Saturday, November 26, 2016

প্রসঙ্গ : কদুকে অপছন্দ করা

মিথ্যাবাদী, জাহিল, প্রতারক, ধোঁকাবাজ, ভণ্ড, স্বঘোষিত মুশরিক “শামছু…” অতঃপর আরো লিখেছে, উনার পত্রিকায় লিখেছে যদি কেউ বলে যে, আমি কদুকে পছন্দ করিনা তাহলে কাট্টা কাফির হয়ে যাবে এ ফতওয়াটি কোন মুজতাহিদ ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তা লিখেননি তার ফতওয়ায়।

“খণ্ডনমূলক জবাব”
কাযযাবে আ’যম, জাহিলে আকবর, প্রখ্যাত ভণ্ড, স্বঘোষিত মুশরিক ‘শামছু…’ তার জিহালতীর সবটুকুই প্রকাশ করে দিয়েছে, কদু সম্পর্কিত ফতওয়ার সমালোচনা করে। জাহিল প্রশ্ন করেছে এ ফতওয়াটি কোন ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার?
মূলত ‘কদুকে অপছন্দ করলে কাফির হয়ে যাবে’ এ ফতওয়া দেয়ার জন্য ইমাম ও মুজাহিদ হওয়ার প্রয়োজন নেই। সামান্য ইলম রয়েছে এরূপ ব্যক্তিও ফতওয়া দিবে যে, কদুকে অপছন্দ করা কুফরী। কেননা একজন সাধারণ মুসলমানও জানে যে, পবিত্র সুন্নত উনাকে অস্বীকার, অবজ্ঞা ও অপছন্দ করা নিঃসন্দেহে কুফরী। যে ব্যক্তি কোন সুন্নত উনাকে অস্বীকার, অবজ্ঞা ও অপছন্দ করবে সে অবশ্যই কাট্টা কাফির হয়ে যাবে। বিশ্বের সকল বড় বড় ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাই এ ফতওয়া দিয়েছেন।

স্মর্তব্য, কদু খাওয়া যে খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত তা নিম্নোক্তপবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয়। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে-
عن انس رضى الله تعالى عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم اتى مولى له خياطا فاتى بدباء فجعل ياكله فلم ازل احبه منذ رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم ياكله.
অর্থ : “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একজন দর্জি গোলামের বাড়িতে আসলেন। (খানা খাওয়ার সময়) কদু উপস্থিত হলে, তিনি বেছে বেছে কদু খেতে লাগলেন। সেদিন থেকে আমিও কদু খেতে ভালবাসি, যেদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কদু খেতে দেখলাম।” (পবিত্র বুখারী শরীফ)
عن انس رضى الله تعالى عنه قال كنت غلاما امشى مع رسول الله صلى الهل عليه وسلم فدخل رسول الله صلى الله عليه وسلم على غلام له خياط فاتاه بقصعو فيها طعام وعليه دباء فجعل رسول الله صلى الله عليه وسلم يتبع الدباع بعد ما رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم صنع ما صنع.
অর্থ : “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যখন বালক ছিলাম তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক-এ চলাফেরা করতাম। একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক গোলামের কাছে গেলেন, তিনি ছিলেন দর্জি। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে একটি পাত্র হাজির করলেন, যাতে খাবার ছিল। আর তাতে কদুও ছিল। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বেছে বেছে কদু খেতে লাগলেন। এটা দেখে আমি কদুর টুকরাগুলো উনার সামনে জমা করতে লাগলাম। তিনি বললেন, গোলাম তার কাজে ব্যস্ত হল। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যেদিন এরূপ করতে দেখলাম তারপর থেকে আমিও কদু খাওয়া পছন্দ করতে লাগলাম।” (পবিত্র বুখারী শরীফ)
عن حضرت انس بن مالك رضى الله تعالى عنه انه خياطا دعا النبى صلى الله عليه وسلم لطعام صنعه فذهبت مع النبى صلى الله عليه وسلم فقرب خبز شعير ومرعا فيه دباء وقديد رايت النبى صلى الله عليه وسلم يتتمع الدباء من حوالى القصعة فلم ازل احب الدباء بعد يومئذ
অর্থ : “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত যে, জনৈক দর্জি ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কিছু খাবার প্রস্তুত করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দাওয়াত করলেন। আমিও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে গেলাম। তিনি যবের রুটি আর কিছু শুরুয়া যাতে কদু ও শুকনা গোশত ছিল পরিবেশন করলেন। আমি দেখলাম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পেয়ালার চতুর্দিক থেকে বেছে বেছে কদু খাচ্ছেন। সে দিনের পর থেকে আমিও কদু খাওয়া পছন্দ করতে লাগলাম।” (পবিত্র বুখারী শরীফ)
عن حضرت انس ان رسول الله صلى الله عليه وسلم اتى مولى له خياطا فاتى بدباء فجعل ياكله فلم ازل احبه منذ رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم ياكله.
