Wednesday, October 25, 2017

" ইমামুস সিদ্দিকিন " লক্বব

সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দিকে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিদ্দীক উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। এই কারণে উনাকে বলা হয় ইমামুস সিদ্দিকীন। অথচ  সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম নিজের নামের সাথে এই উপাধি ব্যবহার করেন।

সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালামদাবী স্বয়ং আল্লাহ পাক ও হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এই পীরালির দায়িত্ব দিয়েছে।

এটা সত্য । কিন্তু ও তবে ব্যপারটি ও বিদ্যমান । তিনি আল্লাহ পাক ও তার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে খিলাফত প্রাপ্ত এবং উসীলা উনার পীর সাহেব তাজুল মুফাস্‌সিররীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, কুতুবুল আলম, মুফতিউল আ’যম হযরত মাওলানা শাহ ছূফী আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ নানুপূরী (যাত্রাবাড়ির হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা) রহ্‌মতুল্লাহি আলাইহি।

রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পর্কে যারা অপপ্রচার তিনি ভাইদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন নাউযুবিল্লাহ

* সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ব্যপারে অভিযগ রয়েছে, তিনি উনার ভাইদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন এবং এই নিয়ে মামলাও বিচারাধিন।নাউযুবিল্লাহ 
 অথচ উনার ভাইয়েরা উনাকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বহু চেষ্টা করছে ।  মূলতঃ উনার ভাই ও এসব অপপ্রচারের শামীল । তারা দলিল দিতে পারবে না তাই আমি দলিল দিচ্ছি । 
* ১৯৪৮ সালে সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পিতা মরহুম সাইয়্যিদ মুহম্মদ মোখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম , উনার মাতার নামে ৫ আউটার সার্কুলার রোডস্থ হোল্ডিংয়ে ৪ বিঘা ১৪ আনা ৪ ছটাক জমি খরিদ করেন। 
* পরবর্তীতে সুখে শান্তিতে বসবাসরত অবস্থায় ১৯৮০ সালে ১.০৩ একর সম্পত্তিতে উনার মাতা নিজ নামে কিয়দাংশ রেখে অবশিষ্ট সম্পত্তি উনাদের ৫ পুত্র এবং ৪ কন্যার নামসহ উনাদের পিতার নামে দানপত্র করে নামজারী করে দেন। কিন্তু ১৯৯০ সালে  সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মেঝ ভাই হাফিজুর রহমান বিদেশ থেকে এসে পারিবারিক সকল সম্পত্তি উন্নয়নের জন্য সে  সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালামসহ মোট ৫ ভাই এবং ৪ বোনকে নিয়ে ১৯৯১ সালে জেড আর এস্টেট প্রাঃ লিঃ কোম্পানী গঠন করে। 

রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পর্কে যারা অপপ্রচার' তাসাউফ শাস্ত্রের সর্বোচ্ছ অধিকারী'

*আত্নশুদ্ধি অর্জনের জন্য যে সাধনা করা হয়, তাকে বলা হয় তাসাউফ। রাজারবাগি পীর সাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম দাবি তিনি এই তাসাউফ শাস্ত্রের সর্বোচ্ছ অধিকারী ।
এখানে যদি প্রশ্ন করা হয় এ কথা কি রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম  তিনি নিজে বলেছেন ?  দুইটা উত্তর দিবে-  
১ ইন্টারনেট থেকে পেয়েছি । 
২ মুরিদরা বলেছে ।
তো এখানেও মিথ্যার আশ্রয় নিল । 
* বাতিল ফিরকাদের দাবি,  সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি গাউসুল আযম বড় পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকেও অনেক বড় ধরনের পীর।

রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পর্কে অপপ্রচার কায়্যুমুয যমান

*তার দাবী, সে কায়্যুমুয যমান তথা যমানার ধারক বাহক।
সত্য বলেছে । তিনি কায়্যুমুয যামান । একজন মুমিন ব্যক্তি কখন কায়্যুমুয যামান হয় ? যখন ঐ মুমিন ব্যক্তি নফল ইবাদত করতে করতে এমন এক পর্যায় যান যেখানে নৈকট্য রয়েছে ।
হাদিসে উল্লেখ আছে “ বান্দা নফল ইবাদত করতে করতে আমার এতটুকু নৈকট্য হাসীল করে যে আমি তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে আমি তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলে আমি তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে আমি তার মুখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে বলে আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে । “
এখানে লক্ষ্যণীয় যে উক্ত মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ হয়ে যান । কিন্তু হাকিক্কত নন । উপমাটা এরুপ যে একটি রশি দুনিয়ার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত । তাকে একটি গিট । এখানে হাকিক্কত হলো মূল রশি গিট হলো মুমিন বান্দাটি ।
তো স্বাভাবিক ভাবেই তিনি কায়্যুমুয যামান । তাছাড়াও তিনি সম্মানিত ১২ ইমামদের একজন । এ বিষয়ে পরে বলছি । আশা করা যায় বিষয়টি বুজতে পেরেছেন ।
*সূর্য এবং চন্দ্র নাকি উনার অনুমতি ব্যতিত উদিত হয় না বা অস্ত যায় না।
এই বক্তব্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা । উনি কখন এ কথা  বলেছেন ?
উত্তর একটাই না তিনি বলেন নি মূলত কায়্যুমুয যামান লকবের সূত্র ধরেই তারা এ কথা নিজ থেকে বলছে ।
তো এখানে কেন বানিয়ে বানিয়ে কথাটা বলল ?
“যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে প্রমাণ পেশ করো ”
কারো সম্পর্কে তার অনুপস্থিতিতে বানিয়ে কথা বলা কি গীবতের মত বড় গূনাহ নয় !