Monday, February 1, 2016

বাইয়াত এর ব্যাখ্যা ও গুরুত্ব


সুরা তওবার ১১১ নং আয়াতে আল্লাহ পাক ঘোষনা করেছেন যে, "মুমিনের জান-মাল বেহেস্তের বিনিময়ে খরিদ করে নিয়েছেন।"

আর মালের মালিক যদি নিজ ইচ্ছায় মাল বিক্রয় না করে তবে তার মাল কেহ ক্রয় করতে পারে না। অর্থাৎ যে সকল মুমিন নিজ ইচ্ছায় জান-মাল বিক্রয় করতে ইচ্ছুক আল্লাহ তাদের কাছ থেকেই জান-মাল ক্রয় করতে ইচ্ছুক। আর যারাই জান-মাল বিক্রয় করবে তারাই সত্যিকারের মুমিন। যেহুত বেহেশত দুনিয়ার জীবনে পাওয়া সম্ভব নয় তাই বেহেশতের বিনিময়ে ক্রয় করা জান ও মাল আল্লাহ সাথে সাথে নিয়েও নেন না।

পীর-মুরীদ কাকে বলে?


পীর শব্দটি ফার্সি। আরবীতে বলা হয় মুরশীদ। মুরশীদ শব্দের অর্থ হল পথপ্রদর্শক। যিনি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার প্রশিক্ষণ দেন তার নাম মুরশীদ বা পথপ্রদর্শক। যাকে ফার্সীতে বলে পীর।
“মুরীদ” শব্দটিও আরবী। যার অর্থ হল ইচ্ছাপোষণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার ইচ্ছা পোষণ করে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির হাত ধরে শপথ করে সে ব্যক্তির নাম হল “মুরীদ”।
এ ব্যাখ্যা থেকে একথা স্পষ্ট হল যে, পীর হবেন শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন করার প্রশিক্ষণদাতা। আর যিনি সে প্রশিক্ষণ নিতে চায় সে শিক্ষার্থীর নাম হল “মুরীদ”।
সুতরাং যে ব্যক্তি নিজেই শরীয়তের বিধান মানে না, নামায পড়ে না, পর্দা করে না, সতর ঢেকে রাখে না বা শরীয়তের আবশ্যকীয় কোন বিধান পালন করে না, সে ব্যক্তি কিছুতেই পীর তথা মুর্শীদ হতে পারে না। কারণ তার নিজের মাঝেই যখন শরীয়ত নেই, সে কিভাবে অন্যকে শরীয়তের উপর আমল করা প্রশিক্ষণ দিবে? নিজেইতো প্রশিক্ষিত নয়।

কামেল পীরের আলামত: মালানা আশরাফ আলী দেওবন্দী


(১) পীর সাহেব কুরআন, হাদীস মাসলা মাসায়েল সম্পর্কে আলেম হবেন। তবে এ ইলমের শেষ মর্তবা ও সব ইলম সম্পর্কে আলেম হওয়ার আবশ্যক।
(২) পীর সাহেব আকীদা-বিশ্বাস ও আমল শরীয়তের মোয়াফেক। স্বভাব চরিত্র ও অন্যান্য গুণাবলী যে রকম শরীয়তে চায় সে রকম হওয়া দরকার।
(৩) পীর সাহেবের মাঝে লোভ টাকা পয়সা, সম্মান, প্রতিপত্তি, যশঃ ও সুখ্যাতির লিপ্সা থাকবে না। নিজে কামেল হওয়ার দাবী করবে না। কেননা, এটাও দুনিয়া মহব্বতেরই অন্তর্ভূক্ত।

