Sunday, February 25, 2018

যদি সুন্নি-ই দাবী করে তাহলে পোপের কারণে ১২ই রবিউল আউয়াল জুলুস বা মিছিল করায় নিষিধাজ্ঞার প্রতি প্রতিবাদ কোথায় ?

কে আসল সুন্নী তা এবার ঈদে মীলদুন্নবী’র দিন প্রমাণিত হয়ে গেছে

মহান আল্লাহ পাক তিনি হক্ব আর না-হক্বকে পার্থক্য না করে ছাড়েন না। এ বছর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দিন সেই হক্ব ও নাহ্বক পার্থক হয়ে গেছে। এতদিন অনেক সংগঠন মুখে মুখে নিজেদের সুন্নী দাবি করে অনেক প্রচার প্রসার করেছে। দাবি করতো, তারাই নাকি বাংলাদেশে বর্তমানে সুন্নীয়তের ধারক ও বাহক। কিন্তু এবার ঈদে মীলাদুন্নবীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিনে প্রমাণিত হয়ে গেলো সুন্নী বলতে যদি বাস্ততে কেউ থাকনে, তবে তিনি হচ্ছে ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি-ই। সুবহানাল্লাহ। আর বাকিরা হচ্ছে সুন্নী নামধারী ভন্ড ও মুনাফিক।

KMT অনুসরন করুন

মুসলমানদের বর্তমান করুণ অবস্থার কারণ তারা নিজেদের সংষ্কৃতি ছেড়ে কাফিরদের সংস্কৃতি গ্রহণ করেছে।

এ কথাটা মোটামুটি অনেকেই জানে এবং মুখে মুখে বলে, “মুসলমানদের উচিত নিজেদের সংস্কৃতি আকড়ে ধরা। ”

কিন্তু ‘কিভাবে ধরবে’ তার সদুত্তর কেউ দিতে পারে না।

কেউ যদি সত্যি চায়, কাফিরদের সংষ্কৃতি থেকে বের হয়ে মুসলমানদের সংস্কৃতিতে ফিরে আসবে, তবে আমার মনে হয়, তার উচিত ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফে আসা। ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফে আসলেই সে ১০০% কাফিরদের অনুসরণ থেকে বাচতে পারবে।

ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি কিভাবে কাফিরদের অনুসরণ-অনুকরণ থেকে মুসলমানদের বের করে নিয়ে আসছেন ?

এর অসংখ্য উদাহরণ আছে। আমি শুধু একটি উদহারণ দিচ্ছি।

Friday, February 23, 2018

ছবি তোলা হারাম- দেওবন্দ

হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “প্রত্যেক ছবি তুলনে ওয়ালা জাহান্নামী।” নাঊযুবিল্লাহ! (মুসলিম শরীফ)
    عن ابى معاوية رضى الله تعالى عنه ان من اشد اهل النار يوم القيمة عذابا المصورون.
অর্থ: হযরত আবূ মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত, “নিশ্চয় ক্বিয়ামতের দিন দোযখবাসীদের মধ্যে ঐ ব্যক্তির কঠিন আজাব হবে, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি আঁকে বা তোলে।” (মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২০১) 
এখন হজ্জ্ব পালন করতে হলেও অসংখ্য ছবি তুলতে বাধ্য হতে হয় অর্থাৎ একটি ফরয আদায় করতে হলে বাধ্য হয়ে অসংখ্য কবীরা গুনাহ করতে হয়। (যদিও এমতাবস্থায় হজ্জ্ব ফরয থাকেনা)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেওয়া নাজায়েজ। তাই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোনো ছবি দেওয়া যাবে না বলে ফতোয়া দিয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের ইসলামী বিদ্যাপিঠ দারুল উলুম দেওবন্দ।
দারুল উলুম দেওবন্দের হয়ে দারুল ইফতা ঘোষণা করেছে যে মুসলমান পুরুষ হোক অথবা মহিলা, তার স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি দেওয়া উচিত নয়। শুধু নিজের ছবিই নয়, ফতোয়া অনুযায়ী পরিবারের কারও ছবিই দেওয়া যাবে না। 
http://archive.is/gDblH , http://archive.is/Yit1c 
সউদি আরবের ছবি হারাম বিষয়ের ফতোয়াঃ  
http://archive.is/3bZCV
মসজিদে হারাম বা পবিত্র কাবাঘরের আঙিনা, তাওয়াফে কাবা এবং সায়ি করার স্থানসহ অন্যান্য ইবাদতস্থলে ছবি উঠানো ধর্মীয়ভাবে হারাম ঘোষণা করেছেন সৌদির বিশিষ্ট আলেমগণ। সেখানে নিজের পরিচিতি বাড়ানো কিংবা অন্য উদ্দেশ্যে যারা ছবি তুলে, তারা ‘তাদের এবং অন্যদের ইবাদতে বাধা সৃষ্টি করে’ উল্লেখ করে সৌদি আলেমগণ এমন ফতোয়া জারি করেন।

