Thursday, February 15, 2018

রাজারবাগ শরীফ উনার যারাই ক্ষতি করতে আসবে উল্টো তারাই লাঞ্চিত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। সুবহানাল্লাহ।


(১)
আজকে যখন খালেদা জিয়াকে জেলে ভরা হয়, তখন কেবলি হাসি লাগে। কিছুদিন আগে পুলিশের এক উধ্র্বতন কর্মকর্তা বলেছিলেন, এই খালেদা জিয়া জামাতর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একাধিক বার উদ্যোগ নিয়েছিলো আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতকে নিষিদ্ধ করার জন্য। কিন্তু কোন কারণবশতঃ সে সফল হয় নাই। আজকে সেই খালেদা জিয়া নিজেই নিষিদ্ধ হতে চলেছে।


(২)
আমাদের পীর ভাইরা ভালো বলতে পারবেন, সারা দেশ জুড়ে জামাত-শিবির আমাদের কত বিরোধীতা করে। একটা সময় ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম যখন দেশজুড়ে সফর করতেন, তখন উনাকে নানাভাবে কষ্ট দিতো জামাত শিবিরের লোকজন। নাউযুবল্লাহ। ২০০৫ সাল, ক্ষমতায় তখন জামাত-জোট সরকার। রাঙ্গামাটি সফরে হোটেল অবরোধ করে রেখেছে পুলিশ। পুলিশকে ফোন করেছে সেই সময়কার দুই প্রভাবশালী মন্ত্রী নিজামি-মুজাহিদ। সূত্রমতে, পুলিশের প্রতি নির্দেশনা, সুযোগ বুঝে ঐ হোটেলের সবাইকে শেষ করে দিতে হবে নাউযুবল্লাহ। অথচ ঐ হোটেলে তখন অবস্থান করছেন, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। তারা নিজেরাই বুঝেনাই তারা কত বড় বেদায়বি করতেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহমতে সবাই ভালোভাবেই ঐ সফর শেষ করি। মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নিজামি-মুজাহিদ সেই দিন যামানার ইমাম আলাইহিস সালাম উনার একটা পশম মুবারক উনারও ক্ষতি করতে পারে নাই। সুবহানাল্লাহ।
আজকে সেই নিজামি-মুজাহিদ গংরা সব ফাঁসির দড়িতে ঝুলেছে। শুধু তাই নয়, বেহেশত থেকে বিতাড়িত হওয়ার সময় সাপকে যেমন অভিশপ্ত বলা হয়েছিলো। বলা হয়েছিলো, যে সাপের নাম শুনবে সেই তাকে পেটাতে চাইবে, ঠিক তেমনি জামাত-শিবির নামটাও আজকে অভিশপ্ত হয়ে গেছে। জামাত-শিবির শুনলেই সবাইকে কেবল পেটায়, এমনকি কাউকে পেটাতে চাইলে জামাত-শিবির নাম দিয়ে পেটায়।

(৩)
২০০৮ এর শেষের দিকে আওয়ামলীগ ক্ষমতায় আসার পর স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী করা হয় তাজউদ্দিনের ছেলে সোহেল তাজকে। সোহেল তাজ ক্ষমতা পাওয়ার পর পর বিষ্ময়করভাবে টিভি মিডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে বলে, “আল বাইয়্যিনাতকে নিষিদ্ধ করতে সে উদ্যোগ নিয়েছে, খুব শিঘ্রই সে তা বাস্তবায়ন করবে।
কিন্তু আল্লাহ পাক উনার কি কুদরত, এই ঘোষণার ১-২ দিন পর কি যেন একটা ঘটনা ঘটে গেলো, সোহেল তাজকে তাদেরই শীর্ষ মহল থেকে লাঞ্চিত করা হলো, অপমান অপদস্ত হয়ে সোহেল তাজ মন্ত্রী সভায় ইস্তফা দিয়ে পাগলের মত দেশ ছাড়তে বাধ্য হলো।

(৪) 
২০১৪ সালের ঘটনা। দৈনিক আল ইহসান পত্রিকার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননা মামলা হলো। মামলাটিকে বলে সুয়োমটো বা স্বপ্রণদিত, মানে যে বিচারক বিচার করবে, সেই মামলার বাদী। মামলাটির পেছনে মুল কলকাঠি নাড়ে আলতাফ হোসেন নামক তৎকালীন এক বিচারক। আমার সেই সময় মামলার দায়িত্বরতদের সাথে কয়েকবার উকিলের চেম্বারে যাওয়ার সুযোগ হইছিলো। অধিকাংশ বড় বড় উকিল সেই মামলা নিতে অস্বীকার করে এবং বলে, এটার মত ভয়ঙ্কর মামলা আর হয় না। আপনাদের পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিল হবে, কয়েকজনের জেল হবে। কিন্তু দেখা গেলো উল্টো ঐ আলতাফ হোসেনকে বিচারক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো, লাঞ্চিত করে বিচারক পদ থেকে বের করে দেয়া হলো, যা সুপ্রীম কোর্টের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনাকে সুলতানুন নাছিরনামক একটি বিশেষ লক্বব মুবারক দান করেছেন। এই লক্বব মুবারক উনার প্রভাবের কারণে কেউ উনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না, এবং যারাই ক্ষতি করতে আসবে উল্টো তারাই লাঞ্চিত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। সুবহানাল্লাহ।


No comments:

Post a Comment