউছুল আ’যম সাইয়্যিদুল আওলিয়া মুহিউদ্দীন বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, “কোন চাঁদ উদিত হয় না কোন সূর্য অস্ত যায় না আমার অনুমতি ব্যতীত” … অতঃপর একটু সামনে গিয়ে রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিও সেরূপ ক্ষমতা রাখেন সেদিকে ইঙ্গিত করে পত্রিকাটিতে লিখা হয়েছে, “উল্লেখ্য এ ধরনের আখাছ্ছুল খাছ মর্যাদা-মর্তবার ওলী আল্লাহর ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সমাসীন …… রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।” (আল বাইয়্যিনাত ৭১তম সংখ্যা ১৩৯ পৃষ্ঠা)

জমহুরে উম্মতের খিলাফ ফতওয়া প্রদান সম্পর্কে

কাযযাবুদ্দীন সর্বশেষে তার জিহালতীর সবটুকু উদ্গীরণ করে দিয়ে তার কলঙ্কিত ও গুমরাহীমূলক রেসালা “ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “উল্লেখ্য রাজারবাগ শরীফ এর মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মুজতাহিদ হিসেবে জমহুরে উম্মতের খিলাফ অনেক মাসায়েলও উদ্ভাবন করেছেন। যেমন (১) চার কল্লী টুপি পরিধান করা খাছ সুন্নত (২) মুসলমানদের উপর চরম ধরনের বিপদাপদ আসলে ফজরের নামাযে কুনূতে নাযেলা পাঠ করা জায়িয নয়, এরূপ কুনূতে নাযিল পাঠ করা হলে নামায ফাসেদ হয়ে যায় (৩) নামের শুরুতে বহু খেতাব ব্যবহার করা সুন্নত। (৪) ১২ রবিউল আউয়াল মুসলমানদের জন্য বড় ঈদ ইত্যাদি।”
মিথ্যাচারিতার খণ্ডমূনলক জবাব
আশাদ্দুদ দরজার জাহিল কাযযাবুদ্দীনের উক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রথমেই মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি এজন্য যে, কাযযাবুদ্দীন অনিচ্ছাসত্ত্বে হলেও রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে ‘মুজতাহিদ’ হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। যদিও তার এ স্বীকার করে নেয়া বা অস্বীকার করাতে আমাদের কিছুই যায় আসে না। আরো শুকরিয়া জানাই এজন্য যে, কাযযাবুদ্দীন নিজেই প্রমাণ করলো যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কর্তৃক ইজতিহাদকৃত উল্লিখিত মাসয়ালা চারটি সঠিক। কারণ, সে উক্ত মাসয়ালা ৪টি উল্লেখ করেছে কিন্তু তা দলীল দ্বারা খণ্ডন করে জমহুর উম্মতের খিলাফ প্রমাণ করার দুঃসাহস তার হয়নি। সে ভাল করেই জানে যে, উল্লিখিত মাসয়ালাগুলো খণ্ডন করার মত যোগ্যতা কাযযাবুদ্দীন তো দূরের কথা, পৃথিবীর কোন আলিমেরই নেই। তাই সে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র “জমহুরে উম্মতের খিলাফ” বলেই ক্ষান্ত হয়েছে।

মু’তাযিলা আক্বীদা সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

মহা কাযযাব সুলাইমান আলী ওরফে মুসাইলাম তার বিভ্রান্তিকর রেসালা “আদ-দ্বীনে” আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছে যে, “… যারা মু’মিন থেকে কোন গুনাহের কাজ সংঘটিত হলেই দ্বীনের থেকে খারিজ বা কাফের হয়ে যায় মনে করে …. তারাই গুমরাহ ফেরক্বা।
… অতএব, মীলাদ ক্বিয়াম অস্বীকার করা, লংমার্চে নেতৃত্ব দেয়া, হরতাল করা, ছবি তোলা, মহিলা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করা ইত্যাদি জনাব … সাহেবের দৃষ্টিতে হারাম বা গুনাহে কবীরাহ। আর এ গুনাহে লিপ্ত হওয়াকে কুফরী বা দ্বীন থেকে খারিজ হওয়ার ফতোয়া প্রদান করাই প্রমাণ করে যে, তিনি আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত নন বরং তিনি মু’তাযিলা বা খারিজী ফিরকার অনুসারী তথা বাতেল ফেরক্বার অন্তর্ভুক্ত।” নাঊযুবিল্লাহ!

বাবরী মসজিদ, ফতওয়া নিষিদ্ধকরণ ইত্যাদি সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা


মহা কাযযাব তার ভ্রান্ত রেসালা ‘আদ দ্বীনে’ রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার প্রতি আরেকটি তোহমত দিয়েছে যে, … বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা, ইহুদী, মহিলা কর্তৃক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার ব্যঙ্গ পোস্টারিং করা, ইরাক ও আফগান যবর দখল করা ও গণহত্যা চালানো এবং আদালত কর্তৃক সবধরনের ফতওয়া নিষিদ্ধ করণের কোন প্রতিবাদ নাকি রাজারবাগ শরীফ-এর পক্ষ থেকে করা হয় নাই।” নাঊযুবিল্লাহ
মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব
মহা কাযযাব মুসাইলামের উপরোক্ত তোহমতের জবাবে বলতে হয় যে, ক্বওমী বা খারিজী বলে একটি ধারা এদেশে বিরাজমান। হালে এ ধারাটির তবিয়ত দেখে প্রতিভাত হয় যে, ঐ প্রবাদ এদের জন্য যথাযথভাবে প্রযোজ্য-‘আলিমরা মাটির নিচে গেছে আর মুর্খরা সব জায়গা দখল করে নিয়েছে।’

কাযযাবগং তথা উলামায়ে সূ’দের মিথ্যাচারিতার দাঁতভাঙ্গা জবাব ২(৪)


বাতিলপন্থিরা এ পর্যন্ত বহু মিথ্যা রটনা বা অপপ্রচারই করেছে। তবে তাদের প্রতিটি মিথ্যা অপপ্রচারেরই দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হয়েছে বা রয়েছে। উক্ত জবাবের কোন খ-নমূলক জবাব না দিতে পেরে তারা বাধ্য হয়েছে “মিথ্যার আশ্রয় নিতে”।
ইদানিংকালে ঢাকার  তথাকথিত মুফতী বোর্ড ও মারকাজুল ইসলামী-এর তথাকথিত চেয়ারম্যান ও মুফতী … শামছুল হক “বেশরা…দের গোমর ফাঁক” নামে একটি রেসালা প্রকাশ করেছে এবং মুনাফিক গোষ্ঠী ও বাতিলপন্থী ওহাবী, খারিজী, জামাতিরা কয়েকটি লিফলেট প্রচার করেছে। সেগুলোতে যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাব “শামছু ও মুনাফিক গোষ্ঠীরা রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতা করতে গিয়ে যে সকল মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছে, তা তাদেরকে আশাদ্দুদ দরজার জাহিল, যুগের আবূ জাহিল, গোমরাহ ও দাজ্জালে কাযযাব হিসেবেই সাব্যস্ত করেছে।

প্রসঙ্গ- হক্কানী পীর বা আলিম”

মিথ্যাবাদী, তথাকথিত মুফতী, স্বঘোষিত মুশরিক শামছুল হক তার কলঙ্কিত রেসালা.. “বেশরা…দের গোমর ফাঁক”-এর ৮৩ পৃষ্ঠায় লিখেছে “…. হক্কানী পীর নয়। আর ৮৪ পৃষ্ঠায় লিখেছে…..আলিম নয়।”
“খণ্ডনমূলক জবাব”
মিথ্যাবাদী, বদচরিত্র তথাকথিত মুফতী স্বঘোষিত মুশরিক তার উক্ত বক্তব্যের স্বপক্ষে কোন দলীলই পেশ করতে পারেনি, অর্থাৎ রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি কেন বা কি কারণে “হক্কানী পীর বা আলিম নন” তা মোটেও উল্লেখ করেনি। কাজেই কেউ হক্ব বা না হক্ব, আলিম বা জাহিল হওয়ার জন্য কারো মুখের কথা দলীল নয়। বরং দলীল হচ্ছে, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও কিয়াস। কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াসে হক্কানী পীর বা আলিমের যে সংজ্ঞা বা পরিচিতি উল্লেখ করা হয়েছে। এর সাথে যাদের মিল থাকবে তারা অবশ্যই হক্কানী পীর বা আলিম যদিও মিথ্যাবাদী শামছুল হকের ন্যায় আরো অনেকেই তা অস্বীকার করে। আর উক্ত সংজ্ঞায় যারা পড়বে না তারা কস্মিনকালেও হক্কানী পীর বা আলিম নয়, যদিও মিথ্যাবাদী শামছুল হকের ন্যায় আরো অনেকেই তাদেরকে হক্কানী বলে মুখে ফেনা তুলে।

প্রসঙ্গ: বিদয়াতী”

মিথ্যাবাদী, বিদয়াতী, জাহিল, তথাকথিত মুফতী, স্বঘোষিত মুশরিক “শামছু…. আরো লিখেছে, “তাঁর আল বাইয়্যিনাত পত্রিকা পড়লে জানা যায় যে তিনি একজন পাক্কা বিদয়াতী।” নাঊযুবিল্লাহ!
“খণ্ডনমূলক জবাব”
তথাকথিত মুফতী, স্বঘোষিত মুশরিক শামছু মিয়ার মিথ্যাচারিতা, জিহালতী ও প্রতারণাময় চেহারা এখানেও প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে। কারণ সে রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে ‘বিদয়াতী’ বলে মিথ্যা তোহমত দিয়েছে, অথচ তার কোন কাজটা বিদয়াত তা উল্লেখ করেনি বা করতে পারেনি।
মূলত তথাকথিত মুফতী শুধু নয় তার সকল গোষ্ঠীর প্রতি চ্যালেঞ্জ রইল তারা যদি রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার একটি কাজও কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের দৃষ্টিতে বিদয়াত বা বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ প্রমাণ করতে পারে, তবে তাদেরকে “একশ কোটি টাকা” পুরস্কার দেয়া হবে। কিয়ামত পর্যন্ত কোশেশ করেও তারা তা প্রমাণ করতে পারবেনা। ইনশাআল্লাহ।

