Sunday, January 31, 2016

খাঁটি/কামেল পীরের পরিচয়



খাঁটি পীর বা হেদায়াতের পথ প্রদর্শক হওয়ার জন্য ১০টি শর্ত রয়েছে। যেই পীরের মধ্যে এই ১০টি শর্তের ১টিও পাওয়া যাবেনা, তাহলে বুঝতে হবে সে কখনই আহলে হক হতে পারেনা। তার কাছে গেলে মানুষ কখনই সীরাতে মুস্তাকিমের পথ খুঁজে পাবেনা এবং নিজের আত্মাও পবিত্র হবেনা।

✔ শর্তগুলি হচ্ছে
১। পীর সাহেব তাফসীর, হাদীস, ফিক্হ ও ধর্মীয় যাবতীয় ব্যাপারে অভিজ্ঞ আলিম হওয়া আবশ্যক।

Thursday, January 21, 2016

পঞ্চদশ শতকের যিনি মুজাদ্দিদ উনার মোবারক পরিচয়, আগমনের প্রেক্ষাপট, কারণ ও তাজদীদের ব্যাপ্তির সংক্ষিপ্ত বিবরন- ৪


তাজদীদের ক্ষেত্রঃ
মুজাদ্দিদের তাজদীদের মূল লক্ষ্য ও ক্ষেত্র কোন জনপদের ভৌগোলিক সীমানা অথবা অবকাঠামো নয়। লক্ষ্য হলো মানুষের অন্তরের নোংরা অনুভব, অনৈতিক আচরণ ও শরীয়ত গর্হিত কাজ। ইসলামী পরিভাষায় যার নাম ঈমান, আক্বীদা, ইলম, আমল ও ইখলাছ। একটি সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে জনগণ, সরকার ও সার্বভৌমত্বের সমন্বিত রূপকে রাষ্ট্র বলা হয়। ইসলাম এমন রাষ্ট্র সমর্থন করে না। কারণ, ইসলাম নির্দিষ্ট কোন সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। ইসলাম সার্বজনীন এবং এর আবেদন বিশ্বব্যাপী। ইসলামের কাজ হলো, জগৎময় মানুষের অন্তরকে শাণিত করে তোলা এবং তাঁদের মন ও মননে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফের সমন্বয়ে সৃষ্ট ইলমে তাছাউফের নির্যাস প্রবেশ করিয়ে দেয়া। অর্থাৎ মানুষকে পরিপূর্ণরূপে আল্লাহওয়ালা করে তোলা এবং পৃথিবীব্যাপী “খিলাফত আলা মিন হাজিন নুবুওওয়া” প্রতিষ্ঠিত করা। এ লক্ষ্যে মুজাদ্দিদে আ’যম-এর তাজদীদের ক্ষেত্র গোটা বিশ্বের সকল মানুষ। বিপন্ন ও পথহারা মানুষের হিদায়েতের জন্য তিনি বেমেছাল রূহানী কুওওয়ত সম্পন্ন আলোকবর্তিকা। অন্যসব ধর্ম ও জাতি, গোত্র, বর্ণ নির্বিশেষে অপামর মানুষের জন্যও তিনি মনোনীত হাদী। পরিপূর্ণরূপে ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাউফ অনুসরণে মানুষকে আল্লাহওয়ালা করে তোলা এবং জগৎব্যাপী ইনসানিয়াত প্রতিষ্ঠায় পঞ্চদশ শতকে তিনি আল্লাহ পাক এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শ্রেষ্ঠতম উপহার। আল্লাহ পাক এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আহকামের প্রতি জগৎব্যাপী মানুষের অনীহা, ভ্রান্ত আক্বীদা, সুন্নতের প্রতি অবজ্ঞা এবং ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করে তিনি বেদনাক্লিষ্ট হয়ে পড়েন। এ বেদনাবোধই তাঁর অপ্রতিরোধ্য তাজদীদের ভিত্ রচনা করে।

পঞ্চদশ শতকের যিনি মুজাদ্দিদ উনার মোবারক পরিচয়, আগমনের প্রেক্ষাপট, কারণ ও তাজদীদের ব্যাপ্তির সংক্ষিপ্ত বিবরন- ৩