শায়েখ ও পীর হওয়ার জন্য যে সব শর্ত জরুরী

শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি- 
(১) পীর হওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হল, কোরআন, হাদীসের আলেম হওয়া। (আল কওলুল জামিল ২০ পৃ.)
(২) পীর হওয়ার জন্য দ্বিতীয় শর্ত হল, ন্যায়নীতিবান ও খোদাভীরু হওয়া। কবীরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকবে এবং ছগীরা গোনাহও বার-বার করবে না। (আল কওলুল জামিল ২৪ পৃ.)
(৩) পীর হওয়ার জন্য তৃতীয় শর্ত হল, দুনিয়াত্যাগী ও আখেরাতমুখী হওয়া। যিকির ও মামূলাত নিয়মিত পালন করা এবং সঠিক হাদীস দ্বারা প্রমাণিত সুন্নতে মুয়াক্কাদা ও নফল ইবাদত সময়মত আদায় করা। অন্তরে সর্বদা আল্লাহ পাকের স্বরণ রাখা। যাকে ‘ইয়াদ-দাশত’ বলা হয়, তা যেন অন্ত্মরের স্থায়ী গুণে পরিণত হয়ে যায়। (আল কওলুল জামিল ২৫ পৃ.)
(৪) পীর হওয়ার জন্য চতুর্থ শর্ত হল, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা। সঠিক জ্ঞানের অধিকারী হওয়া, কথা ও কাজে বিশ্বস্ত থাকা। যেন তার আদেশ- নিষেধের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা যায়। যেমন আল্লাহ পাক বলেন, যে সব সাক্ষীগণের সাক্ষী দেওয়ার প্রতি তোমরা সন্ত্মুষ্ট থাকো, তাদের সাক্ষী গ্রহণ করো”। তাহলে পীরের প্রতি কেমন ধরনের সুধারণা হওয়া উচিত? কারণ সাক্ষী গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যদি সাক্ষীগণের বিশ্বস্ত্ম হওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে পীর হওয়ার জন্য বিশ্বস্ত্ম হওয়া কত বেশি প্রয়োজন হওয়া উচিত। (আল কওলুল জামিল ২৫ পৃ.) সাক্ষী দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি সাক্ষীগণের বিশ্বস্ত্ম হওয়ার প্রয়োজন হয়, যা পার্থিব বিষয়। তাহলে ঈমানের সত্যতা প্রমাণ করার জন্য বাইয়াত গ্রহণকারী পীরের জন্য মুত্তাকী, পরহেজগার ও বিশ্বস্ত্ম হওয়া আরো বেশি প্রয়োজন, কারণ তা ঈমানী ও ইসলাহী বিষয়। আর তার জন্য সুন্নতের অনুসরণ করাও জরুরী। লোক সমাজে পীরের বিশ্বস্ত্ম হওয়ার জন্য জাহেরী ও বাতেনী গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা এবং ছগীরা গোনাহ থেকেও বেঁচে থাকা জরুরী।
(৫) পীর হওয়ার জন্য পঞ্চম শর্ত হল, অনেক দিন ধরে পীর-মাশায়েখের সোহবতে থেকে আদব আখলাক শিক্ষা করা। বাতেনী নূর হাসিল করা এবং ‘সাকিনা’ অর্থাৎ সবর-ধৈর্য ও বিনয়-নম্রতার গুণ অর্জন করা। কারণ আল্লাহ পাকের নিয়ম হল, কোন মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত্ম দ্বীন হাসিল করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির সঙ্গ লাভ না করবে এবং তাদেরকে দেখে দেখে ভাল গুণগুলো শিক্ষা না করবে। (আল কওলুল জামিল ২৬ পৃ.)

পীর হওয়ার পূর্ব শর্ত গুলো কি কি

* হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, "যে ব্যক্তি ফিকাহের ইলম হাসিল করল। কিন্তু তাসাউফের ইলম শিক্ষা করল না, সে ফাসেক। আর যে ব্যক্তি তাসাউফের ইলম হাসিল করল, কিন্তু ফিকাহের ইলম শিক্ষা করল না, সে জিন্দিক। তবে যে ব্যক্তি জাহেরী ও বাতেনী উভয় ইলম শিক্ষা করল। সেই সত্যিকারের হক্কানী আলেম। (মেশকাত শরিফের শরাহ মেরকাত, কাহেরার ১ খ. ৩১৩ পৃ. এবং বাইরুত ২ খ. ৪৭৮ পৃ.)
* হযরত জুনাইদ বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন- "তুমি আলেম হয়ে সুফী হও,সুফী হয়ে আলেম হইয়োনা ধ্বংস হয়ে যাবে " ।

দেওবন্দী আলেমদের মতে পীর ওলি…

বর্তমান দেওবন্দী গণ আহলে হাদিসের নিউ আপডেট। পীর মাশায়েখ গণ যদি কোনো উপকারে না আসে তা হলে  দেওবন্দ এর সকল আলেম কেন নিজেদের কে (চিশতিয়া ) বুজুর্গ বলে দাবি করেন ? আর হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর হাতে কেন বাইয়াত হল ? 