অর্থ : “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দেখলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে কিছু শুরুয়া উপস্থিত করা হলো যাতে কদু ও শুকনা গোশত ছিল। আমি উনাকে কদু বেছে বেছে খেতে দেখলাম।” (পবিত্র বুখারী শরীফ)
عن حضرت انس بن مالك رضى الله تعالى عنه يقول ان خياطا دعا رسول الله صلى الله عليه وسلم لطعام صنعه قال انس فذهبت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم الى ذلك الطعام فقرب الى رسول الله صلى الله عليه وسلم خبزا من شعير ومرقا فيه دباء وقديد قال انس رضى الله تعالى عنه فرايت رسول الله صلى الله عليه وسلم يتتبع الدباء من حول الصحفة فلم ازل احب الدباء من يومئذ.
অর্থ : “হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন দর্জি ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কিছু খাবার প্রস্তুত করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দাওয়াত করলেন। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি সে দাওয়াতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে যবের রুটি এবং কিছু শুরুয়া পেশ করতে দেখলাম যাতে কদু ও শুকনা গোশত ছিল। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি দেখলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পেয়ালার চতুষ্পার্শ্ব থেকে কদু খুঁজে খাচ্ছেন। সে দিন থেকে আমি কদু ভালবাসতে লাগলাম।” (পবিত্র বুখারী শরীফ)
অতএব, সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, কদু খাওয়া খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। শুধু তাই নয় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই কদুকে খুব পছন্দ করতেন। সুতরাং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেটাকে পছন্দ করেছেন ও খেয়েছেন সেটাকে যদি কেউ অপছন্দ করে বা অবজ্ঞা করে তার ঈমান থাকে কি করে? ভুয়া মুফতী, স্বঘোষিত মুশরিক “শামছু…” কি প্রমাণ করতে পারবে যে, পবিত্র সুন্নত উনাকে অপছন্দ বা অবজ্ঞা করলে কাফির হবে না বা ঈমান যাবে না। কস্মিনকালেও সে তা প্রমাণ করতে পারবে না। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
عن حضرت عبد الله بن مسعود رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو تركتم سنة نبيكم لكفرتـم
অর্থাৎ “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদি তোমরা তোমাদের নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সুন্নত উনাকে (অবজ্ঞা বা অপছন্দ করে) তরক কর, তবে তোমরা নিঃসন্দেহে কুফরী করলে।” (আবূ দাঊদ শরীফ)
এর উপর ভিত্তি করেই বলা হয় যে-
اهانة السنة كفر
অর্থাৎ “পবিত্র সুন্নত উনাকে ইহানত তথা অবজ্ঞা, অপছন্দ ও অস্বীকার করা কুফরী।”
অতএব, কদু খাওয়া সুন্নত বা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কদুকে পছন্দ করতেন এটা জানার পরও যদি কেউ বলে যে, আমি কদুকে পছন্দ করি না। তবে সে অবশ্যই কুফরী করলো। কারণ স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেটা পছন্দ করেছেন সেটা সে অপছন্দ করলো, হাক্বীক্বত সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই বিরোধিতা করলো। দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে যার সামান্য ইলম ও সমঝ আছে তাকে তো এটা দলীল দিয়ে বুঝানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এজন্য তো সাধারণ আক্বলই যথেষ্ট।