প্রসঙ্গঃ ‘আল বাইয়্যিনাত’ বানান

প্রসঙ্গঃ ‘আল বাইয়্যিনাত’ বানান
মিথ্যাবাদী, প্রতারক, জাহেল মুফতীর খোলশে ভুয়া মুফতী, স্বঘোষিত মুশরিক “শামছু….” অতঃপর লিখেছে “….. তার পত্রিকার নামটি অশুদ্ধ। নাম লিখেছে “বাইয়্যিনাত” অথচ ‘ই’ অক্ষরটি বাদ দিয়ে “বায়্যিনাত” লিখলে শুদ্ধ হত।”
“খণ্ডনমূলক জবাব”
গণ্ডমূর্খ, ধোঁকাবাজ, মিথ্যাবাদী স্বঘোষিত মুফতী “শামছু…”র উপরোক্ত বক্তব্য থেকেই আঁচ করা যায় যে, সে কত নাম্বারের মুফতী আর কোন ক্লাসের মাওলানা। তার যৎসামান্য জাহেরী ইলমের দৌড় শব্দের বানান পর্যন্তও যেতে পারেনি। সে আবার ‘ইলমে লুদুনীর’ খবর নেয়। ঠিক আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর নেয়ার মত। “বাইয়্যিনাত” বানানটি ‘ই’  দিয়ে লিখলে অশুদ্ধ হবে আর ‘ই’ বাদ দিয়ে লিখলে শুদ্ধ হবে তার একথার দলীল কোথায়? কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসে তথা দুনিয়ার কোন কিতাবেই একথা উল্লেখ নেই। হ্যাঁ “শামছু…..” যদি কাদিয়ানী আর বাহাই এর ন্যায় নবী হওয়ার দাবিদার হয়ে থাকে তবে তার প্রতি নাযিলকৃত নতুন কিতাবে একথা উল্লেখ থাকতেও পারে। কে জানে! হয়তোবা এরূপ হতেও পারে। নচেৎ সে বাতিল ফিরক্বা শিয়া ও আগাখানী, বাহাই, এর মাঝখানে ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হক্কানী ওলীআল্লাহ যামানার মুজাদ্দিদ রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিষয়টি ঢুকাবে কেন? তাছাড়া সে বাহাই ও আগাখানীদের ব্যাপারে লিখলো মাত্র ৪টি শব্দ এক লাইনও লিখলো না, অথচ রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে লিখলো প্রায় এক পৃষ্ঠা। যদিও সবই মিথ্যা মনগড়া, বানানো, সাজানো, উদ্দেশ্যমূলক ও দলীলবিহীন।

প্রসঙ্গ- আল বাইয়্যিনাতে ভুল

হক্বের বিরোধিতাকারী বা হক্ব ধ্বংসকারী شمص الحق (শামছুল হক্ব) অতঃপর লিখেছে- “…..তাঁর পত্রিকার ভিতরে যে কত ভুল তার ইয়ত্তা নেই। … তার ক্যাসেট শুনেছি। তাঁর মাসিক পত্রিকা পড়েছি। তাঁর ২/৪টি প্রচার পত্র ও বই পড়েছি।”
“খণ্ডনমূলক জবাব”
মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে লক্ষ-কোটি শুকরিয়া এজন্য যে, মিথ্যাবাদী, মালউন “শামছু…” আল বাইয়্যিনাতে ভুল আছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করলেও প্রমাণস্বরূপ আল বাইয়্যিনাতের একটি ভুলও সে উল্লেখ করতে পারেনি। ইনশাআল্লাহ ক্বিয়ামত পর্যন্ত কোশেশ করলেও সে তা পারবে না।
তাই মিথ্যাবাদী, বদ চরিত্র স্বঘোষিত মুশরিক “শামছু…”-এর প্রতি চ্যালেঞ্জ রইল, সে যদি কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও ক্বিয়াসের দৃষ্টিতে আল বাইয়্যিনাতের একটি ভুলও ধরে দিতে পারে তবে তাকে ‘এক কোটি টাকা’ পুরস্কার দেয়া হবে।
মূলত এই মিথ্যাবাদী শামছু….. গংদের প্রতি সেই শুরু থেকেই মাসিক আল বাইয়্যিনাত, লিফলেট বা প্রচার পত্র কিতাবাদি ও মাহফিলের মাধ্যমে “প্রকাশ্য বাহাছের” চ্যালেঞ্জ দেয়া হচ্ছে। অথচ তারা সেই বাহাছের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ না করে আল বাইয়্যিনাতে ভুল আছে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালায়। কারণ তারা ভাল করেই জানে যে, আসলে আল বাইয়্যিনাতে কোন ভুল নেই। আল বাইয়্যিনাতে যা লেখা হয় তা দলীল ভিত্তিকই লেখা হয়। বস্তুত মিথ্যাবাদী “শামছু…..”  গংদের মধ্যেই রয়েছে অসংখ্য ভুল। তাই তারা বাহাছে আসতে বা বাহাছের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সাহস পায় না। সুতরাং মিথ্যাবাদী “শামছু…” “আল বাইয়্যিনাতে ভুল আছে, বলে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণরূপেই ডাহা মিথ্যা, মনগড়া ও কল্পনা প্রসূত। সে যদি সত্যবাদী হয়ে থাকে তবে যেন আমাদের দেয়া প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে। অথবা প্রমাণ করে দেয় যে আল বাইয়্যিনাতের কোন বিষয়টা ভুল। নচেৎ প্রমাণিত হবে যে, সে আসলেই ডাহা মিথ্যাবাদী ধোঁকাবাজ ও প্রতারক ভণ্ড তো অবশ্যই।

প্রসঙ্গ : “ক্বাইয়্যূমুয যামান লক্বব”


 মিথ্যাবাদী স্বঘোষিত মুশরিক শামছু..র আরেকটি জিহালতপূর্ণ বক্তব্য হলো-“তাঁর নামের পূর্বে যে লক্ববগুলি লাগানো হয় তার কোন কোনটি শিরক পর্যায়ের। যেমন তাঁর নামে কাইয়্যুমুয যামান লেখা আছে। “ক্বাইয়্যূমুয যামান” হলেন আল্লাহ। ..
 “খণ্ডনমূলক জবাব”
 মিথ্যাবাদী, স্বঘোষিত মুশরিক “শামছু” এবার নিজেই নিজেকে আশাদ্দুদ দরজার জাহিল ও মুশরিক বলে প্রমাণ করলো। কারণ তার জিহালতপূর্ণ বক্তব্য হলো- “মহান আল্লাহ পাক উনার শানে যে লক্বব ব্যবহৃত হয় তা বান্দার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা শিরক। তার এ ফতওয়া মুতাবিক প্রথমত সে নিজে ও তার গুরুরা মুশরিক হিসেবে সাব্যস্ত হয়। দ্বিতীয়ত সে পূর্ববর্তী অনেক অনুসরণীয় ও বরেণ্য হক্কানী-রব্বানী ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম ও উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে মুশরিক সাব্যস্ত করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
 মিথ্যাবাদী শামছু ….র ফতওয়া মতে ‘শামছু’ নিজেই ‘মুশরিক’

প্রসঙ্গ : কদুকে অপছন্দ করা

মিথ্যাবাদী, জাহিল, প্রতারক, ধোঁকাবাজ, ভণ্ড, স্বঘোষিত মুশরিক “শামছু…” অতঃপর আরো লিখেছে, উনার পত্রিকায় লিখেছে যদি কেউ বলে যে, আমি কদুকে পছন্দ করিনা তাহলে কাট্টা কাফির হয়ে যাবে এ ফতওয়াটি কোন মুজতাহিদ ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তা লিখেননি তার ফতওয়ায়।

“খণ্ডনমূলক জবাব”
কাযযাবে আ’যম, জাহিলে আকবর, প্রখ্যাত ভণ্ড, স্বঘোষিত মুশরিক ‘শামছু…’ তার জিহালতীর সবটুকুই প্রকাশ করে দিয়েছে, কদু সম্পর্কিত ফতওয়ার সমালোচনা করে। জাহিল প্রশ্ন করেছে এ ফতওয়াটি কোন ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার?
মূলত ‘কদুকে অপছন্দ করলে কাফির হয়ে যাবে’ এ ফতওয়া দেয়ার জন্য ইমাম ও মুজাহিদ হওয়ার প্রয়োজন নেই। সামান্য ইলম রয়েছে এরূপ ব্যক্তিও ফতওয়া দিবে যে, কদুকে অপছন্দ করা কুফরী। কেননা একজন সাধারণ মুসলমানও জানে যে, পবিত্র সুন্নত উনাকে অস্বীকার, অবজ্ঞা ও অপছন্দ করা নিঃসন্দেহে কুফরী। যে ব্যক্তি কোন সুন্নত উনাকে অস্বীকার, অবজ্ঞা ও অপছন্দ করবে সে অবশ্যই কাট্টা কাফির হয়ে যাবে। বিশ্বের সকল বড় বড় ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাই এ ফতওয়া দিয়েছেন।

ছিদ্দীক্বে আকবর-এর চেয়েও মাক্বাম ঊর্ধ্বে হওয়া সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

কাযযাবুদ্দীন তার “ভ্রান্ত মতবাদে” মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ৭৩তম সংখ্যার ‘মতামত বিভাগে’ প্রদত্ত একটি বক্তব্য কাঁটছাট করে উপস্থাপন করেছে। যা দ্বারা সে প্রমাণ করার অপচেষ্টা করেছে যে, “রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি নিজেকে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন।” (নাঊযুবিল্লাহি মিন কাযযাবুদ্দীন)
যেমন সে লিখেছে, “………. কিন্তু রাজারবাগের মুর্শিদ ক্বিবলা (আলাইহিস সালাম) এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেন। যেমন উনার আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় লেখা হয়েছেঃ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেনঃ- “আমি উরুয করতে করতে ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার মাক্বাম অতিক্রম করলাম।” ……….. এরপর পত্রিকাটিতে মন্তব্য করা হয়েছে যে, দৃশ্যতঃ এখানেও হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার চেয়ে উনার মর্যাদা বেশি প্রকাশ পায়। অতঃপর কাযযাবুদ্দীন উক্ত বক্তব্যের ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে লিখেছে, “……….. হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এমন কথা বলেছেন কিনা তা যথেষ্ট সন্দেহের বিষয়। বস্তুতঃ এসব বুযূর্গদের সম্পর্কে অতি ভক্তদের দ্বারা এমন অনেক কিছু রটানো হয়েছে যা সত্য বলে মেনে নেয়া যায়না। তবে এ ঘটনাকে এভাবে বর্ণনা করার দ্বারা রাজারবাগ শরীফ-এর মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার আক্বীদা যে এরূপ তা অবশ্যই প্রমাণিত হয়।”