যারা বলে কেয়ামতেন দিন কোন ওলির সূপারিশ গ্রহন হবেনা এটি কাফেরদের জন্য কোন মুসলিমের জন্য নয়

১. আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে একাধিক আয়াতে তার প্রিয় নবী ও অলিদের সুপারিশ করার ক্ষমতা প্রদান করেছেন। কিন্তু তারা ওইসব আয়াতকে পাশ কাটিয়ে শুধু এই আয়াতটির ওপর নির্ভর করে নবী এবং অলি-আল্লাহদের সুপারিশ করার কোনো ক্ষমতা থাকবে না বলে যে ফতোয়া দেন তা সম্পূর্ণভাবে পবিত্র কোরআন ও হাদিসবিরোধী।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  সূরা বাকারার ৪৮নং আয়াতটির ব্যাখ্যায় বলেছেন, ওই আয়াতে ‘অলা ইউক্বাবালু মিনহা শাফা’ অর্থাৎ সেদিন কারও কোনো সুপারিশ কাজে আসবে না বলে যে কথাটি বলা হয়েছে তা কাফের এবং মুশরিকদের বেলায় প্রযোজ্য। (দেখুন তফসিরে ইবনে কাছির, ইমাম কুরতুবিসহ আরও অনেক তফসির)।

যারা ওলি আউলিয়া মানে না এবং গালিগালাজ করে তারা কুফরী করে ।


আজকাল আমাদের সমাজে ওলি আউলিয়া বিরোধী অনেক ভন্ড জাহেল কপট দাজ্জাল মুনাফেক মৌলভি ও তাদের অনুসারী আছে যারা আউলিয়ায়ে কেরামের নাম শুনলে তাদের মনটাকে সংকুচিত করে ফেলে এবং ওদের শরীরে চুলকানি উঠে যায়, আর আউলিয়া কেরামের শান শুনলেতো শিম্পাঞ্জির মত ভেটকি মারে ও মুখটাকে বেন্গাচির মত বানিয়ে ফেলে, আমার প্রশ্ন হলো অলি আউলিয়া কি ইসলাম তথা কোরআন সুন্নাহর বাইরের কোনো বিষয় যে এটা মানা হারাম, বেদাত, শিরক বা কুফরী হবে? যারা ওলি আউলিয়া মানে না তারা বরং কুফরী করে কারন পবিত্র আল-কোরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক স্পষ্টভাবে প্রমান করে যে ওলি আউলিয়ার ইজ্জত মুহব্বত করা হালাল কখনোই হারাম নয়, তাই এখন যারা ওলি আউলিয়া অস্বীকার করে তারাতো পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহ শরিফ কে অস্বীকার করে, আর পবিত্র কোরআনের একটা আয়াত বা নূর নবীজির একটা হাদিস যে অস্বীকার করবে সে সাথে সাথে কাফের হয়ে যাবে, নিঃসন্দেহে আর ওলী-আল্লাহগণ উনাদের সম্পর্কে আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন শরীফে ইরশাদ করেন, ﺃَﻻ ﺇِﻥَّ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺀ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻻَ ﺧَﻮْﻑٌ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﻫُﻢْ ﻳَﺤْﺰَﻧُﻮﻥَ “সাবধান! নিশ্চয়ই যারা আল্লাহপাকের ওলী তাদের কোন ভয় নেই এবং চিন্তা-পেরেশানীও নেই।” [সূরা ইউনূছঃ আয়াত শরীফ ৬২]

বাইয়াত এর শাব্দিক বিশ্লেষণ


** “বাইয়াত” শব্দের উৎপত্তি হয়েছে, “বাইয়ুন” শব্দ থেকে।
** “বাইয়ুন” শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে “ক্রয়-বিক্রয়”
** এখানে এই “ক্রয়-বিক্রয়” মানে হচ্ছে আমার আমিত্বকে আল্লাহর রাহে (ওয়াস্তে) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  নিকট গিয়ে কোরবান করে দিলাম,বিলীন করে দিলাম,বিক্রি করে দিলাম।

আমার আমিত্ব, আমার যত অহংকার আছে, অহমিকা আছে, আমি আমি যত ভাব আছে সমস্তকিছু আল্লাহর রাসুলের কাছে গিয়ে আল্লাহর রাহে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ করে দেয়া, কোরবান করে দেয়া, নিজেকে আল্লাহ্‌ তে সম্পূর্ণ রূপে আল্লাহর কাছে সমর্পন করে দেয়াই হল বাইয়াত ।
অন্য ভাষায় মুরিদ মানে হল বাইয়াত হওয়া।

আমরা যাকে পীর মুরিদ করা বলে থাকি মানে হল বায়াত করা এবং হওয়া এর বিধান কি কোরআন হাদিসে কোথাও আছে?



