Friday, July 28, 2017

রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩

(৩). ঢাকাস্থ ‘রাজারবাগ শরীফ’ থেকে কার্যক্রম শুরু:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ববর্তী সময়ে যে সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা এসেছিলেন, উনারা একটি নির্দিষ্ট কওমের হিদায়েতের জন্য এসেছিলেন। একমাত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এসেছেন পুরো কায়িনাতের জন্য। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন ‘খাতামুন নাবিইয়ীন’ অর্থাৎ উনার পর আর কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা আসবেন না; কিন্তু উনার উম্মতের মধ্য থেকে আসবেন সম্মানিত “মুজাদ্দিদ”। মুজাদ্দিদগণ কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থান করলেও উনাদের হিদায়েতের কার্যপরিধি থাকে পৃথিবীব্যাপী।

Thursday, July 27, 2017

রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-২: মুবারক পূর্বপূরুষ উনাদের পরিচিতি:


আমাদের এ অঞ্চলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচারের জন্য কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা আসেননি। এসেছেন হযরত ওরাছাতুল আম্বিয়াগণ অর্থাৎ ওলীআল্লাহগণ উনারা। উনারাই এ অঞ্চল যথা: বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচার করেছেন, পথহারা মানুষদেরকে ঈমান দান করেছেন। এমনি এক মহান ওলীআল্লাহ ছিলেন খাজা গরীবে নাওয়াজ হযরত মুঈনুদ্দীন চিশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি; যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাইবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে ভাতবর্ষের আজমীর শরীফে হেদায়েতের বার্তা নিয়ে আগমন করেন। তিনি সমরখন্দ, লাহোর, মুলতান হয়ে দিল্লী পৌঁছেন। পরবর্তীতে দিল্লী থেকে আজমীর শরীফ পৌঁছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচার শুরু করেন।

রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-১

(১)রাজারবাগ শরীফ উনার সিলসিলা:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক করেন- “আমার উম্মত আমার শিক্ষাকে ৭৩টি দলে বিভক্ত করবে, তবে তার মাঝে একটি দল হবে হক।” সেই সঠিক আক্বীদাবিশিষ্ট দলকে পরবর্তীতে বলা হয়েছে ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত’। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো অনেকেই নিজেদের সেই দলের সদস্য দাবি করছে কিন্তু তাদের আক্বঈদ, আমল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত থেকে ভিন্ন, যেমন ওহাবী ও সলাফী সম্প্রদায়। চার মাযহাবের অনুসারীগণই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী। তারপরেও একই মাযহাবের অনুসারীগণের মধ্যে আবার ইলমে তাসাউফ, ইলমে আখলাক বা ইলমে বাতেন হাছিলের জন্য বিভিন্ন ধারা, তরীক্বা বা সিলসিলা পাওয়া যায়। ‘সিলসিলা’ একটি আরবী শব্দ; যার অর্থ- চেইন বা সংযোগের ধারাবাহিকতা। এটা আধ্যাত্মিক বংশতালিকাও বটে, যেখানে একজন কামিল মুর্শিদ বা শায়েখ উনার উত্তরপুরুষদের মধ্যে খিলাফতের ভার ন্যাস্ত করে যান। ‘সিলসিলা’ হচ্ছে কামিল মুর্শিদ বা শায়েখগণের একটি পর্যায়ক্রমিক ধারা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- গাউসুল আ’যম হযরত বড়পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং সুলত্বানুল হিন্দ হযরত খাজা গারীব নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা আহলে সুন্নাত জামাতের আক্বীদাভুক্ত হবার পরেও মাযহাবের দিক থেকে এবং তাসাউফ শিক্ষার সিলসিলার দিক থেকে ভিন্ন। আর সে কারণে অনেক সময় তাসাউফ শিক্ষার পর্যায়ক্রমিক ধারাই ‘সিলসিলা’ হিসেবে মশহুর হয়ে থাকে।