Sunday, September 24, 2017

কাফিরদের প্রতি বদদোয়া


আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনার প্রতি কারো কোন হক্ব নেই। তারপরেও আপনি নিজেই বলেন, আপনার হক্ব হচ্ছে মুমিনদেরকে সাহায্য করা। এখন দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান আমরা সকলেই আপনার গায়েবী মদদ, আপনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গায়েবী ইহসানের দিকে রুজু হয়ে রয়েছি। আমাদের কোন ব্যবস্থা নেই আয় মহান আল্লাহ পাক! মুসলমানদের কোন ব্যবস্থা নেই, মুসলমানদেরকে কঠিন কষ্ট দেয়া হচ্ছে, অত্যাচার করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে, বরদাশতের বাইরে যুলুম করা হচ্ছে আয় মহান আল্লাহ পাক! হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনি ক্বাবা শরীফ উনাকে আপনার নিকট সোপর্দ করেছিলেন আপনি মালিক হওয়ার পরেও অতঃপর আপনি গ্রহণ করেছিলেন এবং হিফাযতও করেছিলেন। আয় মহান আল্লাহ পাক! এখনতো দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কঠিন অবস্থার সম্মুখীন আপনাকে মানার কারণে, আপনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মানার কারণে এরা যুলুম করে যাচ্ছে। আয় বারে ইলাহী!
আমরা সমস্ত দুনিয়ার মুসলমানদের পক্ষ থেকে বলবো আপনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উসীলা করে উনার বিলাদত শরীফ উনার মাস এবং দিন উনাদের উসীলা করে উনাদের সম্মানার্থে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান সকলের ঈমান-আক্বীদা-আমল, মুহব্বত-মারিফত, তাওয়াল্লুক-নিছবত, ইত্তেবা, ইজ্জত-সম্মান-সম্ভ্রম সমস্ত কিছু সহ সবাইকে হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনি যেভাবে কা’বা শরীফ উনাকে সোপর্দ করেছিলেন, আমরা ঠিক একইভাবে আপনার কাছে সোর্পদ করে দিচ্ছি বারে ইলাহী!
আপনি দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানদেরকে তদ্রুপ হিফাযত করুন যেভাবে কা’বা শরীফ উনাকে হিফাযত করেছিলেন। আয় মহান আল্লাহ পাক! আর ঠিক একইভাবে আমরা বলবো হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার দুয়ার বদৌলতে আবরাহাকে যেভাবে নিশ্চিহ্ন-বিলিন করে মিটিয়ে দিয়েছিলেন। আয় মহান আল্লাহ পাক! আবরাহা কা’বা শরীফ উনার দুশমন হওয়ার কারণে তাকে বরদাস্ত করা হয়নি, তাকে নিশ্চিহ্ন বিলীন করে দেয়া হয়েছে। আয় মহান আল্লাহ পাক! আমাদের বলার বিষয় হচ্ছে আবরাহাকে যদি শুধুমাত্র কা’বা শরীফ উনার দুশমন হওয়ার কারণে নিশ্চিহ্ন-বিলীন করে মিটিয়ে দিতে হয়। তাহলে কাফির-মুশরিক বেদ্বীন-বদ্বীন যারা আপনার দুশমন, আপনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুশমন, মুসলমানদের দুশমন, ইসলাম উনার দুশমন, শরীয়ত উনার দুশমন তাদের কি ফায়সালা হবে আপনি এবং আপনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনারা সব চাইতে ভাল জানেন। আয় মহান আল্লাহ পাক! আমাদের বলার বিষয় হচ্ছে হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনি কিন্তু আবরাহাকে বরদাস্ত করেননি। তার বিরুদ্ধে আপনার কাছে বলে তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলেন। তিনি যদি শুধু কা’বা শরীফ উনার দুশমন হওয়ার কারণে আবরাহাকে বরদাস্ত করতে না পারেন, তাহলে বর্তমানে মুসলমান আমরা তাদেরকে যারা আপনার দুশমন, আপনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুশমন, মুসলমানদের দুশমন, শরীয়ত উনার দুশমন, এদের কিভাবে বরদাস্ত করবো আল্লাহ পাক! আমাদের বরদাস্তের বাইরে চলে গেছে বারে ইলাহী! আমরা যেটা বলবো সেটা হচ্ছে আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি খাছ করে এসমস্ত দুশমন যে দুশমনগুলি মুসলমানদের দেশে রয়েছে আর যে দুশমনগুলি কাফিরের দেশে রয়েছে সে দুশমনগুলিকে তাদের দেশসহ, আয় মহান আল্লাহ পাক! হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার দুয়ার বদৌলতে আবরাহাকে যেভাবে নিশ্চিহ্ন-বিলীন করে মিটিয়ে দিয়েছেন, তার চাইতে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি কঠিনভাবে ধ্বংস করে দিন, ধ্বংস করে দিন, ধ্বংস করে দিন, নিশ্চিহ্ন করে দিন, বিলীন করে দিন, মিটিয়ে দিন, মিটিয়ে দিন, মিটিয়ে দিন, মুসলমানদের হিফাযত করুন, কা’বা শরীফ হিফাযত করুন, তন্ত্র-মন্ত্র মিটিয়ে দিন খিলাফত জারি করে দিন, মুসলমানদের হিফাযত করুন, ইজ্জত-সম্মান রক্ষা করুন, গায়েবী মদদ করুন, ইহসান করুন। গায়েবী মদদ করুন, ইহসান করুন। গায়েবী মদদ করুন, ইহসান করুন।
আয় মহান আল্লাহ পাক! খাছ করে যে দুশমনগুলি মুসলমানদের ইজ্জত-সম্মান নষ্ট করতে চায়, আপনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান মুবারক সম্পর্কে চু-চেরা, কিল-কাল করতে চায়, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলু বাইক শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান-মান মুবারক সম্পর্কে চু-চেরা, কিল ও কাল করতে চায়, আয় মহান আল্লাহ পাক!
যারা কুরআন শরীফ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিতে চায়, মসজিদ-মাদরাসাগুলি ধ্বংস করে দিতে চায়, মুসলমানদের বাড়ী-ঘরগুলি নিশ্চি‎হ্ন করে দিতে চায়, মুসলমানদের শহীদ করতে চায়, আয় মহান আল্লাহ পাক! তাদেরকে জালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিন, নিশ্চিহ্ন করে দিন, বিলীন করে দিন, মিটিয়ে দিন। নমরূদের মত, সাদ্দাদের মত, কারুনের মত, ফিরআউনের মত, হামানের মত, আদ-সামুদ জাতির মত, নিশ্চিহ্ন করে দিন, বিলীন করে দিন, মিটিয়ে দিন। কুরআন শরীফ হিফাযত করুন, হেরেমাইন শরীফ হিফাযত করুন, মুসলমানদের হিফাযত করুন, ইজ্জত সম্মান-সম্ভ্রম রক্ষা করুন গায়েবী মদদ করুন, ইহসান করুন। গায়েবী মদদ করুন, ইহসান করুন। গায়েবী মদদ করুন, ইহসান করুন।
اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّدِنَا نَبِيّنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا النَّبِىّ الْاُمّىّ وَاٰلِه وَسَلّمْ. 
আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা চেয়েছেন, দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান আমাদের সবাইকে সেটা দান করুন। তিনি যা চেয়েছেন, দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান আমাদের সবাইকে সেটা দান করুন। তিনি যা চেয়েছেন, দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান আমাদের সবাইকে সেটা দান করুন।
আয় মহান আল্লাহ পাক! তিনি যা থেকে পানাহ চেয়েছেন, দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান আমাদের সবাইকে তা থেকে পানাহ দান করুন। আমাদের সবাইকে তা থেকে পানাহ দান করুন। আমাদের সবাইকে তা থেকে পানাহ দান করুন।
اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّدِنَا نَبِيّنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا وَسِيْلَتِىْ اِلَيْكَ وَاٰلِه وَسَلّمْ.
اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّدِنَا نَبِيّنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا مَعْدَنِ الْـجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَاٰلِه وَسَلّمْ.
اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّدِنَا نَبِيّنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا النَّبِىّ الْاُمّىّ وَاٰلِه وَسَلّمْ.
سُبْحَانَ رَبّكَ رَبّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ وَسَلٰمٌ عَلَى الْمُرْسَلِيْنَ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبّ الْعٰلَمِيْنَ.

No comments:

Post a Comment