নাম মুবারক সম্পর্কে জিহালতী ও মিথ্যাচারিতা

নাম মুবারক সম্পর্কে জিহালতী ও মিথ্যাচারিতা
উক্ত মহা কাযযাব তার ভ্রান্তিমূলক রেসালা “আদদ্বীনে” আরো লিখেছে, “………… মজার ব্যাপার হচ্ছে, ‘দিল্লুর রহমান’ নামটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, রহমান (আল্লাহ পাক) যাকে গোমরাহ করেছেন। নাঊযুবিল্লাহ!
জিহালতী ও মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব
মহা কাযযাব মুসাইলাম এবার প্রমাণ করলো যে, সে শুধু  মহা কয্যাবই নয় বরং সে মহা জাহিল অর্থাৎ আশাদুদ দরজার জাহিলও বটে। কারণ সে নিজেকে ‘শায়খুল হাদীছ’ বলে প্রচার করছে, অথচ মীযান বা তৃতীয় শ্রেণীর জ্ঞানও তার নেই। আর এ কারণেই সে ‘নাম মুবারক’-এর ভুল অর্থ করেছে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি তোহমত দিয়ে কুফরী করে বসেছে। তার বক্তব্য হলো, “মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষকে গোমরাহ করেন।” নাঊযুবিল্লাহ! অথচ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে গোমরাহ করেন না। বরং বান্দাই তার বদ আক্বীদা ও আমলের কারণে গোমরাহ হয়ে যায়। কাজেই প্রমাণিত হলো, তার মধ্যে কুফরী আক্বীদা রয়েছে।
স্মর্তব্য যে এ ধরনের জিহালতী ও কুফরীমূলক বক্তব্য মহা কাযযাবের গুরু শাইখুল কাযযাব মাহিউদ্দীনও তার মদীনা পত্রিকায় দিয়েছিল। মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ১৩তম সংখ্যায় মতামত বিভাগে তার দাঁতভাঙ্গা দলীলভিত্তিক জবাব দেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সে নাম মুবারকের ব্যাপারে টু শব্দ করার সাহস পায়নি। শুধু তাই নয় পরবর্তীতে জাহিলদের জিহালতী দূর করার উদ্দেশ্যে আল বাইয়্যিনাত-এর ৪৯তম সংখ্যার সুওয়াল-জাওয়াব বিভাগে নাম মুবারকের দলীল ভিত্তিক তাহক্বীক্ব উল্লেখ করা হয়। মহা কাযযাব ও মহা জাহিল মুসাইলামের দাঁতভাঙ্গা জবাব স্বরূপ উক্ত মতামত ও সুওয়াল জবাবটি হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলো-
নাম মুবারক ও লক্বব মুবারক সম্পর্কে

ইলম হাছিল করা সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা


হেমায়েতুদ্দীন ওরফে কাযযাবুদ্দীন তার “……ভ্রান্ত মতবাদ” নামক ভ্রান্ত রেসালায় লিখেছে, “তিনি নিয়মতান্ত্রিক লেখা-পড়া করা কোন আলিম নন।”
আর মহা কাযযাব সুলাইমান ওরফে মুসাইলাম তার কলঙ্কিত রেসালা ‘আদ দ্বীনে’ লিখেছে, “মাওলানা রুকুনুদ্দীন (ছাহেব) উনার নিকট ……. নাহু ছরফ ও আরবী ভাষা জ্ঞান অর্জন করেছেন ………. কিন্তু প্রতিষ্ঠানিক বা কুরআন শরীফ হাদীছ শরীফ বিশারদের নিকট ইলম শিক্ষা করার কোন প্রমাণ নাই।
মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব

খিলাফত সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা


আশাদ্দুদ দরজার জাহিল কাযযাবুদ্দীন তার ভ্রান্ত রেসালা “……ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে “তিনি কোন পীর থেকে খেলাফত লাভ করেননি। তবে তিনি বলেন স্বয়ং আল্লাহ ও রসূল তাকে খিলাফত দান করেছেন।”
মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব
“কাটা দিয়ে কাটা উঠানো সবচেয়ে সহজ।” তাই আমাদের নিজস্ব বক্তব্য দ্বারা নয় বরং কাযযাবুদ্দীনের ‘জাত ভাই’ মহা কাযযাব মুসাইলামের বক্তব্য দ্বারাই প্রমাণ করবো যে, কাযযাবুদ্দীনের বক্তব্য মিথ্যা। কাযযাবুদ্দীন লিখেছে, “তিনি কোন পীর থেকে খিলাফত লাভ করেননি।” অথচ তার জাত ভাই মহা কাযযাব মুসাইলাম তার কলঙ্কিত রেসালা ‘আদ দ্বীনে’ লিখেছে, “তিনি ফুরফুরা সিলসিলার পীর জনাব মাওলানা ওয়াজিহ উল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহ উনার মুরীদ হন। এক পর্যায়ে উনার থেকে খিলাফত প্রাপ্ত হন।”
কাযযাবুদ্দীনগং যে মিথ্যার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে তা কি এরপরও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে? সাধারণ লোকদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার কারণেই তো তাদের একজনের কথার সাথে আরেক জনের কথার কোনই মিল নেই। বরং সম্পূর্ণই বিপরীত।

আল বাইয়্যিনাত-এর বক্তব্য কাটছাঁট ও গাউছুল আ’যম সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল কাযযাবুদ্দীন তার “……ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “ ………. তিনি দাবি করেন যে, “উনাকে ইলমে লাদুন্নী দান করা হয়েছে এবং তিনি ‘বাহরুল উলূম’ বা জ্ঞানের সমুদ্র। উনার দাবি হলো তিনি সাধারণ পীর নন, বরং গাউছূল আ’যম এবং আমীরুল মু’মিনীন ফিত্ তাছাউফ …..। উনার মুরীদগণের বর্ণনা মতে বড় পীর আব্দুল ক্বাদির জিলানীর চেয়েও উনার মাক্বাম অনেক ঊর্ধ্বে। মাসিক আল বাইয়্যিনাত ৭৩তম সংখ্যার ৪৬ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছেঃ “উল্লেখ্য রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নামের পূর্বে যেসব লক্বব রয়েছে, উনি তারও ঊর্ধ্বে। এমনকি ‘গাউছূল আ’যম’ লক্ববেরও ঊর্ধ্বে।”
মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব

নামের পূর্বে লক্বব বা উপাধি ব্যবহার করা সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা


আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কাযযাবুদ্দীন তার ভ্রান্ত পুস্তিকা “………ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “নিজের নামের আগে পিছে প্রায় ৫২টি উচ্চ অর্থ সম্পন্ন খেতাব সংযুক্ত করেছেন। আজ পর্যন্ত উম্মতের কেউ এমন খেতাবের বিশাল বহর নিজের নামের সাথে যোগ করেননি।”
মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব

স্বপ্নে লক্বব প্রাপ্তি সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা


আশাদ্দুদ দরজার জাহিল কাযযাবুদ্দীন তার “ভ্রান্ত মতবাদে” আরো লিখেছে, “ ….. তিনি স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহ কর্তৃক, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক ও আউলিয়াগণ কর্তৃক এসব খেতাব লাভ করেছেন বলে দাবি করেন, অথচ স্বপ্ন শরীয়তে হুজ্জাত বা দলীল নয়।”
মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব
কাযযাবুদ্দীনের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণই মনগড়া, সাজানো ও মিথ্যা। কাযযাবুদ্দীন কোন দিনও প্রমাণ করতে পারবেনা যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি লক্বব মুবারক সম্পর্কে অনুরূপ বক্তব্য প্রদান করেছেন। কারণ রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি খুব ভাল করেই জানেন যে, স্বপ্নই শুধু লক্বব প্রাপ্তির মাধ্যম নয়। বরং স্বপ্ন ছাড়াও ইলহাম, ইলক্বা, ও কাশফের মাধ্যমেও লক্বব লাভ করা যায়। কাজেই শুধুমাত্র “স্বপ্নের মাধ্যমেই এসব লক্বব লাভ করেছেন” এরূপ কথা বলার প্রশ্নই উঠেনা। মূলতঃ আউলিয়ায়ে কিরামগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক, উনার হাবীব ও ওলীগণ উনাদের থেকে যে লক্বব লাভ করে থাকেন তা শুধু স্বপ্নেই লাভ করেননা বরং এর সাথে সাথে ইলহাম, ইলক্বা ও কাশফের মাধ্যমেও লাভ করে থাকেন।

‘ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন’ লক্বব ব্যবহার সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কাযযাবুদ্দীন তার গোমরাহী মূলক রেসালা “ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “………….. উনার ব্যবহৃত এসব খিতাবের মধ্যে আহলুস্ সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা বহির্ভুত অনেক দাবিও এসে গেছে। যেমন- ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন বা ছিদ্দীক্বগণ উনাদের ইমাম। এই ছিদ্দীক্বীনদের মধ্যে রয়েছেন হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনিও, যাঁর মর্যাদা উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে ঊর্ধ্বে।”
মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব
জাহিল কাযযাবুদ্দীনের উক্ত বক্তব্যের জবাবে প্রথমতঃ বলতে হয় যে, তার উক্ত বক্তব্য প্রমাণ করে যে, সে আসলেই আশাদ্দুদ্ দরজার জাহিল। কারণ একথা সবারই জানা যে, ওলীগন উনাদের লক্ববসমূহ উনাদের প্রত্যেকের যামানার জন্যেই খাছ। উনাদের পূর্ববর্তী বা পরবর্তী কেউ এর অন্তর্ভুক্ত হবেন না। এ প্রসঙ্গে ক্বাইয়্যূমে আউয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত ‘মাকতুবাত শরীফ-এ’ লিখেছেন, গাউছূল আ’যম বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যে বলেছেন, “সমস্ত ওলীগণ উনাদের গর্দানের উপর আমার কদম”, এটা হযরত বড়পীর ছাহেব উনার যামানার জন্যেই খাছ। কারণ একথা যদি আম বা ব্যাপক অর্থে ধরা হয়, তবে উনার পূর্বে রয়েছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম, আর পরে রয়েছেন হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম। এখন উনাদের গর্দানের উপরও কি হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কদম মুবারক? একথা যদি কেউ বিশ্বাস করে তবে তার ঈমান থাকবে কি? অতএব, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উক্ত বক্তব্য দ্বারা এটাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, “ওলীগণ উনাদের লক্বব মুবারক উনাদের প্রত্যেকের যামানার জন্যই খাছ।” সুতরাং অনুরূপ “ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন” লক্বব মুবারকও উনার যামানার জন্যে খাছ।

হাবীবুল্লাহ লক্বব ব্যবহার করা সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা


আশাদ্দুদ দরজার জাহিল, চরম বেয়াদব কাযযাবুদ্দীন তার ভ্রান্ত রেসালা “ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “তার খেতাবের মধ্যে জঘন্য বেয়াদবী সূচক খেতাবও রয়েছে যেমন, তিনি “হাবীবুল্লাহ” খেতাব ব্যবহার করেছেন। অথচ হাবীবুল্লাহ বলতে একমাত্র রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই সকলে বুঝে থাকেন। এখন নিজের  জন্য এই খেতাব ব্যবহারকে হয় জঘন্য বেয়াদবী বলতে হবে নতুবা বলতে হবে তিনি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সমান মাক্বাম বা মর্যাদার দাবি করছেন, যা হবে কুফরীর পর্যায়ভূক্ত ……।”
মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব
আশাদ্দুদ দরজার জাহিল কাযযাবুদ্দীন তার উপরোক্ত জিহালতপূর্ণ ও দলীলবিহীন বক্তব্য দ্বারা প্রথমতঃ যে বিষয়টি প্রমাণ করেছে তাহলো, তার নিজের ফতওয়া মতেই সে নিজে ও তার সকল দেওবন্দী মাওলানারা শুধু রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সমান মাক্বাম বা মর্যাদার দাবিই করেনি বরং আল্লাহ পাক উনার সমান মাক্বাম বা মর্যাদার দাবি করেছে অর্থাৎ ‘আল্লাহ’ দাবি করেছে। এখন দেওবন্দীরা প্রশ্ন করতে পারে যে, এটা কিভাবে?