  • " হে রাসূল! যেসব লোক আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল, তারা আসলে আল্লাহর নিকটই বাইয়াত হচ্ছিল। তাদের হাতের উপর আল্লাহর কুদরতের হাত ছিল।হে রাসূল! আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন যখন তারা গাছের নীচে আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল। (সূরা ফাতহ- ১৮)


  • অপর আয়াতে আল্লাহ বাইয়াত বা প্রতিশুতি বদ্ধ হওয়ার পর তা রক্ষাকারী সম্পর্কে বলেন :- " যে ব্যক্তি তার ওয়াদা (প্রতিশ্রুতি) পূর্ণ করবে এবং তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করবে, সে আল্লাহ পাকের প্রিয়জন হবে। আর নিশ্চিতভাবে আল্লাহ পাক মুত্তাকীদের ভালবাসেন। (সূরা আলে ইমরান -  ৭৬)
  • সহিহ হাদীসে আছে :-হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,যে ব্যক্তি বাইয়াতের বন্ধন ছাড়াই মারা গেল সে জাহিলিয়াতের মৃত্যুবরণ করল। (মুসলিম)
  • অপর হাদিসে আছে :-আব্দুল্লাহ ইবনে দিনার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে বাইয়াত গ্রহণ করতাম, শ্রবণ ও আনুগত্যের উপর এবং তিনি আমাদের সামর্থ্য উক্ত আমল করার অনুমতি দিয়েছেন। (মুসলিম)

কোন নেককার মুমিন বা ওলীর পাশে দাফন করলে কোন উপকার আছে কি?


আহলে হাদিস নাসিরুদ্দিন আলবানী তার ভআহাদিসুস দ্বঈফাহ গ্রন্থের ১/৫০১ পৃঃ, হাদিস নংঃ৬১৩ এ বলেছে যে, " মৃত ব্যক্তিকে কোন নেককার ওলী, হক্কানী আলেমের পাশে কবরস্থ করলে কোন উপকার নেই।"
অনুরুপভাবে জুনায়েদ বাবুনগরী তার প্রচলিত জাল হাদিস বইয়ের ১৯৬ পৃষ্ঠায় এর সমালোচনা করে।

জবাবঃ

  • হাদিস নং:১

"হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন,তোমরা মৃত ব্যক্তিদেরকে (যথাসম্ভব) নেক বান্দাদের মাঝে দাফন করবে, নিশ্চয় মৃত ব্যক্তিগণ খারাপ প্রতিবেশী দ্বারা কষ্ট অনুভব করে।যেরুপ জীবিতগণ খারাপ প্রতিবেশী দ্বারা কষ্ট পেয়ে থাকে।"

ওলীগনের শাফায়াত সম্পর্কে



আল্লাহর একজন বিশিষ্ট ওলী ছিলেন ওয়াইছ করনী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ছিলেন একজন তাবেয়ী। তার সম্পর্কে কিছু হাদিস :

  • হযরত ওমর (রা.) বলিয়াছেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, নিশ্চয়ই , অনুগতদিগের (খায়রুত্তাবেয়ীন) মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যাহার নাম উয়ায়ছ। তাহার মা আছে এবং তাহার শরীরে একটি শ্বেত চিহ্ন আছে। তোমরা (তাহার সংগে দেখা করিয়া) অনুরোধ করিবে যেন সে তোমাদের ক্ষমার জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে। (মুসলিম শরীফ ৬২৬০/ মিশকাত ৬০০৬)

ওলী-আল্লাহগণের বিরোধিতাকারীদের হুশিয়ারী দিয়ে হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ সাবধান করে দিয়েছেন।


১. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত-"  রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার বিরোদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি । যেসব অধিক প্রিয় কাজ সমুহের দ্বারা বান্দা আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে সেগুলো হল ফরজ কাজসমুহ। অত:পর আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমে আমার আরো এত নিকটবর্তী হতে থাকে যতক্ষন না আমি তাকে ভালবাসি , তখন আমি তার শ্রবন ইন্দ্রীয় হয়ে যাই যা দ্বারা সে শোনে ! তার দর্শন ইন্দ্রীয় হয়ে যাই, যা দ্বারা সে দেখে ! তার হাত হয়ে যাই, যা দ্বারা সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই, যা দিয়ে সে চলাফেরা করে ! যদি সে আমার কাছে কিছু প্রর্থনা করে, আমি তাকে তাই দেই। যদি সে আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি কোনকিছু করার ব্যপারে দিধ্যাবোধ করি না, যতটা না মুমিনের রুহ কবজের (নেয়ার) ব্যপারে করি এজন্য যে সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তাকে অসন্তুষ্ট করতে অপছন্দ করি।

ওলীরা কি ওফাত বরন করার পর জীবিত নাকি মৃত ?

 সে সম্পর্কে আল্লাহ বলেন : "যারা আল্লাহ্‌ পাকের রাস্তায় শহীদ হয়েছেন তাদের কে তুমি মৃত মনে করো না বরং তারা তাঁদের নিজেদের রব এর নিকট জীবিত ও রিজিক প্রাপ্ত।"(সুরা আলইমরান ১৬৯)

আরো ইরশাদ করেন :"আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত বল না। বরং তারা জীবিত। তবেতা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না।"
(সূরা বাকারা-১৫৪)

ওলীদের কাছে আছে ইলমে লাদ্দুনী বা আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান


★ আল্লাহ পাক বলেন, “যদি তোমরা না জানো, তবে জ্ঞানীদেরকে (আহলে যিকির বা আল্লাহওয়ালাগণকে) জিজ্ঞেস করে জেনে নাও”। (সূরা নহল ৪৩ ও সূরা আম্বিয়া-৭)

★ কিয়ামতের আগে মানুষ মুর্খতা বশত জ্ঞানহীন মানুষ এর কাছ থেকে ফতোয়া জিজ্ঞেস করবে যারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট অন্যকেও পথভ্রষ্ট করবে।(আল-হাদিস)

আউলিয়া কেরাম (মুমিন বান্দাগন) সম্পর্কে আল-কোরান থেকে দেখুন


★ হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ্ পাককে ভয় কর এবং তাঁর নৈকট্য লাভের উপায় বা ওসিলা তালাশ কর।[সুরা ৫ মায়েদা: ৩৫]।

★ এ আয়াতে কারীমায় সুষ্পষ্টভাবে আল্লাহর হেদায়াতপ্রাপ্ত বুযুর্গদের সাহচর্যে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে:-

"আমাদের সরল সঠিক পথ [সীরাতে মুস্তাকিম] দেখান । আপনার নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের পথ।{সূরা ফাতিহা-৬,৭}
আর তার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা হলেন –

ওলী কারা?