মুজাদ্দিদ কাকে বলা হয়ঃ
ইসলাম মানুষের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইসলাম আল্লাহ পাক-এর মনোনীত, নিয়ামত ও সন’ষ্টিপ্রাপ্ত পরিপূর্ণ এক দ্বীনি ব্যবস্থা। এতে মানুষকে হাক্বীক্বীভাবে প্রশিক্ষিত ও নিবিষ্ট করার কাজে পৃথিবীতে যুগে যুগে নিয়োজিত থাকেন ওয়ারাসাতুল আম্বিয়াগণ। আল্লাহ পাক-এর মত এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রদর্শিত পথে যাঁরা আমরণ ইস্তিক্বামত থাকেন এবং মানুষকে ইস্তিক্বামত করেন, তাঁরাই ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া। অবুঝ, লক্ষ্যভ্রষ্ট ও বিপথগামী মানুষের আক্বীদা, অনুভব ও অনুসরণকে সুন্নতের বিধানে আল্লাহমুখী করে দেয়ার জন্য এমন মহান ব্যক্তিত্ব দুনিয়ায় সব সময়ই মওজুদ থাকেন। এ মহান ও আয়াসসাধ্য দায়িত্বপালনের জন্য প্রতি শতাব্দীতেই সংষ্কারকের আবির্ভাব ঘটে। এমন সংস্কারককে মুজাদ্দিদ বলা হয়। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ “আল্লাহ পাক এই উম্মতের হিদায়েতের জন্য প্রত্যেক শতাব্দীর প্রারম্ভে এমন এক ব্যক্তিত্ব পাঠিয়ে থাকেন, যিনি উম্মতের জন্য ইসলাম ধর্মের সংষ্কারসাধন করে থাকেন।”

পঞ্চদশ শতকের যিনি মুজাদ্দিদ উনার মোবারক পরিচয়, আগমনের প্রেক্ষাপট, কারণ ও তাজদীদের ব্যাপ্তির সংক্ষিপ্ত বিবরন- ২

পিতা-মাতা:
মুজাদ্দিদে আ’যমের বুযূর্গ পিতা-মাতা উভয়েই আল্লাহ পাক-এর খাছ ওলী। পিতা আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থ’ল খাছ ওলী। তিনি নায়িবে মুজাদ্দিদ, কুতুবুল আলম, আলহাজ্জ, হযরতুল আল্লামা আবু নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বিশিষ্ট খলীফা।

পঞ্চদশ শতকের যিনি মুজাদ্দিদ উনার মোবারক পরিচয়, আগমনের প্রেক্ষাপট, কারণ ও তাজদীদের ব্যাপ্তির সংক্ষিপ্ত বিবরন-১


নাম:
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত্ ত্বরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদ্য়াত, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী মুদ্দা জিল্লুহুল আলী।

ঠিকানা:
৫, আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা-১২১৭ বাংলাদেশ।

রাজারবাগ শরীফের সিলসিলা মুতাবিক- ক্বাদিরিয়া তরীক্বার শাজরা শরীফ

একজন তরীক্বতপন্থীর নিকট শাজরা শরীফ-এর গুরুত্ব অপরিসীম। এর দ্বারা প্রত্যেক মুরীদ তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সিলসিলা কিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছলো তা জানতে পারে। শাজরা ও সিলসিলা দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বতগণ উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।

একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মুরাদুল মুরীদীন কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্বন্ধে অবগত নয়, সে ব্যক্তির মুরীদ হওয়া অর্থহীন।
মাদারিজুস সালিকীন ইলা রুসুমে তরীক্বিল আরিফীন কিতাবে রয়েছে, সমস্ত সলফি ছালিহীন ও তরীক্বতের শায়খগণ উনারা একথার উপর একমত হয়েছেন যে, যে ব্যক্তি তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্পর্কে অবগত নয়, সে অকর্মণ্য।