ক্বাইয়্যূমুয্ যামান’ লক্বব ব্যবহার করা সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল কাযযাবুদ্দীন তার গোমরাহীমূলক রেসালা “ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “…… উনার খেতাব সমূহের মধ্যে কুফরী জ্ঞাপক খেতাবও রয়েছে। যেমন “কাইউমুয্ যামান” খেতাবটি। ‘কাইউম’ শব্দটি আল্লাহ তায়ালার একটি ছিফতী নাম যার অর্থ জগতের ধারক ও রক্ষক। অতএব, কাইউমুয্ যামান অর্থ হবে যামানার ধারক ও রক্ষক। একথাটি একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালার ব্যাপারেই প্রযোজ্য, অন্য কারো ব্যাপারে নয়। কোন মাখলূক কাইউম হতে পারেনা বরং আব্দুল কাইউম বা কাইউমের গোলাম হতে পারে। কোন মাখলুকের হাতে জগত পরিচালনার ক্ষমতা ন্যস্ত থাকতে পারেনা। সুতরাং কোন মানুষের ব্যাপারে এ উপাধি ব্যবহার নিঃসন্দেহ কুফরী জ্ঞাপক।”
মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব
কাযযাবুদ্দীনের উক্ত বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু হলো (১) ‘ক্বাইয়্যূম’ শব্দটি একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার ব্যাপারেই প্রযোজ্য, অন্য কারো ব্যাপারে নয়। (২) কোন মাখলূক ‘ক্বাইয়্যূম’ হতে পারেনা। (৩) কোন মানুষের ব্যাপারে ‘ক্বাইয়্যূম’ উপাধি ব্যবহার কুফরী। (৪) কোন মাখলূকাতের হাতে জগত পরিচালনার ক্ষমতা  নেই।

পুলিশে চাকুরী করা সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা


আর এক মহা কাযযাব তথা কথিত জামিয়া দ্বীনিয়ার শায়খুল হদছ সুলাইমান ওরফে ‘মুসাইলামাতুল কাযযাব’ তার ভ্রান্ত ও কলঙ্কিত রেসালা ‘আদ দ্বীনে’ লিখেছে, “….. যাত্রাবাড়ীর বহু মুরীদ ও খলীফার সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের ….. তাদের মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি (রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম) একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ।” নাঊযুবিল্লাহ! লা’নাতুল্লাহি আলাল কাযিবীন।
মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব
উক্ত মহা কাযযাবের দাবি, সে নাকি ‘শায়খুল হাদীছ’। অথচ তার এ হাদীছ শরীফই জানা নেই যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম তিনি ইরশাদ করেন,
كفى بالـمرء كذبا ان يـحدث بكل ما سـمع
অর্থাৎ “মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায় (যাচাই-বাছাই বা তাহক্বীক্ব করে না)।” (মিশকাত শরীফ)

লক্বব প্রাপ্তি সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

কাযযাবুদ্দীন তার ভ্রান্ত রেসালা “ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “ ……. তিনি বলেন এর অনেকগুলো খেতাব তাকে দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ পাক, কতগুলো দিয়েছেন হযরত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও বাকীগুলো দিয়েছেন তরীক্বতের ইমাম ও পীর আউলিয়াগণ।” (তথ্যসূত্র- ক্যাসেট)
মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব
কাযযাবুদ্দীনের উক্ত বক্তব্যের জবাবে প্রথমতঃ বলতে হয় যে, কাযযাবুদ্দীনের উক্ত বক্তব্য ডাহা মিথ্যা ও প্রতারণামূলক। প্রমাণের জন্য কাযযাবুদ্দীনের প্রতি চ্যালেঞ্জ রইল সে কস্মিনকালেও প্রমাণ করতে পারবে না যে, হুবহু অনুরূপ বক্তব্য ক্যাসেটের মধ্যে রয়েছে। বরং এ ব্যাপারে রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বক্তব্য হলো “হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের খাছ যে লক্ববগুলো রয়েছে সেগুলো মহান আল্লাহ পাক, উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আউলিয়ায়ে কিরামগণ উনাদের পক্ষ থেকেই দেয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ তিনি আমভাবে সমস্ত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের ব্যাপারেই একথা বলেছেন। খাছ করে শুধুমাত্র নিজের ব্যাপারে একথা বলেননি।

বাতিল কর্তৃক হক্বের বিরোধিতা ও মিথ্যাচারিতা পূর্বেও ছিল কিনা?


থেকে থাকলে কেন এবং কারা করেছে?
মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আ’লামীন তিনি এ দুনিয়াকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত ক্বায়িম রাখবেন হক্বানী আলিম তথা আউলিয়ায়ে কিরামগণ উনাদের মাধ্যমে। তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সব রূহ বা আত্মাকে সৃষ্টি করার পর একত্রিত করে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি তোমাদের রব নই?” জবাবে রূহ্সমূহ বললো, “হ্যাঁ, আপনি আমাদের রব।”
তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি রূহ্সমূহকে লক্ষ্য করে বললেন, “হে রূহ্ সম্প্রদায়! আজ থেকে অনেকদিন পর তোমরা দুনিয়ায় যাবে, দুনিয়ায় গিয়ে এ প্রতিজ্ঞার কথা ভুলে যেওনা।” একথা শুনে রূহ্ সম্প্রদায় বললো, “হে আল্লাহ পাক! আমরা তো অনেক বছর পর দুনিয়াতে যাব, আর তখন আমাদের এ ওয়াদার কথা মনে নাও থাকতে পারে।” জবাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তখন বললেন, “তোমরা চিন্তা করোনা, মূলতঃ তোমাদেরকে আমার ওয়াদার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্যেই আমি প্রতি যুগে নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে প্রেরণ করবো। নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যখন পাঠানো শেষ হয়ে যাবে, তখন নায়িবে রসূলগণ উনারা তথা আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদেরকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত পাঠাতে থাকবো।”

কাযযাবগং তথা উলামায়ে সূ’দের মিথ্যাচারিতার দাঁতভাঙ্গা জবাব ১(৪)


বাতিলপন্থিরা এ পর্যন্ত বহু মিথ্যা রটনা বা অপপ্রচারই করেছে। তবে তাদের প্রতিটি মিথ্যা অপপ্রচারেরই দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হয়েছে বা রয়েছে। উক্ত জবাবের কোন খণ্ডনমূলক জবাব না দিতে পেরে তারা বাধ্য হয়েছে “অপপ্রচারের জিহ্বা এবং কলম” বন্ধ করতে।
তবে ইদানিং নতুন কিছু আবূ জাহিল, মুনাফিক আর দাজ্জালে কাজ্জাবের আবির্ভাব ঘটেছে। তাদের শিরোচ্ছেদ করার জন্যেই এ কিতাব লিখা। হালে ঢাকার “তাঁতীবাজার জামেয়া ইসলামিয়া ও মতিঝিল জামেয়া দীনিয়া নামক” খারিজী মাদরাসা থেকে “স্মরণীকা’০৩ ও ‘আদ্ব দ্বীন” নামে দু’টি সাময়িকী প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তীতে তাঁতীবাজার জামেয়া ইসলামিয়ার তথাকথিত মুহাদ্দিছ হেমায়েত উদ্দীন তার “……………. ভ্রান্ত মতবাদ” নামক পুস্তিকায়ও “স্মরণীকা’০৩” হুবহু ছাপিয়ে দেয়। সেগুলোতে যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাব গং রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতা করতে গিয়ে যে সকল মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছে, তা তাদেরকে আশাদ্দুদ দরজার জাহিল, যুগের আবূ জাহিল, গোমরাহ ও দাজ্জালে কাযযাব হিসেবেই সাব্যস্ত করেছে।
পক্ষান্তরে তাদের উক্ত লেখাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব।  কেননা, তারা তাদের উক্ত লিখায় রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার আক্বীদা ও আমলগত কোন ভুলই দলীল দ্বারা ছাবেত করতে পারেনি। যা লিখেছে তা সবই মনগড়া ও বানানো। কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ-এর সাথে তার কোনই সম্পর্ক নেই।
স্মর্তব্য যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার আক্বীদা ও আমলগত কোন ত্রুটি বাতিল  পন্থিরা  আজ পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারেনি। ইনশাআল্লাহ কেউ পারবেও না। কেননা তিনি আক্বীদার ক্ষেত্রে পরিপূর্ণরূপেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী। যেমন তিনি  বিশ্বাস করেন-

রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পিতা উনার সম্পর্কে মিথ্যাচারিতা


ভ্রান্ত রেসালা “….. ভ্রান্ত মতবাদ”-এর লেখক ‘হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কাযযাবুদ্দীন’ লিখেছে “রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পিতা উনি নাকি “তাঁতী ও সূতা ব্যবসায়ী ছিলেন।” নাঊযুবিল্লাহ!
মিথ্যাচারিতার খণ্ডমূলক জবাব
কাযযাবুদ্দীনের পক্ষেই এরূপ ডাহা মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা সম্ভব। রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পিতা তিনি অতি উঁচু স্তরের একজন খালিছ ওলীআল্লাহ। তিনি ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত প্রজ্ঞাবান মানুষ এবং সূক্ষ্মদর্শী আলিমে দ্বীন। তিনি ছিলেন সত্য ও মিথ্যা পার্থক্য করার এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর এবং হক্ব প্রকাশ ও প্রতিষ্ঠার এক অনন্য পুরুষ। উনার প্রত্যয়ী ব্যক্তিত্বের আলোয় মানুষ মিথ্যাকে ঘৃণা করতে শিখেছে। মহান আল্লাহ পাক উনার মত এবং উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে দায়িম-ক্বায়িম হতে মানুষকে তিনি প্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি ছিলেন কুতুবুয যামান, আরিফ বিল্লাহ, লিসানুল হক্ব, আওলাদে রসূল। আজীবন তিনি সুন্নতের উপর পরিপূর্ণরূপে অধিষ্ঠিত ছিলেন। জীবন মুবারকের সময়গুলো তিনি অবিরাম ব্যয় করেছেন সত্য প্রতিষ্ঠার জিহাদে। এ জিহাদ তিনি করেছেন কথায়, কাজে, আমলে ও আচরণে। সূক্ষ্মদর্শী মানুষ ছাড়া অন্য কারো পক্ষে উনার কামালতপূর্ণ উদারতা, অন্তরের বিশালতা, চরিত্রের মাধুর্যতা, অন্তর দৃষ্টির গভীরতা, হৃদয়ের নির্মলতা, বদন্যতা, সৌজন্য ও দানশীলতা উপলব্ধির উপায় ছিলোনা। হিদায়েতপূর্ণ মানুষ ও সমাজ নির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা এই ক্ষণজন্মা ওলীআল্লাহ আচরণ ও বিচরণে ছিলেন দৃঢ়চেতা ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এক কামিয়াব মানুষ। দানশীল এই ওলীআল্লাহ তিনি ছিলেন ফুরফুরা শরীফ-এর হযরত আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশিষ্ট খলীফা। অবশ্য তিনি আরো কয়েকজন প্রখ্যাত মুর্শিদ উনাদের কাছে বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন। উনার কামালত ও অধিষ্ঠিত মাক্বাম বিশালতায় পরিপূর্ণ।