সৌদির ‘আল আরাবিয়া’ সূত্রে আলেমগণ বলেন, মসজিদ আল্লাহর ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা। এখানে দুনিয়ার কোনো কাজ-কর্ম করা বৈধ নয়। মসজিদে নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, আল্লাহর জিকির-আজকার ছাড়া অন্য কিছু করা জায়েয নেই।http://archive.is/GQcqF 

ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম কি নতুন কেউ ? (২)

গত শতাব্দীর মুযাদ্দিদ হযরত আবু বকর সিদ্দিক (ফুরফুরাহ) রহমতুল্লাহি উনার প্র্রধান খলিফা ছিলেন উনার দুই সম্মানিত পুত্র হযরত নাজমুস সাআদাত সিদ্দিকী রহমতুল্লাহি এবং হযরত আব্দুল হাই সিদ্দিক রহমতুল্লাহি । উনাদের থেকে খিলাফত পেয়েছিলেন ঢাকা যাত্রাবাড়ি দরবার শরীফ উনার সম্মাানিত শায়েখ হযরত আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ রহমতুল্লাহি। হযরত আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ রহমতুল্লাহি ঐ সময় (৫০ এর দশক থেকে ৯৫ সালে উনার বেছাল শরীফ গ্রহণ) সনামধন্য আলেম ও বুজুর্গ। সমস্ত সিলসিলাহ লোকজন উনার কাছে যান। বর্তমানে যারা ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার বিরোধীতা করেন তারাও সেখানে সোহবতে গিয়ে বসে থাকতো। কওমীগুরু হাফেজ্জী, চর্মনাই, বায়তুল মোকাররমের খতিব উবাইসহ সকালের আনাগোনা ছিলো সেই দরবারে। সেই দরবার শরীফ-উনার মধ্যে ইলমে তাসাউফ অর্জন করতে যাতায়ত করেন ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার শায়েখ আলাইহিস সালাম। উনার দুনিয়াবী বয়স মুবারক তখন যুবক বয়সী। তিনি কোন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন নাই। কিন্তু সেই অতি সুন্দর যুবক বয়সী ব্যক্তি যখন যাত্রাবাড়ি দরবার শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করতেন, তখন ঐ দরবার শরীফ উনার শায়েখ দাড়িয়ে যেতেন। কখন কখন গেইট থেকে উনাকে এগিয়ে নিয়ে আসতেন। সুবহানাল্লাহ।

যেখানে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলা নিষেধ

রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি এমন কিছু নিয়ম চালু করেছেন, যা সারা বিশ্বের মানুষের জন্য অনুসরনীয়-অনুকরনীয়।

বিশেষ করে উনার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ উনার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মাদ্রাসায় কোন শিক্ষক কোন ছাত্রকে শারীরিক শাস্তি দিতে বা মারতে পারবে না। বেত্রাঘাত, নীল ডাউন, কান মলে দেয়া, চামড়ায় চিমটি মারা সবই উনার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় নিষিদ্ধ। শুধু তাই নয়, ছাত্রদের তুমি-তুই বলা নিষিদ্ধ, সবাইকে ‘আপনি’ করে সম্বোধন হয়।

Wednesday, February 21, 2018

রাজারবাগ দরবার শরীফ যে কথা ১ যুগ আগে বলে, অন্য ধর্মীয় দলগুলো তা ১ যুগ পরেও বলতে পারে না


অনলাইনে আহলে হক মিডিয়া সার্ভিস নামক একটি পোর্টাল চালায় দেওবন্দী-কওমী গোষ্ঠী। এই পোর্টালে তারা মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়। গত ৩রা অক্টেবর ২০১৬ তারিখে আরিফুর রহমান পরাগ নামক এক ব্যক্তি সেই কথিত আহলে হক মিডিয়া বরাবর প্রশ্ন করে-
“কোকাকোলা বা পেপসি খাওয়া হালাল না হারাম ?”

