Sunday, February 25, 2018

KMT অনুসরন করুন

মুসলমানদের বর্তমান করুণ অবস্থার কারণ তারা নিজেদের সংষ্কৃতি ছেড়ে কাফিরদের সংস্কৃতি গ্রহণ করেছে।

এ কথাটা মোটামুটি অনেকেই জানে এবং মুখে মুখে বলে, “মুসলমানদের উচিত নিজেদের সংস্কৃতি আকড়ে ধরা। ”

কিন্তু ‘কিভাবে ধরবে’ তার সদুত্তর কেউ দিতে পারে না।

কেউ যদি সত্যি চায়, কাফিরদের সংষ্কৃতি থেকে বের হয়ে মুসলমানদের সংস্কৃতিতে ফিরে আসবে, তবে আমার মনে হয়, তার উচিত ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফে আসা। ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফে আসলেই সে ১০০% কাফিরদের অনুসরণ থেকে বাচতে পারবে।

ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি কিভাবে কাফিরদের অনুসরণ-অনুকরণ থেকে মুসলমানদের বের করে নিয়ে আসছেন ?

এর অসংখ্য উদাহরণ আছে। আমি শুধু একটি উদহারণ দিচ্ছি।

আমরা প্রতিনিয়ত যে সময় অনুসরণ করছি, এই সময়ের মাধ্যমে আমরা কিন্তু কাফিরদের অনুসরণ করছি। আমাদের ঘড়িতে এখন কয়টা বাজে এটা নির্ভর করে লন্ডনে গ্রিনিচ নামক এলাকায় সিড়ির (ছবির বাম পাশ) মধ্যে এই ছোট্ট ঘড়িতে কয়টা বাজে তার উপর। ঐ ঘড়িকে কেন্দ্র করে আমাদের সময় নির্ধারণ হয়, যাকে বলে GMT বা গ্রিনিচ মিন টাইম ।

ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি অনেক আগে থেকেই এই সিস্টেমের বিরোধী। তিনি বলেছেন, “আমরা যতবার সময়কে স্মরণ করি, তখন ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আমাদের লণ্ডনের গ্রিনিচকে স্মরণ করতে হয়। কেন আমরা মুসলমানরা কাফিরদের গ্রিনিচকে স্মরণ করবো ? আমাদের এমন একটা সিস্টেম তৈরী করতে হবে যেন, আমরা যতবার ঘড়ির দিতে তাকাবো, ততবার পবিত্র কাবা শরীফ উনাকে স্মরণ করবো। তাহলে আমাদের সওয়াব হবে। সুবহানাল্লাহ।”

এরপর (অনেক আগের কথা) ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়, যেন তারা পবিত্র কাবা শরীফ উনার পাশে তারা একটা বড় ঘড়ি তৈরী করে। এভাবে অনেকবার যোগাযোগের পর সৌদি কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয় এবং কাবা শরীফ উনার পাশে তারা ‘মক্কা ক্লক রয়েল টাউয়ার’ নামক ভবন তৈরী করে, যেখানে বিশাল একটি ঘড়ি স্থাপন করা হয়। এরপর ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে কাবা শরীফ উনাকে কেন্দ্র ধরে পুরো বিশ্বের সময় চার্ট পাঠানো হয়, যাকে বলা হয় KMT (কাবা মিন টাইম) এবং সেই সময় জারি করতে আহবান করা হয়। তবে এখনও সৌদি কর্তৃপক্ষ তা জারি করতে পারে নাই।

ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি বলেছেন, “মুসলমানরা কেন কাফিরদের সময় অনুসরণ করবে ? কাফিরদের অনেক দেশে তাদের জিএমটি মানে না (যেমন: Eastern European Time Zone – EET)। তাহলে মুসলমানরা কেন কাফিরদেরটা বাদ দিয়ে পবিত্র ক্বাবা শরীফ উনাকে কেন্দ্র করে সময় নির্ধারণ করতে পারবে না?”

পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম দেশগুলো যদি একযোগে ‘কাবা শরীফ মিন টাইম’ পালন শুরু করে, তখন দেখা যাবে কাফিররা উল্টা সে সময় পালন করতে বাধ্য হবে।

আমি নিশ্চিত, পৃথিবীর সমস্ত মানুষ এমনকি আলেম-ওলামারা পর্যন্ত কখন ফিকির করে নাই যে, মুসলমানরা সময়ের মাধ্যম দিয়ে কাফিরদের অনুসরণ করছে। কখন চিন্তাও করে নাই, কাবা শরীফকে কেন্দ্র করে সময় নির্ধারণ করা উচিত। কিন্তু একমাত্র ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি বিষয়টি চিন্তা করেছেন। কারণ তিনি হচ্ছেন, এ যামানার মুযাদ্দিদ।

মুযাদ্দিদ বা সংস্কারক সম্পর্কে আবু দাউদ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন ব্যক্তিকে প্রেরণ করবেন, যিনি দ্বীন (ইসলাম) কে তাজদীদ বা সংস্কার করবেন। [আবূ দাউদ শরীফ] সুবহানাল্লাহ।

No comments:

Post a Comment