Monday, February 1, 2016

বাইয়াত এর ব্যাখ্যা ও গুরুত্ব


সুরা তওবার ১১১ নং আয়াতে আল্লাহ পাক ঘোষনা করেছেন যে, "মুমিনের জান-মাল বেহেস্তের বিনিময়ে খরিদ করে নিয়েছেন।"

আর মালের মালিক যদি নিজ ইচ্ছায় মাল বিক্রয় না করে তবে তার মাল কেহ ক্রয় করতে পারে না। অর্থাৎ যে সকল মুমিন নিজ ইচ্ছায় জান-মাল বিক্রয় করতে ইচ্ছুক আল্লাহ তাদের কাছ থেকেই জান-মাল ক্রয় করতে ইচ্ছুক। আর যারাই জান-মাল বিক্রয় করবে তারাই সত্যিকারের মুমিন। যেহুত বেহেশত দুনিয়ার জীবনে পাওয়া সম্ভব নয় তাই বেহেশতের বিনিময়ে ক্রয় করা জান ও মাল আল্লাহ সাথে সাথে নিয়েও নেন না।

পীর-মুরীদ কাকে বলে?


পীর শব্দটি ফার্সি। আরবীতে বলা হয় মুরশীদ। মুরশীদ শব্দের অর্থ হল পথপ্রদর্শক। যিনি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার প্রশিক্ষণ দেন তার নাম মুরশীদ বা পথপ্রদর্শক। যাকে ফার্সীতে বলে পীর।
“মুরীদ” শব্দটিও আরবী। যার অর্থ হল ইচ্ছাপোষণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার ইচ্ছা পোষণ করে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির হাত ধরে শপথ করে সে ব্যক্তির নাম হল “মুরীদ”।
এ ব্যাখ্যা থেকে একথা স্পষ্ট হল যে, পীর হবেন শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন করার প্রশিক্ষণদাতা। আর যিনি সে প্রশিক্ষণ নিতে চায় সে শিক্ষার্থীর নাম হল “মুরীদ”।
সুতরাং যে ব্যক্তি নিজেই শরীয়তের বিধান মানে না, নামায পড়ে না, পর্দা করে না, সতর ঢেকে রাখে না বা শরীয়তের আবশ্যকীয় কোন বিধান পালন করে না, সে ব্যক্তি কিছুতেই পীর তথা মুর্শীদ হতে পারে না। কারণ তার নিজের মাঝেই যখন শরীয়ত নেই, সে কিভাবে অন্যকে শরীয়তের উপর আমল করা প্রশিক্ষণ দিবে? নিজেইতো প্রশিক্ষিত নয়।

কামেল পীরের আলামত: মালানা আশরাফ আলী দেওবন্দী


(১) পীর সাহেব কুরআন, হাদীস মাসলা মাসায়েল সম্পর্কে আলেম হবেন। তবে এ ইলমের শেষ মর্তবা ও সব ইলম সম্পর্কে আলেম হওয়ার আবশ্যক।
(২) পীর সাহেব আকীদা-বিশ্বাস ও আমল শরীয়তের মোয়াফেক। স্বভাব চরিত্র ও অন্যান্য গুণাবলী যে রকম শরীয়তে চায় সে রকম হওয়া দরকার।
(৩) পীর সাহেবের মাঝে লোভ টাকা পয়সা, সম্মান, প্রতিপত্তি, যশঃ ও সুখ্যাতির লিপ্সা থাকবে না। নিজে কামেল হওয়ার দাবী করবে না। কেননা, এটাও দুনিয়া মহব্বতেরই অন্তর্ভূক্ত।

শায়েখ ও পীর হওয়ার জন্য যে সব শর্ত জরুরী

শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি- 
(১) পীর হওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হল, কোরআন, হাদীসের আলেম হওয়া। (আল কওলুল জামিল ২০ পৃ.)
(২) পীর হওয়ার জন্য দ্বিতীয় শর্ত হল, ন্যায়নীতিবান ও খোদাভীরু হওয়া। কবীরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকবে এবং ছগীরা গোনাহও বার-বার করবে না। (আল কওলুল জামিল ২৪ পৃ.)
(৩) পীর হওয়ার জন্য তৃতীয় শর্ত হল, দুনিয়াত্যাগী ও আখেরাতমুখী হওয়া। যিকির ও মামূলাত নিয়মিত পালন করা এবং সঠিক হাদীস দ্বারা প্রমাণিত সুন্নতে মুয়াক্কাদা ও নফল ইবাদত সময়মত আদায় করা। অন্তরে সর্বদা আল্লাহ পাকের স্বরণ রাখা। যাকে ‘ইয়াদ-দাশত’ বলা হয়, তা যেন অন্ত্মরের স্থায়ী গুণে পরিণত হয়ে যায়। (আল কওলুল জামিল ২৫ পৃ.)
(৪) পীর হওয়ার জন্য চতুর্থ শর্ত হল, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা। সঠিক জ্ঞানের অধিকারী হওয়া, কথা ও কাজে বিশ্বস্ত থাকা। যেন তার আদেশ- নিষেধের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা যায়। যেমন আল্লাহ পাক বলেন, যে সব সাক্ষীগণের সাক্ষী দেওয়ার প্রতি তোমরা সন্ত্মুষ্ট থাকো, তাদের সাক্ষী গ্রহণ করো”। তাহলে পীরের প্রতি কেমন ধরনের সুধারণা হওয়া উচিত? কারণ সাক্ষী গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যদি সাক্ষীগণের বিশ্বস্ত্ম হওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে পীর হওয়ার জন্য বিশ্বস্ত্ম হওয়া কত বেশি প্রয়োজন হওয়া উচিত। (আল কওলুল জামিল ২৫ পৃ.) সাক্ষী দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি সাক্ষীগণের বিশ্বস্ত্ম হওয়ার প্রয়োজন হয়, যা পার্থিব বিষয়। তাহলে ঈমানের সত্যতা প্রমাণ করার জন্য বাইয়াত গ্রহণকারী পীরের জন্য মুত্তাকী, পরহেজগার ও বিশ্বস্ত্ম হওয়া আরো বেশি প্রয়োজন, কারণ তা ঈমানী ও ইসলাহী বিষয়। আর তার জন্য সুন্নতের অনুসরণ করাও জরুরী। লোক সমাজে পীরের বিশ্বস্ত্ম হওয়ার জন্য জাহেরী ও বাতেনী গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা এবং ছগীরা গোনাহ থেকেও বেঁচে থাকা জরুরী।
(৫) পীর হওয়ার জন্য পঞ্চম শর্ত হল, অনেক দিন ধরে পীর-মাশায়েখের সোহবতে থেকে আদব আখলাক শিক্ষা করা। বাতেনী নূর হাসিল করা এবং ‘সাকিনা’ অর্থাৎ সবর-ধৈর্য ও বিনয়-নম্রতার গুণ অর্জন করা। কারণ আল্লাহ পাকের নিয়ম হল, কোন মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত্ম দ্বীন হাসিল করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির সঙ্গ লাভ না করবে এবং তাদেরকে দেখে দেখে ভাল গুণগুলো শিক্ষা না করবে। (আল কওলুল জামিল ২৬ পৃ.)

পীর হওয়ার পূর্ব শর্ত গুলো কি কি

* হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, "যে ব্যক্তি ফিকাহের ইলম হাসিল করল। কিন্তু তাসাউফের ইলম শিক্ষা করল না, সে ফাসেক। আর যে ব্যক্তি তাসাউফের ইলম হাসিল করল, কিন্তু ফিকাহের ইলম শিক্ষা করল না, সে জিন্দিক। তবে যে ব্যক্তি জাহেরী ও বাতেনী উভয় ইলম শিক্ষা করল। সেই সত্যিকারের হক্কানী আলেম। (মেশকাত শরিফের শরাহ মেরকাত, কাহেরার ১ খ. ৩১৩ পৃ. এবং বাইরুত ২ খ. ৪৭৮ পৃ.)
* হযরত জুনাইদ বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন- "তুমি আলেম হয়ে সুফী হও,সুফী হয়ে আলেম হইয়োনা ধ্বংস হয়ে যাবে " ।

দেওবন্দী আলেমদের মতে পীর ওলি…

বর্তমান দেওবন্দী গণ আহলে হাদিসের নিউ আপডেট। পীর মাশায়েখ গণ যদি কোনো উপকারে না আসে তা হলে  দেওবন্দ এর সকল আলেম কেন নিজেদের কে (চিশতিয়া ) বুজুর্গ বলে দাবি করেন ? আর হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর হাতে কেন বাইয়াত হল ? 