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, মিথ্যাবাদী জাহিল ভণ্ড স্বঘোষিত মুশরিক ‘শামছু…র’ সাধারণ আক্বলও নেই। তাছাড়া যে বুখারী শরীফ উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্পর্কে জানেনা সে কি করে নিজেকে মুফতী বলে প্রচার করে? পাঠক মিথ্যাবাদী, জাহিল, প্রতারক স্বঘোষিত মুশরিক ‘শামছুর…র’ দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে সামান্যতম আক্বল না থাকলেও সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেয়া, প্রতারণা করা, মিথ্যাচারিতা ও অন্যের বক্তব্য কাট-ছাঁট করে উপস্থাপন করার ব্যাপারে তার চতুরতা (আক্বল) ষোল আনাই রয়েছে।
মিথ্যাবাদী, ভণ্ড স্বঘোষিত মুশরিক শামছূ…….’ কত বড় প্রতারক দেখুন। সে আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত কদু সম্পর্কিত বক্তব্যটি সম্পূর্ণ উঠায়নি বরং একটি অংশ উঠিয়ে দিয়েছে। যেমন সে উঠিয়েছে, “যদি কেউ বলে যে, আমি কদুকে পছন্দ করিনা তাহলে সে কাট্টা কাফির হয়ে যাবে।”
অথচ সম্পূর্ণ বক্তব্যটি হলো-“আক্বাইদের কিতাবে উল্লেখ আছে যে, কদু খাওয়া সুন্নত। কারণ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কদু পছন্দ করতেন এবং খেয়েছেন। তাই কেউ যদি বলে যে, আমি কদু খাওয়া পছন্দ করিনা তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেটা পছন্দ করেছেন সেটা সে অপছন্দ করলো।”
অর্থাৎ কদু খাওয়া যেহেতু সুন্নত আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু কদু পছন্দ করতেন তাই কেউ যদি বলে আমি কদু পছন্দ করিনা তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। এজন্য যে ব্যক্তি কিতাবের নাম আর পৃষ্ঠা নাম্বার তালাশ করে সে যে কত নম্বর জাহিল তা বুঝতে আপনাদের কষ্ট হওয়ার কথা নয়। আসলে ভুয়া মুফতী স্বঘোষিত মুশরিক ‘শামছু’ জিহালতীর দিক দিয়ে যে আবু জাহিলকেও ছাড়িয়ে গেছে তা তার নিম্নোক্তবক্তব্য দ্বারাই প্রমাণিত হয়। আবু জাহিলের শিষ্য, স্বঘোষিত মুশরিক ‘শামছু….’ লিখেছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ভাত খাওয়ার অভ্যাস ছিলনা। ……. তিনি খেজুর পাতার ঘরে থাকতেন। আপনি তার বিরোধিতা করে ভাত খান………. দালানে এ.সি লাগিয়ে ঘুমান তাহলে আপনি মুসলমান কিনা?
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ভাত খাওয়ার অভ্যাস ছিল কিনা এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। বিখ্যাত মুহাদ্দিছ আল্লামা নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত “ফাওয়ায়িদুল ফুয়াদ” নামক কিতাব মুবারক উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ভাত খেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং এ দৃষ্টিকোণ থেকে ভাত খাওয়াও সুন্নত সাব্যস্ত হয়। তাছাড়া যদিও ধরে নেই যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ভাত খাওয়ার অভ্যাস ছিলনা, তিনি দালানে থাকেননি, এসি ব্যবহার করেননি, কিন্তু তিনি ভাত খেতে, দালানে থাকতে ও এসি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন এরূপ একটি দুর্বল দলীলও কি ভণ্ড, গ-মুর্খ, মিথ্যুক, স্বঘোষিত মুশরিক ‘শামছু….’ দেখাতে পারবে? যদি তিনি নিষেধ করতেন তবেই না ভাত খেলে, দালানে থাকলে ও এসি ব্যবহার করলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করা হতো। যেমন স্বঘোষিত মুশরিক শামছু…..’র গুরু আযীযুল হক, আমীনী, মাহিউদ্দীন, আহমদ শফী গং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করছে। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছবি তুলতে ও বেপর্দা হতে নিষেধ করেছেন, তারা ছবি তুলে ও বেপর্দা হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করছে। এদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা যেতে পারে যে, এরা মুসলমান কিনা?
