Friday, February 23, 2018

ছবি তোলা হারাম- দেওবন্দ

হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “প্রত্যেক ছবি তুলনে ওয়ালা জাহান্নামী।” নাঊযুবিল্লাহ! (মুসলিম শরীফ)
    عن ابى معاوية رضى الله تعالى عنه ان من اشد اهل النار يوم القيمة عذابا المصورون.
অর্থ: হযরত আবূ মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত, “নিশ্চয় ক্বিয়ামতের দিন দোযখবাসীদের মধ্যে ঐ ব্যক্তির কঠিন আজাব হবে, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি আঁকে বা তোলে।” (মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২০১) 
এখন হজ্জ্ব পালন করতে হলেও অসংখ্য ছবি তুলতে বাধ্য হতে হয় অর্থাৎ একটি ফরয আদায় করতে হলে বাধ্য হয়ে অসংখ্য কবীরা গুনাহ করতে হয়। (যদিও এমতাবস্থায় হজ্জ্ব ফরয থাকেনা)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেওয়া নাজায়েজ। তাই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোনো ছবি দেওয়া যাবে না বলে ফতোয়া দিয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের ইসলামী বিদ্যাপিঠ দারুল উলুম দেওবন্দ।
দারুল উলুম দেওবন্দের হয়ে দারুল ইফতা ঘোষণা করেছে যে মুসলমান পুরুষ হোক অথবা মহিলা, তার স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি দেওয়া উচিত নয়। শুধু নিজের ছবিই নয়, ফতোয়া অনুযায়ী পরিবারের কারও ছবিই দেওয়া যাবে না। 
http://archive.is/gDblH , http://archive.is/Yit1c 
সউদি আরবের ছবি হারাম বিষয়ের ফতোয়াঃ  
http://archive.is/3bZCV
মসজিদে হারাম বা পবিত্র কাবাঘরের আঙিনা, তাওয়াফে কাবা এবং সায়ি করার স্থানসহ অন্যান্য ইবাদতস্থলে ছবি উঠানো ধর্মীয়ভাবে হারাম ঘোষণা করেছেন সৌদির বিশিষ্ট আলেমগণ। সেখানে নিজের পরিচিতি বাড়ানো কিংবা অন্য উদ্দেশ্যে যারা ছবি তুলে, তারা ‘তাদের এবং অন্যদের ইবাদতে বাধা সৃষ্টি করে’ উল্লেখ করে সৌদি আলেমগণ এমন ফতোয়া জারি করেন।

সৌদির ‘আল আরাবিয়া’ সূত্রে আলেমগণ বলেন, মসজিদ আল্লাহর ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা। এখানে দুনিয়ার কোনো কাজ-কর্ম করা বৈধ নয়। মসজিদে নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, আল্লাহর জিকির-আজকার ছাড়া অন্য কিছু করা জায়েয নেই।http://archive.is/GQcqF 

No comments:

Post a Comment