যারা বলে কেয়ামতেন দিন কোন ওলির সূপারিশ গ্রহন হবেনা এটি কাফেরদের জন্য কোন মুসলিমের জন্য নয়

১. আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে একাধিক আয়াতে তার প্রিয় নবী ও অলিদের সুপারিশ করার ক্ষমতা প্রদান করেছেন। কিন্তু তারা ওইসব আয়াতকে পাশ কাটিয়ে শুধু এই আয়াতটির ওপর নির্ভর করে নবী এবং অলি-আল্লাহদের সুপারিশ করার কোনো ক্ষমতা থাকবে না বলে যে ফতোয়া দেন তা সম্পূর্ণভাবে পবিত্র কোরআন ও হাদিসবিরোধী।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  সূরা বাকারার ৪৮নং আয়াতটির ব্যাখ্যায় বলেছেন, ওই আয়াতে ‘অলা ইউক্বাবালু মিনহা শাফা’ অর্থাৎ সেদিন কারও কোনো সুপারিশ কাজে আসবে না বলে যে কথাটি বলা হয়েছে তা কাফের এবং মুশরিকদের বেলায় প্রযোজ্য। (দেখুন তফসিরে ইবনে কাছির, ইমাম কুরতুবিসহ আরও অনেক তফসির)।

যারা ওলি আউলিয়া মানে না এবং গালিগালাজ করে তারা কুফরী করে ।


আজকাল আমাদের সমাজে ওলি আউলিয়া বিরোধী অনেক ভন্ড জাহেল কপট দাজ্জাল মুনাফেক মৌলভি ও তাদের অনুসারী আছে যারা আউলিয়ায়ে কেরামের নাম শুনলে তাদের মনটাকে সংকুচিত করে ফেলে এবং ওদের শরীরে চুলকানি উঠে যায়, আর আউলিয়া কেরামের শান শুনলেতো শিম্পাঞ্জির মত ভেটকি মারে ও মুখটাকে বেন্গাচির মত বানিয়ে ফেলে, আমার প্রশ্ন হলো অলি আউলিয়া কি ইসলাম তথা কোরআন সুন্নাহর বাইরের কোনো বিষয় যে এটা মানা হারাম, বেদাত, শিরক বা কুফরী হবে? যারা ওলি আউলিয়া মানে না তারা বরং কুফরী করে কারন পবিত্র আল-কোরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক স্পষ্টভাবে প্রমান করে যে ওলি আউলিয়ার ইজ্জত মুহব্বত করা হালাল কখনোই হারাম নয়, তাই এখন যারা ওলি আউলিয়া অস্বীকার করে তারাতো পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহ শরিফ কে অস্বীকার করে, আর পবিত্র কোরআনের একটা আয়াত বা নূর নবীজির একটা হাদিস যে অস্বীকার করবে সে সাথে সাথে কাফের হয়ে যাবে, নিঃসন্দেহে আর ওলী-আল্লাহগণ উনাদের সম্পর্কে আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন শরীফে ইরশাদ করেন, ﺃَﻻ ﺇِﻥَّ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺀ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻻَ ﺧَﻮْﻑٌ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﻫُﻢْ ﻳَﺤْﺰَﻧُﻮﻥَ “সাবধান! নিশ্চয়ই যারা আল্লাহপাকের ওলী তাদের কোন ভয় নেই এবং চিন্তা-পেরেশানীও নেই।” [সূরা ইউনূছঃ আয়াত শরীফ ৬২]

বাইয়াত এর শাব্দিক বিশ্লেষণ


** “বাইয়াত” শব্দের উৎপত্তি হয়েছে, “বাইয়ুন” শব্দ থেকে।
** “বাইয়ুন” শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে “ক্রয়-বিক্রয়”
** এখানে এই “ক্রয়-বিক্রয়” মানে হচ্ছে আমার আমিত্বকে আল্লাহর রাহে (ওয়াস্তে) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  নিকট গিয়ে কোরবান করে দিলাম,বিলীন করে দিলাম,বিক্রি করে দিলাম।

আমার আমিত্ব, আমার যত অহংকার আছে, অহমিকা আছে, আমি আমি যত ভাব আছে সমস্তকিছু আল্লাহর রাসুলের কাছে গিয়ে আল্লাহর রাহে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ করে দেয়া, কোরবান করে দেয়া, নিজেকে আল্লাহ্‌ তে সম্পূর্ণ রূপে আল্লাহর কাছে সমর্পন করে দেয়াই হল বাইয়াত ।
অন্য ভাষায় মুরিদ মানে হল বাইয়াত হওয়া।

আমরা যাকে পীর মুরিদ করা বলে থাকি মানে হল বায়াত করা এবং হওয়া এর বিধান কি কোরআন হাদিসে কোথাও আছে?



  • " হে রাসূল! যেসব লোক আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল, তারা আসলে আল্লাহর নিকটই বাইয়াত হচ্ছিল। তাদের হাতের উপর আল্লাহর কুদরতের হাত ছিল।হে রাসূল! আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন যখন তারা গাছের নীচে আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল। (সূরা ফাতহ- ১৮)


  • অপর আয়াতে আল্লাহ বাইয়াত বা প্রতিশুতি বদ্ধ হওয়ার পর তা রক্ষাকারী সম্পর্কে বলেন :- " যে ব্যক্তি তার ওয়াদা (প্রতিশ্রুতি) পূর্ণ করবে এবং তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করবে, সে আল্লাহ পাকের প্রিয়জন হবে। আর নিশ্চিতভাবে আল্লাহ পাক মুত্তাকীদের ভালবাসেন। (সূরা আলে ইমরান -  ৭৬)
  • সহিহ হাদীসে আছে :-হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,যে ব্যক্তি বাইয়াতের বন্ধন ছাড়াই মারা গেল সে জাহিলিয়াতের মৃত্যুবরণ করল। (মুসলিম)
  • অপর হাদিসে আছে :-আব্দুল্লাহ ইবনে দিনার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে বাইয়াত গ্রহণ করতাম, শ্রবণ ও আনুগত্যের উপর এবং তিনি আমাদের সামর্থ্য উক্ত আমল করার অনুমতি দিয়েছেন। (মুসলিম)

কোন নেককার মুমিন বা ওলীর পাশে দাফন করলে কোন উপকার আছে কি?


আহলে হাদিস নাসিরুদ্দিন আলবানী তার ভআহাদিসুস দ্বঈফাহ গ্রন্থের ১/৫০১ পৃঃ, হাদিস নংঃ৬১৩ এ বলেছে যে, " মৃত ব্যক্তিকে কোন নেককার ওলী, হক্কানী আলেমের পাশে কবরস্থ করলে কোন উপকার নেই।"
অনুরুপভাবে জুনায়েদ বাবুনগরী তার প্রচলিত জাল হাদিস বইয়ের ১৯৬ পৃষ্ঠায় এর সমালোচনা করে।

জবাবঃ

  • হাদিস নং:১

"হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন,তোমরা মৃত ব্যক্তিদেরকে (যথাসম্ভব) নেক বান্দাদের মাঝে দাফন করবে, নিশ্চয় মৃত ব্যক্তিগণ খারাপ প্রতিবেশী দ্বারা কষ্ট অনুভব করে।যেরুপ জীবিতগণ খারাপ প্রতিবেশী দ্বারা কষ্ট পেয়ে থাকে।"

ওলীগনের শাফায়াত সম্পর্কে



আল্লাহর একজন বিশিষ্ট ওলী ছিলেন ওয়াইছ করনী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ছিলেন একজন তাবেয়ী। তার সম্পর্কে কিছু হাদিস :

  • হযরত ওমর (রা.) বলিয়াছেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, নিশ্চয়ই , অনুগতদিগের (খায়রুত্তাবেয়ীন) মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যাহার নাম উয়ায়ছ। তাহার মা আছে এবং তাহার শরীরে একটি শ্বেত চিহ্ন আছে। তোমরা (তাহার সংগে দেখা করিয়া) অনুরোধ করিবে যেন সে তোমাদের ক্ষমার জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে। (মুসলিম শরীফ ৬২৬০/ মিশকাত ৬০০৬)

ওলী-আল্লাহগণের বিরোধিতাকারীদের হুশিয়ারী দিয়ে হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ সাবধান করে দিয়েছেন।


১. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত-"  রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার বিরোদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি । যেসব অধিক প্রিয় কাজ সমুহের দ্বারা বান্দা আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে সেগুলো হল ফরজ কাজসমুহ। অত:পর আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমে আমার আরো এত নিকটবর্তী হতে থাকে যতক্ষন না আমি তাকে ভালবাসি , তখন আমি তার শ্রবন ইন্দ্রীয় হয়ে যাই যা দ্বারা সে শোনে ! তার দর্শন ইন্দ্রীয় হয়ে যাই, যা দ্বারা সে দেখে ! তার হাত হয়ে যাই, যা দ্বারা সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই, যা দিয়ে সে চলাফেরা করে ! যদি সে আমার কাছে কিছু প্রর্থনা করে, আমি তাকে তাই দেই। যদি সে আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি কোনকিছু করার ব্যপারে দিধ্যাবোধ করি না, যতটা না মুমিনের রুহ কবজের (নেয়ার) ব্যপারে করি এজন্য যে সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তাকে অসন্তুষ্ট করতে অপছন্দ করি।

ওলীরা কি ওফাত বরন করার পর জীবিত নাকি মৃত ?

 সে সম্পর্কে আল্লাহ বলেন : "যারা আল্লাহ্‌ পাকের রাস্তায় শহীদ হয়েছেন তাদের কে তুমি মৃত মনে করো না বরং তারা তাঁদের নিজেদের রব এর নিকট জীবিত ও রিজিক প্রাপ্ত।"(সুরা আলইমরান ১৬৯)

আরো ইরশাদ করেন :"আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত বল না। বরং তারা জীবিত। তবেতা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না।"
(সূরা বাকারা-১৫৪)

ওলীদের কাছে আছে ইলমে লাদ্দুনী বা আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান


★ আল্লাহ পাক বলেন, “যদি তোমরা না জানো, তবে জ্ঞানীদেরকে (আহলে যিকির বা আল্লাহওয়ালাগণকে) জিজ্ঞেস করে জেনে নাও”। (সূরা নহল ৪৩ ও সূরা আম্বিয়া-৭)

★ কিয়ামতের আগে মানুষ মুর্খতা বশত জ্ঞানহীন মানুষ এর কাছ থেকে ফতোয়া জিজ্ঞেস করবে যারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট অন্যকেও পথভ্রষ্ট করবে।(আল-হাদিস)

আউলিয়া কেরাম (মুমিন বান্দাগন) সম্পর্কে আল-কোরান থেকে দেখুন


★ হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ্ পাককে ভয় কর এবং তাঁর নৈকট্য লাভের উপায় বা ওসিলা তালাশ কর।[সুরা ৫ মায়েদা: ৩৫]।

★ এ আয়াতে কারীমায় সুষ্পষ্টভাবে আল্লাহর হেদায়াতপ্রাপ্ত বুযুর্গদের সাহচর্যে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে:-

"আমাদের সরল সঠিক পথ [সীরাতে মুস্তাকিম] দেখান । আপনার নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের পথ।{সূরা ফাতিহা-৬,৭}
আর তার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা হলেন –

ওলী কারা?