★ হাদীছ শরীফে ইরশাদ করেনঃ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  ও ইবনে আব্বাস সহ অনেক সাহাবায় কেরাম বলেছেন-

```আউলিয়া আল্লাহিল্লাযিনা ইজা রুয়ুযা জুকেরাল্লাহ।```

অর্থঃ " তারাই অলী আল্লাহ যাদের কে দেখলে খোদার কথা স্মরণ হয়।

ওলী আল্লাহদের সিলসিলা জারী থাকবে

হযরত সোরায়হ ইবনে ওবাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন,

“আমি হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি - আবদাল নামক ওলী- আল্লাহ শাম দেশে হয়। তাঁরা চল্লিশ জন পুরুষ। তাঁদের মধ্য হতে কেহ পরলোকগমন করলে তাঁর স্থানে অন্য একজনকে আগমন করেন। তাঁদের উছিলায় বৃষ্টিপাত হয়, শত্রুদের উপর বিজয় দান করা হয়। তাঁদের উছিলায় শাম দেশের অধিবাসীরা আল্লাহর গজব থেকে পরিত্রাণ পায়”।

ওলি আওলিয়াদের সান্নিধ্যে গেলে জান্নাত নিশ্চিত হয়


হাদিস শরীফে হযরত আবু ছাইদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- “ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরমান, তোমাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে এক লোক ছিল। সে ৯৯ ব্যক্তিকে হত্যা করার পর জিজ্ঞাসা করলো, এ পৃথিবীতে সর্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তি কে? তাকে এক রাহীব (ঈসায়ী ধর্মের শরীয়তের আলেম) এর সন্ধান দেয় হয়। সে তার কাছে এসে বললো যে, সে ৯৯ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। এখন তার জন্য কি ক্ষমা আছে? ঐ আলেম বললো-না। তখন সে ঐ আলেমকে হত্যা করে ফেললো। অতএব সে ঐ আলেমের হত্যা দ্বারা ১০০ পূর্ণ করলো। তারপর সে আবার প্রশ্ন করলো এ পৃথিবীতে সর্বাধিক জ্ঞানী কে? তখন তাকে এক আল্লাহ্ ওয়ালা আলেম (অলী-আল্লাহ্) এর সন্ধান দেয়া হলো। 

আল্লাহর প্রিয় অলীগণ কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবেন


দলীল ১- 
 ﻭ ﺍﺫﺍ ﺭﺃﻭﺍ ﺍﻧﻬﻢ ﻗﺪ ﻧﺠﻮﺍ ﻓﻲ ﺍﺧﻮﺍﻧﻬﻢ ﻳﻘﻮﻟﻮﻥ ﺭﺑﻨﺎ ﺍﺧﻮﺍﻧﻨﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻣﻌﻨﺎ ﻭﻳﺼﻠﻮﻥ ﻣﻌﻨﺎ ﻭ ﻳﺼﻮﻣﻮﻥ ﻣﻌﻨﺎ ﻭ ﻳﻌﻤﻠﻮﻥ ﻣﻌﻨﺎ ﻓﻴﻘﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺍﺫﻫﺒﻮﺍ ﻓﻤﻦ ﻭﺟﺪﺗﻢ ﻓﻲ ﻗﻠﺒﻪ ﻣﺜﻘﺎﻝ ﺩﻳﻨﺎﺭ ﻣﻦ ﺍﻳﻤﺎﻥ ﻓﺎﺣﺮﺣﻮﻩ ﻭ ﻳﺤﺮﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻮﺭﻫﻢ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﻓﻴﺎﺗﻮﻧﻬﻢ ﻭﺑﻌﻀﻬﻢ ﻗﺪ ﻏﺎﺏ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﺍﻟﻲ ﻗﺪﻣﻪ ﻭ ﺍﻟﻲ ﺍﻧﺼﺎﻑ ﺳﺎﻗﻪ ﻓﻴﺨﺮﺟﻮﻥ ﻣﻦ ﻋﺮﻓﻮﺍ 

যখন মুমীন আল্লাহর অলীগণ দেখবে যে তারা মুক্তি পেয়ে গেল , তখন তাদের মুমীন ভাইদের জন্য তারা আল্লাহর কাছে আবেদন করবে “হে আমার প্রতিপালক এরা আমাদের ভাই, যাদেরকে তুমি জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছ তারা আমাদের সাথে নামাজ পড়ত , আমাদের সাথে রোজা রাখত এবং আমাদের সাথে সত্কাজ করত “। তখন আল্লাহ বলবেন “যাদের অন্তরে শুধুমাত্র এক দিনার ওজন পরিমাণ ঈমান পাবে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আস । তাদের মুখমন্ডল তথা আকৃতিকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেওয়া হয়েছে ” । অতঃপর তারা অলীগণ সেখানে জাহান্নামীদের নিকট যাবেন । এসে দেখবেন কেউ কেউ পা পর্যন্ত কেউ পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত আগুনে ডুবে আছে । এর মধ্যে যাদের তারা কিনবে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আসবে । 

ওলিদের সাথে খাকলে উপকারিতা কি ?


"যে ব্যক্তি আল্লাহকে, তাঁর রসূলকে ও মুমিনদেরকে নিজের বন্ধু রূপে গ্রহণ করে তার জেনে রাখা দরকার, আল্লাহর দলই বিজয়ী হবে৷” আল মায়েদাহ 
আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়লা আনহু বর্ণনা করেন, এক বেদুঈন লোক হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কিয়ামত কখন হবে? হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন,আপনি কিয়ামতের জন্য কি সম্বল সংগ্রহ করেছেন ? তিনি বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের ভালবাসা। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি যাকে ভালবাসো তার সাথেই তোমার হাশর হবে।

