পুলিশে চাকুরী করা সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

আর এক মহা কাযযাব তথা কথিত জামিয়া দ্বীনিয়ার শায়খুল হদছ সুলাইমান ওরফে ‘মুসাইলামাতুল কাযযাব’ তার ভ্রান্ত ও কলঙ্কিত রেসালা ‘আদ দ্বীনে’ লিখেছে, “….. যাত্রাবাড়ীর বহু মুরীদ ও খলীফার সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের ….. তাদের মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি (রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম) একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ।” নাঊযুবিল্লাহ! লা’নাতুল্লাহি আলাল কাযিবীন।

মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব

উক্ত মহা কাযযাবের দাবি, সে নাকি ‘শায়খুল হাদীছ’। অথচ তার এ হাদীছ শরীফই জানা নেই যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম তিনি ইরশাদ করেন,

كفى بالـمرء كذبا ان يـحدث بكل ما سـمع

অর্থাৎ “মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায় (যাচাই-বাছাই বা তাহক্বীক্ব করে না)।” (মিশকাত শরীফ)

যাত্রাবাড়ীর মুরীদ ও খলীফাগণ তো দূরের কথা, পৃথিবীতে এমন কোন সন্তানই জন্মগ্রহণ করেনি, যে প্রমাণ করতে সক্ষম হবে যে, ইমামুল আইম্মা, আওলাদে রসূল, রাজরবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পুলিশে চাকুরী করেছেন। বুযূর্গ পিতার আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণে পুলিশের চাকুরী কেন, কোন ধরণের চাকুরী করা বা অন্য কোন পেশায় নিয়োজিত হবার প্রয়োজনই উনার হয়নি। তাছাড়া, দুনিয়ায় দ্বীন ইসলাম পালনের জন্য তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল। তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম। দ্বীন ইসলাম-এর সাথে সাংঘর্ষিক, অর্থাৎ বাতিল মতবাদ, আক্বীদা, আমল ও আচার-আচরণ দূর করে মহান আল্লাহ পাক উনার আহকাম এবং উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত পালনে মানুষকে অভ্যস্ত করে তোলার জন্য তিনি রব্বুল আলামীন উনার মনোনীত খাছ মুজাদ্দিদ। ধোঁকাবাজ, প্রতারক ও নিকৃষ্ট জীব দুনিয়াদার আলিমদেরকে পর্যুদস্ত করে মানুষকে প্রকৃত দ্বীনের পথে ধাবিত করার জন্য তিনি হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কায়িম-মক্বাম। উনার জন্য একমাত্র মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেযামন্দি হাছিল করা ছাড়া চাকুরী করে অন্য কারো গোলামী করার প্রয়োজন হবে কেন? যদিও হালাল চাকুরী করে অর্থ উপায় বৈধ। শিশুকাল থেকেই রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক এবং রহমতুল্লিল আলামীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত, মা’রিফাত ও রেযামন্দির কাজে নিরন্তর নিমগ্ন।

পুলিশে চাকুরী করা সম্পর্কে মহা কাযযাব মুসাইলাম-এর উপরোক্ত মনগড়া বক্তব্য অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ডাহা মিথ্যা। তার যদি মুরোদ থাকতো, তবে বিষয়টি যে তথ্য সূত্র থেকে সে পেয়েছে, তা উল্লেখ করার সাহস পেলোনা কেন? তার মতো জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত জাহিল এবং অনুক্ষণ মিথ্যা বলায় অভ্যস্ত আকারে মানুষ, কিন্তু প্রকারে ইবলিসের দোসরের জানা না থাকাই স্বাভাবিক যে, কোন ব্যক্তি পুলিশে চাকুরী করলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ঐ ব্যক্তির নথি ও রেকর্ডপত্রাদি আবশ্যিকভাবে সংরক্ষিত থাকে। বাংলাদেশে বহাল তবিয়তে বিদ্যমান পুলিশ দপ্তর সমূহে খোঁজ নিয়ে তার বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ ও প্রকাশের জন্য তার প্রতি চ্যালেঞ্জ রইলো।

সকলেরই জানা যে, কুকুর এমন এক প্রাণী, তার উপর বোঝা চাপালেও হাঁপায়, না চাপালেও হাঁপায়। হামেশা জিহ্বা থেকে টপ টপ করে পানি পড়তে থাকে। কাযযাবুদ্দীনেরও একই দশা। আল বাইয়্যিনাতে হক্ব কথা লিখলে এবং তাদের বদ জারিজুরি ফাঁস করলে হিংসার আগুনে স্বভাব-সম্পৃক্ত বদ খাছলতে তার কলিজা কাবাব হয়। আবার খালিছ তওবা করে দ্বীনের আলোয় আসার জন্য দাওয়াত দিলেও তাদের পিত্ত জ্বলে উঠে। চার পা ও দু’ পায়ের কি একাকার দশা! তবে মিথ্যা ও ধোঁকাবাজির খোলস তার যতো পুরুই হোক, তার ন্যাক্কারজনক পরিণতি ঠেকাবে কে?