★ হাদীছ শরীফে ইরশাদ করেনঃ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  ও ইবনে আব্বাস সহ অনেক সাহাবায় কেরাম বলেছেন-

```আউলিয়া আল্লাহিল্লাযিনা ইজা রুয়ুযা জুকেরাল্লাহ।```

অর্থঃ " তারাই অলী আল্লাহ যাদের কে দেখলে খোদার কথা স্মরণ হয়।

ওলী আল্লাহদের সিলসিলা জারী থাকবে

হযরত সোরায়হ ইবনে ওবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন,

“আমি হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি - আবদাল নামক ওলী- আল্লাহ শাম দেশে হয়। তাঁরা চল্লিশ জন পুরুষ। তাঁদের মধ্য হতে কেহ পরলোকগমন করলে তাঁর স্থানে অন্য একজনকে আগমন করেন। তাঁদের উছিলায় বৃষ্টিপাত হয়, শত্রুদের উপর বিজয় দান করা হয়। তাঁদের উছিলায় শাম দেশের অধিবাসীরা আল্লাহর গজব থেকে পরিত্রাণ পায়”।

ওলি আওলিয়াদের সান্নিধ্যে গেলে জান্নাত নিশ্চিত হয়


হাদিস শরীফে হযরত আবু ছাইদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- “ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরমান, তোমাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে এক লোক ছিল। সে ৯৯ ব্যক্তিকে হত্যা করার পর জিজ্ঞাসা করলো, এ পৃথিবীতে সর্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তি কে? তাকে এক রাহীব (ঈসায়ী ধর্মের শরীয়তের আলেম) এর সন্ধান দেয় হয়। সে তার কাছে এসে বললো যে, সে ৯৯ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। এখন তার জন্য কি ক্ষমা আছে? ঐ আলেম বললো-না। তখন সে ঐ আলেমকে হত্যা করে ফেললো। অতএব সে ঐ আলেমের হত্যা দ্বারা ১০০ পূর্ণ করলো। তারপর সে আবার প্রশ্ন করলো এ পৃথিবীতে সর্বাধিক জ্ঞানী কে? তখন তাকে এক আল্লাহ্ ওয়ালা আলেম (অলী-আল্লাহ্) এর সন্ধান দেয়া হলো। 

আল্লাহর প্রিয় অলীগণ কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবেন


দলীল ১- 
 ﻭ ﺍﺫﺍ ﺭﺃﻭﺍ ﺍﻧﻬﻢ ﻗﺪ ﻧﺠﻮﺍ ﻓﻲ ﺍﺧﻮﺍﻧﻬﻢ ﻳﻘﻮﻟﻮﻥ ﺭﺑﻨﺎ ﺍﺧﻮﺍﻧﻨﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻣﻌﻨﺎ ﻭﻳﺼﻠﻮﻥ ﻣﻌﻨﺎ ﻭ ﻳﺼﻮﻣﻮﻥ ﻣﻌﻨﺎ ﻭ ﻳﻌﻤﻠﻮﻥ ﻣﻌﻨﺎ ﻓﻴﻘﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺍﺫﻫﺒﻮﺍ ﻓﻤﻦ ﻭﺟﺪﺗﻢ ﻓﻲ ﻗﻠﺒﻪ ﻣﺜﻘﺎﻝ ﺩﻳﻨﺎﺭ ﻣﻦ ﺍﻳﻤﺎﻥ ﻓﺎﺣﺮﺣﻮﻩ ﻭ ﻳﺤﺮﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻮﺭﻫﻢ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﻓﻴﺎﺗﻮﻧﻬﻢ ﻭﺑﻌﻀﻬﻢ ﻗﺪ ﻏﺎﺏ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﺍﻟﻲ ﻗﺪﻣﻪ ﻭ ﺍﻟﻲ ﺍﻧﺼﺎﻑ ﺳﺎﻗﻪ ﻓﻴﺨﺮﺟﻮﻥ ﻣﻦ ﻋﺮﻓﻮﺍ 

যখন মুমীন আল্লাহর অলীগণ দেখবে যে তারা মুক্তি পেয়ে গেল , তখন তাদের মুমীন ভাইদের জন্য তারা আল্লাহর কাছে আবেদন করবে “হে আমার প্রতিপালক এরা আমাদের ভাই, যাদেরকে তুমি জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছ তারা আমাদের সাথে নামাজ পড়ত , আমাদের সাথে রোজা রাখত এবং আমাদের সাথে সত্কাজ করত “। তখন আল্লাহ বলবেন “যাদের অন্তরে শুধুমাত্র এক দিনার ওজন পরিমাণ ঈমান পাবে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আস । তাদের মুখমন্ডল তথা আকৃতিকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেওয়া হয়েছে ” । অতঃপর তারা অলীগণ সেখানে জাহান্নামীদের নিকট যাবেন । এসে দেখবেন কেউ কেউ পা পর্যন্ত কেউ পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত আগুনে ডুবে আছে । এর মধ্যে যাদের তারা কিনবে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আসবে । 

ওলিদের সাথে খাকলে উপকারিতা কি ?


"যে ব্যক্তি আল্লাহকে, তাঁর রসূলকে ও মুমিনদেরকে নিজের বন্ধু রূপে গ্রহণ করে তার জেনে রাখা দরকার, আল্লাহর দলই বিজয়ী হবে৷” আল মায়েদাহ 
আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহু বর্ণনা করেন, এক বেদুঈন লোক হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কিয়ামত কখন হবে? হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন,আপনি কিয়ামতের জন্য কি সম্বল সংগ্রহ করেছেন ? তিনি বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের ভালবাসা। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি যাকে ভালবাসো তার সাথেই তোমার হাশর হবে।

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একাধিক স্থানে নেককার ব্যক্তিদের সাহচর্য গ্রহণ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।


১. হযরত আবু মুসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-সৎসঙ্গ আর অসৎ সঙ্গের উদাহরণ হচ্ছে মেশক বহনকারী আর আগুনের পাত্রে ফুঁকদানকারীর মত। মেশক বহনকারী হয় তোমাকে কিছু দান করবে কিংবা তুমি নিজে কিছু খরীদ করবে। আর যে ব্যক্তি আগুনের পাত্রে ফুঁক দেয় সে হয়তো তোমার কাপড় জ্বালিয়ে দিবে, অথবা ধোঁয়ার গন্ধ ছাড়া তুমি আর কিছুই পাবে না।

  • সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫২১৪, 
  • সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬৮৬০, 
  • মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩১৯০, 
  • সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৮৩১, 
  • সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬১, 
  • মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৪২৯৫, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৬৬০, 
  • মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-৭৭০, 
  • মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২৬২২, 
  • মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-১৩৭৭, 
  • মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-৫১৫}

এছাড়াও অনেক হাদীস নেককার ও বুযুর্গ ব্যক্তিদের সাহচর্য গ্রহণের প্রতি তাগিদ বহন করে। আর সবচে’ বড় কথা হল-বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষই দ্বীন বিমুখ। যারাও দ্বীনমুখী, তাদের অধিকাংশই কুরআন হাদীসের আরবী ইবারতই সঠিকভাবে পড়তে জানে না, এর অর্থ জানবে তো দূরে থাক। আর যারাও বাংলা বা অনুবাদ পড়ে বুঝে, তাদের অধিকাংশই আয়াত বা হাদীসের পূর্বাপর হুকুম, বা এ বিধানের প্রেক্ষাপট, বিধানটি কোন সময়ের জন্য, কাদের জন্য ইত্যাদী বিষয়ে সম্যক অবহিত হতে পারে না। তাই বর্তমান সময়ে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে কুরআন সুন্নাহ থেকে নিজে বের করে আল্লাহ তাআলার উদ্দিষ্ট সীরাতে মুস্তাকিমে চলা বান্দার জন্য কষ্টসাধ্য। তাই আল্লাহ তাআলা সহজ পথ বাতলে দিলেন একজন বুযুর্গের পথ অনুসরণ করবে, তো সীরাতে মুস্তাকিমেরই অনুসরণ হয়ে যাবে।

কিন্তু কথা হচ্ছে যার অনুসরণ করা হবে সে অবশ্যই সীরাতে মুস্তাকিমের পথিক হতে হবে। অর্থাৎ লোকটি {মুরশীদ বা পীর} এর মাঝে থাকতে হবে শরীয়তের পূর্ণ অনুসরণ। বাহ্যিক গোনাহ থেকে হতে হবে মুক্ত। কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে হতে হবে প্রাজ্ঞ। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাতের উপর হতে হবে অবিচল। এমন গুনের অধিকারী কোন ব্যক্তি যদি পাওয়া যায়, তাহলে তার কাছে গিয়ে তার কথা মত দ্বীনে শরীয়ত মানার নামই হল পীর মুরিদী। এরই নির্দেশ আল্লাহ তাআলা কুরআনে দিয়েছেন-
অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক। {সূরা তাওবা-১১৯)

কুরআন হাদীসে পীর মুরিদীর প্রমাণ


আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক। {সূরা তাওবা-১১৯)
এ আয়াতে কারীমায় সুষ্পষ্টভাবে বুযুর্গদের সাহচর্যে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পীর-ওলি-আউলিয়া কারা ?



ওলি আরবী শব্দ যার অর্থ অভিভাবক বা মুরুব্বী, বন্ধু। আরবী ভাষায় “আউলিয়া” শব্দটি “ওলি’র বহুবচন। ‘ওলি’ অর্থ বন্ধু,মিত্র বা অনুসারি। কখনো শব্দটির অর্থ হয় শাসক,অভিভাবক বা কর্তা। (তথ্যসূত্রঃ আরবী-বাংলা অভিধান,প্রকাশনায় ইসলামিকফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)। 
প্রসিদ্ধ আরবী-ইংরেজী অভিধান “আল মাওয়ারিদ” অনুসারে ওলি শব্দের অর্থঃ guardian, patron, friend companion ইত্যাদী।পবিত্র কোরআনে “ওলি” এবং “আউলিয়া” এ উভয় শব্দটির ব্যবহার হয়েছে অসংখ্য বার।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন,

Sunday, January 31, 2016

খাঁটি/কামেল পীরের পরিচয়



খাঁটি পীর বা হেদায়াতের পথ প্রদর্শক হওয়ার জন্য ১০টি শর্ত রয়েছে। যেই পীরের মধ্যে এই ১০টি শর্তের ১টিও পাওয়া যাবেনা, তাহলে বুঝতে হবে সে কখনই আহলে হক হতে পারেনা। তার কাছে গেলে মানুষ কখনই সীরাতে মুস্তাকিমের পথ খুঁজে পাবেনা এবং নিজের আত্মাও পবিত্র হবেনা।

✔ শর্তগুলি হচ্ছে
১। পীর সাহেব তাফসীর, হাদীস, ফিক্হ ও ধর্মীয় যাবতীয় ব্যাপারে অভিজ্ঞ আলিম হওয়া আবশ্যক।

Thursday, January 21, 2016

পঞ্চদশ শতকের যিনি মুজাদ্দিদ উনার মোবারক পরিচয়, আগমনের প্রেক্ষাপট, কারণ ও তাজদীদের ব্যাপ্তির সংক্ষিপ্ত বিবরন- ৪