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একাধিক স্থানে নেককার ব্যক্তিদের সাহচর্য গ্রহণ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।


১. হযরত আবু মুসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-সৎসঙ্গ আর অসৎ সঙ্গের উদাহরণ হচ্ছে মেশক বহনকারী আর আগুনের পাত্রে ফুঁকদানকারীর মত। মেশক বহনকারী হয় তোমাকে কিছু দান করবে কিংবা তুমি নিজে কিছু খরীদ করবে। আর যে ব্যক্তি আগুনের পাত্রে ফুঁক দেয় সে হয়তো তোমার কাপড় জ্বালিয়ে দিবে, অথবা ধোঁয়ার গন্ধ ছাড়া তুমি আর কিছুই পাবে না।

  • সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫২১৪, 
  • সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬৮৬০, 
  • মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩১৯০, 
  • সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৮৩১, 
  • সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬১, 
  • মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৪২৯৫, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৬৬০, 
  • মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-৭৭০, 
  • মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২৬২২, 
  • মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-১৩৭৭, 
  • মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-৫১৫}

এছাড়াও অনেক হাদীস নেককার ও বুযুর্গ ব্যক্তিদের সাহচর্য গ্রহণের প্রতি তাগিদ বহন করে। আর সবচে’ বড় কথা হল-বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষই দ্বীন বিমুখ। যারাও দ্বীনমুখী, তাদের অধিকাংশই কুরআন হাদীসের আরবী ইবারতই সঠিকভাবে পড়তে জানে না, এর অর্থ জানবে তো দূরে থাক। আর যারাও বাংলা বা অনুবাদ পড়ে বুঝে, তাদের অধিকাংশই আয়াত বা হাদীসের পূর্বাপর হুকুম, বা এ বিধানের প্রেক্ষাপট, বিধানটি কোন সময়ের জন্য, কাদের জন্য ইত্যাদী বিষয়ে সম্যক অবহিত হতে পারে না। তাই বর্তমান সময়ে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে কুরআন সুন্নাহ থেকে নিজে বের করে আল্লাহ তাআলার উদ্দিষ্ট সীরাতে মুস্তাকিমে চলা বান্দার জন্য কষ্টসাধ্য। তাই আল্লাহ তাআলা সহজ পথ বাতলে দিলেন একজন বুযুর্গের পথ অনুসরণ করবে, তো সীরাতে মুস্তাকিমেরই অনুসরণ হয়ে যাবে।

কিন্তু কথা হচ্ছে যার অনুসরণ করা হবে সে অবশ্যই সীরাতে মুস্তাকিমের পথিক হতে হবে। অর্থাৎ লোকটি {মুরশীদ বা পীর} এর মাঝে থাকতে হবে শরীয়তের পূর্ণ অনুসরণ। বাহ্যিক গোনাহ থেকে হতে হবে মুক্ত। কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে হতে হবে প্রাজ্ঞ। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাতের উপর হতে হবে অবিচল। এমন গুনের অধিকারী কোন ব্যক্তি যদি পাওয়া যায়, তাহলে তার কাছে গিয়ে তার কথা মত দ্বীনে শরীয়ত মানার নামই হল পীর মুরিদী। এরই নির্দেশ আল্লাহ তাআলা কুরআনে দিয়েছেন-
অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক। {সূরা তাওবা-১১৯)

কুরআন হাদীসে পীর মুরিদীর প্রমাণ


আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক। {সূরা তাওবা-১১৯)
এ আয়াতে কারীমায় সুষ্পষ্টভাবে বুযুর্গদের সাহচর্যে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পীর-ওলি-আউলিয়া কারা ?



ওলি আরবী শব্দ যার অর্থ অভিভাবক বা মুরুব্বী, বন্ধু। আরবী ভাষায় “আউলিয়া” শব্দটি “ওলি’র বহুবচন। ‘ওলি’ অর্থ বন্ধু,মিত্র বা অনুসারি। কখনো শব্দটির অর্থ হয় শাসক,অভিভাবক বা কর্তা। (তথ্যসূত্রঃ আরবী-বাংলা অভিধান,প্রকাশনায় ইসলামিকফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)। 
প্রসিদ্ধ আরবী-ইংরেজী অভিধান “আল মাওয়ারিদ” অনুসারে ওলি শব্দের অর্থঃ guardian, patron, friend companion ইত্যাদী।পবিত্র কোরআনে “ওলি” এবং “আউলিয়া” এ উভয় শব্দটির ব্যবহার হয়েছে অসংখ্য বার।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন,