Tuesday, December 15, 2015

রাজারবাগী পীর সাহেবের মুরিদের সাথে একদিন

পটুয়াখালী জেলায় একদিন। দেখা হলো পটুয়াখালী সদরের সড়ক ও জনপথ অফিসের ইঞ্জিনীয়ার ইউসুফ সাহেবের সাথে। ভদ্রলোক একবার কথা প্রসঙ্গে রাজারবাগ দরবারে এসে তাঁর উপলদ্ধির কথা আমাকে বললেন। তিনি জানালেন সড়ক ও জনপথের বরিশাল বিভাগের এডিশনাল চীফ ইঞ্জি. এমদাদ সাহেব রাজারবাগ পীর সাহেব ক্বিবলার একজন মুরিদ।
তো ইউসুফ সাহেব আমাকে বললেন, আমি সেখানে যাওয়ার আগে মনে মনে ভাবতেছিলাম- স্যারতো (ইঞ্জি. এমদাদ সাহেব) খুবই বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ ও অমায়িক মানুষ। কিন্তু দরবার বলতেই কেমন যেন একটা নেগেটিভ ধারণা আগে থেকেই আমার ভেতরে বদ্ধমূল ছিলো। ভাবতেছিলাম যে, রাজারবাগ দরবারে যেহেতু স্যার আসা যাওয়া করে নিশ্চেই তেমন খারাপ কিছু হবেনা, ব্যাতিক্রম কোন বিষয় থাকতে পারে।
রাজারবাগ আসার পর কিছু লোকের সাথে পরিচয় হওয়ার পরে আমি নিজেকে খুব অসহায় মনে করতে লাগলাম। ধারণা করেছিলাম যে, এখানে আমাকে সবাই ভিআইপি লোক হিসেবে গণ্য করবে। স্যারের পরিচয় দিলে হয়তো আলাদা মেহমানদারির ব্যবস্থা করবে কিন্তু এখানে এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই ধারণা চেঞ্জ হয়ে গেলো।
দেখলাম- স্যারের লেভেলের বহু জ্ঞানী-গুনি, উচ্চ শিক্ষিত, পদস্থ লোকজন এখানে সাধারণ মানুষের মতোই আসা যাওয়া করছে। স্যারের মতো বহু ইঞ্জিনীয়ার, ডাক্তার, কর্ণেল, মেজর ও সমাজের উচ্চপদস্থ লোকজন এখানে নিয়মিত তালিম নিচ্ছেন, সবার সাথে একসাথে ফ্লোরে বসে সুন্নতি কায়দায় খাওয়া দাওয়া করছেন, হাসি খুশি করছেন।
মজার ব্যপার হচ্ছে, এসব লোকদের দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এরা এতোটা উচ্চ শিক্ষিত,কারণ সবাই পাগড়ি-রুমাল, সুন্নতি পোশাক পড়া। দেখতে মনে হয় সবাই মাদরাসায় পড়ুয়া আলেম।
আবার এখানে গরিব মানুষসহ সব শ্রেণীর লোক জন আসা যাওয়া করেন। একটা বিষয় কমন দেখলাম যে, সবাই আসলে যিনি পীর সাহেব ক্বিবলা তাঁর তা’লীম তালক্বীন নেয়ার জন্যই আসছেন এবং সবার কথা বার্তা, জ্ঞানের পরিসীমা উচ্চ পর্যায়ের আলেমদের মতোই ।

4 comments:

  1. Keo mauk ar na manuk kintu apnar kothagulu 100vag sotto.

    ReplyDelete
  2. রাজারাগী হচ্ছে সেরা ভণ্ড

    ReplyDelete
    Replies
    1. পাত্রে আছে যা ঢাকিকে পড়িবে তা

      Delete
    2. পাত্রে আছে যা ঢালিলে পড়িবে তা। ভণ্ডরাই হক্বের বিরোধীতা করে

      Delete