Tuesday, February 20, 2018

ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম কি নতুন কেউ ? (১)


না তিনি মোটেও নতুন কেউ নন এবং হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা পীর সাহেবও নন। বরং তিনি এ বাংলায় বহু বছর ধরে চলে আসা হক্বপন্থী পীর আউলিয়া কিরাম উনাদের সিলসিলাহ বহন করছেন।

মূলত এ অঞ্চলে দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার হয়েছে হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে আগত সিলসিলাহগুলো থেকে। শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খলিফা ছিলেন হযরত শাহ আব্দুল আজিজ রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার খলিফা ছিলেন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার খলিফা ছিলেন নূর মুহম্মদ নিজামপুরী রহমতুল্লাহি, উনার খলিফা ছিলেন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (ফুরফুরাহ) রহমতুল্লাহি। বাংলাদেশে যতদল ইসলাম প্রচার করছে, আপনি একটি দলও খুজে পাবেন না, যারা এ সিলসিলাহগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন। রাজারবাগ শরীফ, শর্শীনা, দেওবন্দ, জৈনপুরী, ফুলতলী, সোনাকান্দা, চরমোনাই সবাই গিয়ে এই একটি সিলসিলাহর কোন না কোন অংশে সংযুক্ত হয়েছে।

Saturday, February 17, 2018

হজ্জে যেতে হারাম ছবি নয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হোক।

রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার বিরোধীরা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি অপপ্রচার করে হজ্জ নিয়ে। 
তারা অপপ্রচার করে, “তিনি নাকি হজ্জ করেন না, এবং সবাইকে হজ্জে যেতে বাধা দেন।” নাউযুবিল্লাহ।


ধরুন, একদল খারাপ লোক আপনার বাসার পাশের মসজিদের ভেতর হারাম নাচ-গান শুরু করছে। নাউযুবিল্লাহ। আপনি সবাইকে ডেকে বললেন, “ভাইসব ! দেখুন, মসজিদের ভেতর হারাম নাচ-গান হচ্ছে, আসুন সবাই মিলে এর প্রতিবাদ করি, তাহলে তা বন্ধ হয়ে যাবে।”

খাবার অপচয় না করার শিক্ষা রাজারবাগ শরীফেই পাওয়া যায়

এমন কোন প্লেট নাই যে প্লেটে খাবারের অপচয় হয় না। ভাত-গোশত থেকে শুরু করে সবকিছু অপচয় হয়। ভাবখানা এমন যে, খাবার দেয়াই হয়েছে অপচয়ের জন্য। নাউযুবিল্লাহ।

কিন্তু তার ব্যতিক্রম দেখা ঢাকা রাজারবাগ শরীফে। ঢাকা রাজারবাগ শরীফে বিয়েসহ যে কোন অনুষ্ঠানে খাবার অপচয় রোধে এমন সুন্দর ব্যবস্থা নেয়া হয়, যা সবার জন্য অনুসরণীয়। উদাহরণস্বরূপ কিছুদিন পূর্বে ঢাকা রাজারবাগ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল উলা শরীফ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উম্মুল মু’মীনিন আল উলা হযরত কুবরা আলাইহিস সালাম উনাদের সুমহান নিসবাতুল আযিম শরীফ (নিকাহ শরীফ) দিবস। ঐ দিন উপলক্ষে ১২টি আইটেম খাবার পরিবেশন করা হয়েছিলো। সবাই দস্তারখানায় নামাজের সুরতে বসে খাবার গ্রহণ করে। সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার নির্দেশনা অনুসারে এত সুন্দর ব্যবস্থা ছিলো যে একটা দানাও যদি নিচে পড়ে যাচ্ছে, তবুও সেটা তুলে খাওয়া হচ্ছিলো, প্লেটে সামান্য তরকারিও যদি লেগে থাকে তা চেটে খাওয়া হাচ্ছিলো। শিশু বাচ্চা যখন খেতে না পারছিলো, তার বাবা সেই খাদ্য শেষ করছিলো। একটি দানার ব্যাপারে যেন জারি হয়েছে রেড এ্যালার্ট।

সকল প্রশ্নের সঠিক জবাব রাজারবাগ শরীফ আসলেই পাবেন


গতকাল (লাইলাতুস সাবত) রাতে মুবারক সোহবতে ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনাকে একজন সুওয়াল (প্রশ্ন) করলেন-

১) প্রশ্নকারীর দাদা ও চাচাদের যৌথ ব্যবসা। সেই ব্যবসার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এক চাচাকে। কিন্তু দেখা গেলো ঐ চাচা ব্যবসার লাভ থেকে টাকা নিয়ে নিজের নামে সম্পত্তি করেছেন। এটা ঠিক হবে নাকি ?

“আমরা সুপ্রীমকোর্টের মূর্তি সরানোর জন্য অনেক আন্দোলন করছি, তোমরা রাজারবাগ কি করেছো ?”

