Wednesday, October 25, 2017

" ইমামুস সিদ্দিকিন " লক্বব

সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দিকে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিদ্দীক উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। এই কারণে উনাকে বলা হয় ইমামুস সিদ্দিকীন। অথচ  সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম নিজের নামের সাথে এই উপাধি ব্যবহার করেন।
এখানে লকব ব্যবহারে যে অজ্ঞতা রয়েছে তার প্রমাণ দিল । ‘ইমামুস সিদ্দিকিন’ লক্বব মুবারক হচ্ছে হানাফি মাহযাবের ইমাম হযরত ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটি লক্বব। সূরা তওবায় সে ছ¦দিকিনগণ উনাদের সঙ্গী হতে বলা হয়েছে, সেই ছ¦দিকিনগণ উনাদের ইমামকেই ইমামুস সিদ্দিকিন বলা হয়। (জীবনী গ্রন্থ)

*আল বায়্যিনাত পড়লে তার নাম নবীদের দফতরে লেখা থাকে।
এখান বিষয়টি আমার কাছে স্পষ্ট নয় । তবে একথা অবশ্যই বলব যে কোরআন শরীফ হাদিস শরীফের এগুলোর পর আল বাইয়্যিনাতের মর্যাদা । 
আর তা বুঝতে হোলে  ২ টি সংখ্যা ও একটি বিশেষ সংখ্যা পরতে হবে । পাশাপাশি সত্য কথা বলার অভ্যাস করতে হবে। 
দফতরের প্রসংগে আসি । এখানে আপনি নবীদের দফতরের কথা বলেছেন । দফতর একটাই সেখানে নবী রসূল আলাইহিস সালামগণ , সাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহু আনহূম গণ , আওলিয়ায়ে কিরাম গণ ও মুমিন গণের নাম লেখা থাকে । অর্থাৎ যারা জান্নাত বাসী । “ আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও ”। 
আর আল বাইয়্যিনাত শুধু পরলেই হবে না সে অনুযায়ী আকিদা রাখতে হবে ও আমল করতে হবে । তবেই জান্নাতের দফতরে নাম লেখা হবে । বস্তুতঃ কোরআন শরীফ তো ইহুদী নাসারাও পরে মুসলমানদের বিভ্রান্তিতে ফেলবার জন্য, তাই বলে কি তারা আমল করে ?
আল-বাইয়্যিনাত এর শরী’আত বিরোধী প্রশংসা রাজারবাগী পীর সাহেব কর্তৃক প্রকাশিত আল-বাইয়্যিনাত পত্রিকা গণপ্রচার করার জন্য
এপত্রিকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম শরী’আত বিরোধী প্রশংসা করেছেন যা শুনলে মানুষের বিবেককে লোপ করে দেয়।
যেমন: আল-বাইয়্যিনাত পত্রিকায় লেখা আছে, আল্লামা রূমী রহ. এর মাছনবী শরীফকে যেমন ফার্সী ভাষায় ‘কোরআন শরীফ’ বলা হয়। তদ্রুপ আল-বাইয়্যিনাতওযেন বাংলা ভাষায় ‘কোরআন শরীফ’ (নাউযুবিল্লাহ)।(সূত্র: আল-বাইয়্যিনাত জুলাই, ১৯৯৯ পৃ: ১৪৩)
কেউ যদি মুজাদ্দিদে আলফেসানী রহ. এর লিখিত মাকতুবাত শরীফ পড়ে (পড়াকালীন সময়ে) যদিও সে নবী নয় তবুও নবীদের
দফতরে তার নাম থাকে (অত:পর রাজারবাগীর পত্রিকা আল- বাইয়্যিনাতের এরূপ মর্যাদার প্রতি ইঙ্গিত করে) বলা হয়েছে আকলমন্দের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। (সূত্র: বাইয়্যিনাত ১ম বর্ষ, ৬ষ্ঠ সংখ্যা জুন, ১৯৯২ইং, পৃষ্ঠা-৪৬)
এখান প্রথমে আমার লিখিত লেখা গুলোর সত্যতা স্বীকার করতে হবে আপনাকে । 
মানতে হবে তিনি বর্তমান জামানার মহান মুজাদ্দিদ । 
মানতে হবে তিনি হাদিসে বর্ণিত মহান ১২ খলিফার একজন । 
মানতে হবে তিনি বিশেষ জ্ঞান প্রাপ্ত সাদা নূর ধারী ব্যক্তিত্ব । 
উপরের তিনটি বিষয় সম্পর্কে আপনাকে অবহিত করা হয়েছে । এখন না মানলে তো কিছু করার নেই । 
তারপরও যারা হক তালাসী তাদের জন্য বলছি । আপনারা দেখে আল বাইয়্যিনাতে শরীয়াত বিরোধী কোন বক্তব্য খুজে পান কি না ! 
এই হচ্ছে আল বাইয়্যনাতের লিংক 
http://www.al-baiyinaat.net/
মুজাদ্দিদুয যামান, আওলদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ইসলামের নামে গণতন্ত্র, মৌলবাদ দাবী করা, লংমার্চ করা, ব্লাসফেমী আইন চাওয়া, হরতাল করা, কুশপুত্তলিকা দাহ করা, ছবি তোলা, নারী নেতৃত্ব মানা ও মহিলাদের সাথে জোট বেধে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা ও ভোট দেয়া ইত্যাদি হারাম, রোযা অবস্থায় ইঞ্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ, লাল রুমাল তথা পোশাক পুরুষের জন্য ব্যবহার করা হারাম, মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া আমভাবে মাকরূহ তাহরীমী এবং খাছভাবে কুফরী, তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ তাহ্‌রীমী, মীলাদ-ক্বিয়াম সুন্নতে উম্মত-মুস্তাহান, কুরআন শরীফ খতম করে উজরত গ্রহণ করা জায়িয, নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত ও কদমবুছী করা জায়িয ও সুন্নত, ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত করা সুন্নত, আযানের মধ্যে অঙ্গুলী চুম্বন করা ও আযানের পরে হাত তুলে মুনাজাত করা সুন্নত, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরের তৈরী আর আল্লাহ পাক নূর বা আলো নন, পাগড়ী পরিধান করা দায়িমী সুন্নত ইত্যাদি অসংখ্য ফতওয়া প্রদান করেন । 
কিন্তু অনেকের এগুলো বিপরীত আকিদা পোষণ করে ও আলম করে । আবার তারা সাধারণ মানুষকে তাদের আকিদার বর্ণনা দিয়ে গোমরাহ করে । যে জন্যই আজ ইসলাম ৭৩ টা দলে বিভক্ত হয়ে গেছে । তবে যদি তারা আল বাইয়্যিনাতের কুরআন হাদিস দ্বারা আমল করতো আজ ৭৩ দলের সৃষ্টি হতো না । আর হাদিস শরীফে ৭২ টা দলের জাহান্নামে যাবার কথা উল্লেখ আছে । সেই সূত্র ধরেই আল বাইয়্যিনাত না পরলে মানুষ গোমরা হয়ে যাবে বলা হয়েছে । অন্য কোন কারণ ব্যতিত নয় ।


No comments:

Post a Comment