রাজারবাগ শরীফের সিলসিলা মুতাবিক- চীশতিয়া তরীক্বার শাজরা শরীফ


একজন তরীক্বতপন্থীর নিকট শাজরা শরীফ-এর গুরুত্ব অপরিসীম। এর দ্বারা প্রত্যেক মুরীদ তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সিলসিলা কিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছলো তা জানতে পারে। শাজরা ও সিলসিলা দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বতগণ উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।

একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মুরাদুল মুরীদীন কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্বন্ধে অবগত নয়, সে ব্যক্তির মুরীদ হওয়া অর্থহীন।
মাদারিজুস সালিকীন ইলা রুসুমে তরীক্বিল আরিফীন কিতাবে রয়েছে, সমস্ত সলফি ছালিহীন ও তরীক্বতের শায়খগণ উনারা একথার উপর একমত হয়েছেন যে, যে ব্যক্তি তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্পর্কে অবগত নয়, সে অকর্মণ্য।

রাজারবাগ শরীফের সিলসিলা মুতাবিক- নকশবন্দিয়ায়ে মুজাদ্দিদিয়া তরীক্বার শাজরা শরীফ


একজন তরীক্বতপন্থীর নিকট শাজরা শরীফ-এর গুরুত্ব অপরিসীম। এর দ্বারা প্রত্যেক মুরীদ তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সিলসিলা কিভাবে  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছলো তা জানতে পারে। শাজরা ও সিলসিলা দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বতগণ উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মুরাদুল মুরীদীন কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্বন্ধে অবগত নয়, সে ব্যক্তির মুরীদ হওয়া অর্থহীন।
মাদারিজুস সালিকীন ইলা রুসুমে তরীক্বিল আরিফীন কিতাবে রয়েছে, সমস্ত সলফি ছালিহীন ও তরীক্বতের শায়খগণ উনারা একথার উপর একমত হয়েছেন যে, যে ব্যক্তি তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার শাজরা শরীফ বা সিলসিলা সম্পর্কে অবগত নয়, সে অকর্মণ্য।

Wednesday, January 13, 2016

আমরা যাকে পীর মুরিদ করা বলে থাকি মানে হল বায়াত করা এবং হওয়া এর বিধান কি কোরআন হাদিসে কোথাও আছে?


"হে রাসূল! যেসব লোক আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল, তারা আসলে আল্লাহর নিকটই বাইয়াত হচ্ছিল। তাদের হাতের উপর আল্লাহর কুদরতের হাত ছিল।হে রাসূল! আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন যখন তারা গাছের নীচে আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল। (সূরা ফাতহ ঃ ১৮)

★ অপর আয়াতে আল্লাহ বাইয়াত বা প্রতিশুতি বদ্ধ হওয়ার পর তা রক্ষাকারী সম্পর্কে বলেন :-

পীরে-মুর্শিদ বা ওলী ধরতে হবে, এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন পাকে বহু নির্দেশ আছে ।


পীর শব্দটি পবিত্র কোরআন পাকে নেই। কারন পীর শব্দটি ফার্সি ভাষা হতে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে । যেমনঃ নামাজ, রোজা, ফিরিস্তা, খোদা, ইত্যাদি শব্দগুলো কোরআন শরীফে-এ নেই। কারন উহা ফার্সি শব্দ, তবে এর প্রতিটি ফার্সি শব্দেরই প্রতিশব্দ কোরআন শরীফে আছে, যেমনঃ নামাজ-সালাত, রোজা-সাওম, ফিরিশ্তা-মালাকুন ইত্যাদি। 

** আবার সালাত আরবি শব্দটি স্থান বিশেষ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। অনুরূপ ভাবে পীর ফার্সি শব্দের প্রতিশব্দ পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শব্দে প্রকাশ করেছেন, যথাঃ 'অলি' বহুবচনে আউলিয়া, মুর্শিদ, ইমাম, বহুবচনে আইম্মা, হাদি, ছিদ্দিকিন, ইত্যাদি।

নিম্নে পবিত্র কোরআন শরিফের কিছু আয়াত অর্থসহ পেশ করা হলঃ-