তাজদীদের ক্ষেত্রঃ
মুজাদ্দিদের তাজদীদের মূল লক্ষ্য ও ক্ষেত্র কোন জনপদের ভৌগোলিক সীমানা অথবা অবকাঠামো নয়। লক্ষ্য হলো মানুষের অন্তরের নোংরা অনুভব, অনৈতিক আচরণ ও শরীয়ত গর্হিত কাজ। ইসলামী পরিভাষায় যার নাম ঈমান, আক্বীদা, ইলম, আমল ও ইখলাছ। একটি সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে জনগণ, সরকার ও সার্বভৌমত্বের সমন্বিত রূপকে রাষ্ট্র বলা হয়। ইসলাম এমন রাষ্ট্র সমর্থন করে না। কারণ, ইসলাম নির্দিষ্ট কোন সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। ইসলাম সার্বজনীন এবং এর আবেদন বিশ্বব্যাপী। ইসলামের কাজ হলো, জগৎময় মানুষের অন্তরকে শাণিত করে তোলা এবং তাঁদের মন ও মননে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফের সমন্বয়ে সৃষ্ট ইলমে তাছাউফের নির্যাস প্রবেশ করিয়ে দেয়া। অর্থাৎ মানুষকে পরিপূর্ণরূপে আল্লাহওয়ালা করে তোলা এবং পৃথিবীব্যাপী “খিলাফত আলা মিন হাজিন নুবুওওয়া” প্রতিষ্ঠিত করা। এ লক্ষ্যে মুজাদ্দিদে আ’যম-এর তাজদীদের ক্ষেত্র গোটা বিশ্বের সকল মানুষ। বিপন্ন ও পথহারা মানুষের হিদায়েতের জন্য তিনি বেমেছাল রূহানী কুওওয়ত সম্পন্ন আলোকবর্তিকা। অন্যসব ধর্ম ও জাতি, গোত্র, বর্ণ নির্বিশেষে অপামর মানুষের জন্যও তিনি মনোনীত হাদী। পরিপূর্ণরূপে ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাউফ অনুসরণে মানুষকে আল্লাহওয়ালা করে তোলা এবং জগৎব্যাপী ইনসানিয়াত প্রতিষ্ঠায় পঞ্চদশ শতকে তিনি আল্লাহ পাক এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শ্রেষ্ঠতম উপহার। আল্লাহ পাক এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আহকামের প্রতি জগৎব্যাপী মানুষের অনীহা, ভ্রান্ত আক্বীদা, সুন্নতের প্রতি অবজ্ঞা এবং ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করে তিনি বেদনাক্লিষ্ট হয়ে পড়েন। এ বেদনাবোধই তাঁর অপ্রতিরোধ্য তাজদীদের ভিত্ রচনা করে।

পঞ্চদশ শতকের যিনি মুজাদ্দিদ উনার মোবারক পরিচয়, আগমনের প্রেক্ষাপট, কারণ ও তাজদীদের ব্যাপ্তির সংক্ষিপ্ত বিবরন- ৩


মুজাদ্দিদ কাকে বলা হয়ঃ
ইসলাম মানুষের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইসলাম আল্লাহ পাক-এর মনোনীত, নিয়ামত ও সন’ষ্টিপ্রাপ্ত পরিপূর্ণ এক দ্বীনি ব্যবস্থা। এতে মানুষকে হাক্বীক্বীভাবে প্রশিক্ষিত ও নিবিষ্ট করার কাজে পৃথিবীতে যুগে যুগে নিয়োজিত থাকেন ওয়ারাসাতুল আম্বিয়াগণ। আল্লাহ পাক-এর মত এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রদর্শিত পথে যাঁরা আমরণ ইস্তিক্বামত থাকেন এবং মানুষকে ইস্তিক্বামত করেন, তাঁরাই ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া। অবুঝ, লক্ষ্যভ্রষ্ট ও বিপথগামী মানুষের আক্বীদা, অনুভব ও অনুসরণকে সুন্নতের বিধানে আল্লাহমুখী করে দেয়ার জন্য এমন মহান ব্যক্তিত্ব দুনিয়ায় সব সময়ই মওজুদ থাকেন। এ মহান ও আয়াসসাধ্য দায়িত্বপালনের জন্য প্রতি শতাব্দীতেই সংষ্কারকের আবির্ভাব ঘটে। এমন সংস্কারককে মুজাদ্দিদ বলা হয়। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ “আল্লাহ পাক এই উম্মতের হিদায়েতের জন্য প্রত্যেক শতাব্দীর প্রারম্ভে এমন এক ব্যক্তিত্ব পাঠিয়ে থাকেন, যিনি উম্মতের জন্য ইসলাম ধর্মের সংষ্কারসাধন করে থাকেন।”

পঞ্চদশ শতকের যিনি মুজাদ্দিদ উনার মোবারক পরিচয়, আগমনের প্রেক্ষাপট, কারণ ও তাজদীদের ব্যাপ্তির সংক্ষিপ্ত বিবরন- ২

পিতা-মাতা:
মুজাদ্দিদে আ’যমের বুযূর্গ পিতা-মাতা উভয়েই আল্লাহ পাক-এর খাছ ওলী। পিতা আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থ’ল খাছ ওলী। তিনি নায়িবে মুজাদ্দিদ, কুতুবুল আলম, আলহাজ্জ, হযরতুল আল্লামা আবু নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বিশিষ্ট খলীফা।

পঞ্চদশ শতকের যিনি মুজাদ্দিদ উনার মোবারক পরিচয়, আগমনের প্রেক্ষাপট, কারণ ও তাজদীদের ব্যাপ্তির সংক্ষিপ্ত বিবরন-১


নাম:
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত্ ত্বরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদ্য়াত, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী মুদ্দা জিল্লুহুল আলী।

ঠিকানা:
৫, আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা-১২১৭ বাংলাদেশ।

রাজারবাগ শরীফের সিলসিলা মুতাবিক- ক্বাদিরিয়া তরীক্বার শাজরা শরীফ

একজন তরীক্বতপন্থীর নিকট শাজরা শরীফ-এর গুরুত্ব অপরিসীম। এর দ্বারা প্রত্যেক মুরীদ তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সিলসিলা কিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছলো তা জানতে পারে। শাজরা ও সিলসিলা দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বতগণ উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।

একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মুরাদুল মুরীদীন কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্বন্ধে অবগত নয়, সে ব্যক্তির মুরীদ হওয়া অর্থহীন।
মাদারিজুস সালিকীন ইলা রুসুমে তরীক্বিল আরিফীন কিতাবে রয়েছে, সমস্ত সলফি ছালিহীন ও তরীক্বতের শায়খগণ উনারা একথার উপর একমত হয়েছেন যে, যে ব্যক্তি তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্পর্কে অবগত নয়, সে অকর্মণ্য।

রাজারবাগ শরীফের সিলসিলা মুতাবিক- চীশতিয়া তরীক্বার শাজরা শরীফ


একজন তরীক্বতপন্থীর নিকট শাজরা শরীফ-এর গুরুত্ব অপরিসীম। এর দ্বারা প্রত্যেক মুরীদ তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সিলসিলা কিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছলো তা জানতে পারে। শাজরা ও সিলসিলা দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বতগণ উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।

একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মুরাদুল মুরীদীন কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্বন্ধে অবগত নয়, সে ব্যক্তির মুরীদ হওয়া অর্থহীন।
মাদারিজুস সালিকীন ইলা রুসুমে তরীক্বিল আরিফীন কিতাবে রয়েছে, সমস্ত সলফি ছালিহীন ও তরীক্বতের শায়খগণ উনারা একথার উপর একমত হয়েছেন যে, যে ব্যক্তি তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্পর্কে অবগত নয়, সে অকর্মণ্য।

রাজারবাগ শরীফের সিলসিলা মুতাবিক- নকশবন্দিয়ায়ে মুজাদ্দিদিয়া তরীক্বার শাজরা শরীফ


একজন তরীক্বতপন্থীর নিকট শাজরা শরীফ-এর গুরুত্ব অপরিসীম। এর দ্বারা প্রত্যেক মুরীদ তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সিলসিলা কিভাবে  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছলো তা জানতে পারে। শাজরা ও সিলসিলা দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বতগণ উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মুরাদুল মুরীদীন কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্বন্ধে অবগত নয়, সে ব্যক্তির মুরীদ হওয়া অর্থহীন।
মাদারিজুস সালিকীন ইলা রুসুমে তরীক্বিল আরিফীন কিতাবে রয়েছে, সমস্ত সলফি ছালিহীন ও তরীক্বতের শায়খগণ উনারা একথার উপর একমত হয়েছেন যে, যে ব্যক্তি তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্পর্কে অবগত নয়, সে অকর্মণ্য।

Wednesday, January 13, 2016

আমরা যাকে পীর মুরিদ করা বলে থাকি মানে হল বায়াত করা এবং হওয়া এর বিধান কি কোরআন হাদিসে কোথাও আছে?


"হে রাসূল! যেসব লোক আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল, তারা আসলে আল্লাহর নিকটই বাইয়াত হচ্ছিল। তাদের হাতের উপর আল্লাহর কুদরতের হাত ছিল।হে রাসূল! আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন যখন তারা গাছের নীচে আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল। (সূরা ফাতহ ঃ ১৮)

★ অপর আয়াতে আল্লাহ বাইয়াত বা প্রতিশুতি বদ্ধ হওয়ার পর তা রক্ষাকারী সম্পর্কে বলেন :-

পীরে-মুর্শিদ বা ওলী ধরতে হবে, এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন পাকে বহু নির্দেশ আছে ।


পীর শব্দটি পবিত্র কোরআন পাকে নেই। কারন পীর শব্দটি ফার্সি ভাষা হতে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে । যেমনঃ নামাজ, রোজা, ফিরিস্তা, খোদা, ইত্যাদি শব্দগুলো কোরআন শরীফে-এ নেই। কারন উহা ফার্সি শব্দ, তবে এর প্রতিটি ফার্সি শব্দেরই প্রতিশব্দ কোরআন শরীফে আছে, যেমনঃ নামাজ-সালাত, রোজা-সাওম, ফিরিশ্তা-মালাকুন ইত্যাদি। 

** আবার সালাত আরবি শব্দটি স্থান বিশেষ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। অনুরূপ ভাবে পীর ফার্সি শব্দের প্রতিশব্দ পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শব্দে প্রকাশ করেছেন, যথাঃ 'অলি' বহুবচনে আউলিয়া, মুর্শিদ, ইমাম, বহুবচনে আইম্মা, হাদি, ছিদ্দিকিন, ইত্যাদি।

নিম্নে পবিত্র কোরআন শরিফের কিছু আয়াত অর্থসহ পেশ করা হলঃ-