কাজেই ভাত খাওয়া, দালানে থাকা, এসি ব্যবহার করা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা নয় এটাকে বিরোধিতা বলা জিহালত ও কুফরী বৈ কিছুই নয়।
কেননা যে বিষয়ে সরাসরি কোন আদেশ নিষেধ নেই ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে তা মুবাহ। অর্থাৎ তা জায়িয। ইসলামী শরীয়ত উনার এই সামান্যতম জ্ঞান যার নাই সে মুফতী বোর্ডের প্রধান হয় কি করে? আর এরূপ লোক যদি হয় মুফতীদের প্রধান তাহলে ফতওয়ার কি হাল হবে তা বলাই বাহুল্য।
তাই ভুয়া মুফতী, ভণ্ড, প্রতারক, জাহিল, ফিৎনাবাজ, স্বঘোষিত মুশরিক “শামছু…..” কে বলছি ভাল করে স্মরণ রাখ! “কদুকে অপছন্দ করা” আর ভাত খাওয়া, দালানে থাকা, এ,সি ব্যবহার করা এক কথা নয়।
কদুকে অপছন্দ, অবজ্ঞা ও অস্বীকার করা কুফরী। কারণ কদুকে অপছন্দ করার অর্থ হলো পবিত্র সুন্নত উনাকে অপছন্দ করা। পক্ষান্তরে ভাত খাওয়া সরাসরি পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত। আর দালানে থাকা, এসি ব্যবহার করা জায়িয তো অবশ্যই বরং ক্ষেত্র ও অবস্থাভেদে নিয়ত অনুসারে পবিত্র সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। যেমন কেউ এসিতে থাকলে সুস্থ থাকে নচেৎ অসুস্থ হয়ে যায়। তখন স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যে চিকিৎসা হিসেবে বা চিকিৎসার নিয়তেও এসি ব্যবহার করলে সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত হবে। আর এসি যেহেতু দালান ব্যতীত ব্যবহার করা যায় না। তাই উক্ত শর্তে দালান থাকাও সুন্নত।
অনুরূপ বর্তমান মসজিদে নববী শরীফ ও হুজরা শরীফ যেহেতু দালান এবং সেখানে এসিও রয়েছে সে হিসেবে দালানে থাকা ও এসি ব্যবহার করাও সুন্নত। তাছাড়া পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গরমের কারণে হাত পাখার বাতাস খেয়েছেন। বর্তমান বৈদ্যুতিক ফ্যান ও এসি হচ্ছে তারই আধুনিক ছূরত।
কাজেই সুস্থতার জন্য গরমের থেকে বাঁচার নিয়তে এসি ব্যবহার করাও সুন্নত। যারা দায়িমীভাবে বিদয়াতের মধ্যে ডুবে আছে সেই স্বঘোষিত মুশরিক ‘শামছু…..র’ মত পাক্কা বিদয়াতীরা পবিত্র সুন্নত উনার হাক্বীক্বত বুঝবে কি করে?
বিদয়াতী ও স্বঘোষিত মুশরিক ‘শামছু….র’ প্রতি চ্যালেঞ্জ সে তার মাথার টুপি, পরিধানে কামীছ বা কোর্তা, লুঙ্গী বা ইযার, স্যান্ডেল ইত্যাদি কোনটাই সুন্নত প্রমাণ করতে পারবে না।
কাজেই যার নিজেরই গোমর ঠিক নাই সে আবার অন্যের গোমর ফাঁক করে কিভাবে? তাই শামছু…. যেন আগে নিজের গোমরের ফাঁক বন্ধ করে তারপর অন্যের গোমর ফাঁকে হাত দেয়।

No comments:

Post a Comment