অনেকে বলেছে, “আমরা সুপ্রীমকোর্টের মূর্তি সরানোর জন্য অনেক আন্দোলন করছি, তোমরা রাজারবাগ কি করেছো ?”

তাদেরকে বলবেন, 
চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে বসে অনেক গলা ফাটানো যায়, কিন্তু এতই যখন সাহস তখন ঢাকা সুপ্রীম কোর্টের ভেতর ঢুকে কিছু করতে পেরেছিলে কি ? পারো নাই, হাইকোর্টের গেইটের ভেতরে ঢুকে কিছু বলার সাহস তোমাদের নাই। কিন্তু ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে কোর্টের ভেতর ঢুকে সেই মূর্তির বিরুদ্ধে আইনীভাবে প্রতিবাদ করা হইছিলো, যা তোমরা স্বপ্নেও চিন্তা করতে পারবা না।

Thursday, February 15, 2018

রাজারবাগ শরীফ উনার যারাই ক্ষতি করতে আসবে উল্টো তারাই লাঞ্চিত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। সুবহানাল্লাহ।


(১)
আজকে যখন খালেদা জিয়াকে জেলে ভরা হয়, তখন কেবলি হাসি লাগে। কিছুদিন আগে পুলিশের এক উধ্র্বতন কর্মকর্তা বলেছিলেন, এই খালেদা জিয়া জামাতর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একাধিক বার উদ্যোগ নিয়েছিলো আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতকে নিষিদ্ধ করার জন্য। কিন্তু কোন কারণবশতঃ সে সফল হয় নাই। আজকে সেই খালেদা জিয়া নিজেই নিষিদ্ধ হতে চলেছে।

Tuesday, February 13, 2018

রাজারবাগ শরীফ উনার দেয়া তথ্য নিয়েই সৃষ্টি হয়েছিলো হেফাজতে ইসলাম

হেফজত তথা কওমীরা প্রায় বলবে- “আমরা ৫ই মে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে শাপলা চত্বরে আন্দোলন করেছি, তোমরা রাজারবাগ দরবার শরীফের লোকজন কি করেছো ? “

যে সব হেফাজতি-কওমী এসব কথা বলবে, দয়া করে তাদের ২০১৫ সালের ২৪শে মে তারিখের দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকাটি পড়তে বলবেন। সেই দিন “'হেফাজতে ইসলাম কোনো ব্লগারের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়নি' শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়, সেখানে হেফাজত প্রধান শফী নিজ মুখে বলে, “২০১৩ সালের ৩১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে যে ৮৪ জন ব্লগারের তালিকা দেওয়া হয়, তা মাসিক আল-বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল-ইহসান পত্রিকার সম্পাদক এবং আনজুমানে আল-বাইয়্যিনাতের কেন্দ্রীয় আহবায়ক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম আরিফের নেতৃত্বে দেওয়া হয়েছিল। তিনি হেফাজতে ইসলামের কেউ নন এবং উক্ত বৈঠকে হেফাজতের কোনো নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেননি।” (http://www.kalerkantho.com/online/national/2015/05/24/225716)

হেফাজতের শাপলা চত্বরে আন্দোলনের সময় এক সাংবাদিক হেফাজতের এক এক নেতাকে জিজ্ঞেস করে : “ব্লগ কি ?” 
উত্তরে হেফাজত নেতা বলেছিলো- “ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায়।”

যাদের ব্লগ কিংবা ইন্টারনেট সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিলো না, তারা কোন ব্লগে কোন নাস্তিক কখন নাস্তিকতা করেছে, সে সম্পর্কে জানবে কিভাবে ?

হ্যা, নাস্তিকরা যে ব্লগে নাস্তিকতা করছিলো, সেটা ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুবুল আলম সাহেব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের বৈঠকে দলিল-প্রমাণ দিয়ে জানিয়েছিলেন। আর সেই দলিলের ভিত্তি করেই নাস্তিকদের নামে মামলা ও গ্রেফতার হয় এবং ২০১৩ সালের ৬ই এপ্রিল ও ৫ই মে আন্দোলনে নামে হেফাজত। সেই নাস্তিকবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সবার কাছে পরিচিতি পায় হেফাজত।

তারমানে সূত্রমতে, রাজারবাগ শরীফ উনার দেয়া তথ্য নিয়েই সৃষ্টি হয়েছিলো হেফাজতে ইসলাম। তাই রাজারবাগ শরীফ দ্বীন ইসলাম উনার জন্য কি করছে, সেটা বোঝার ক্ষমতাও হেফাজত-কওমীদের নেই।