এবার ১২ই রবিউল আওওয়াল শরীফ উনার দিনে বাধা প্রাপ্তির ঘটনা দিয়ে প্রমাণিত হলো ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ উনার নিসবত (সম্পর্ক) কার সাথে
প্রতি জামানায় ওলী আল্লাহগণ আসবেনই। কিয়ামত অবধি চলবে সে ধারা। এ সমস্ত আউলিয়াকিরামগণকে কেউ চিনবেন, আবার কেউ বা বিরোধীতা করবে। বর্তমান জামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে প্রেরিত সে ধরনের একজন আউলিয়া কিরাম হচ্ছেন ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম।
প্রতি বছর সাইয়্যিদুল অাইয়াদ শরীফ পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনে বাধা না আসলেও এ বছর কিন্তু ছিলো ভিন্ন পরিস্থিতি। এ বছর খ্রিস্টান ধর্মনেতা পোপের সফরকে কেন্দ্র করে ১২ই শরীফ উনার দিন অনুষ্ঠান পালনে বিধি নিষেধ আরোপ করেছিলো প্রশাসন। এ সম্পর্কে বিডিনিউজ২৪ এর খবরে প্রকাশ- “মিলাদুন্নবির শোভাযাত্রা কিংবা জশনে জুলুসের অনুমতি পুলিশ দিয়েছে কি না- জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আউটডোরে সভা-সমাবেশ করার কোনো অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। পোপ চলে যাওয়ার পর কেউ সভা-সমাবেশ করতে চাইলে করতে পারবেন।”
প্রশাসনের এ নির্দেশ শুনে অনেকে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠান পালনে পিছপা হয়েছে। বিশেষ করে যারা নিজেদের সবচেয়ে বেশি রাসূলপ্রেমী বলে দাবি করে, যারা নিজেদের সুন্নীয়তের সৈনিক বলে অন্যদের ওহাবী বলে অপপ্রচার করে, তারা পোপকে সম্মান নিয়ে পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন ১ দিন পিছিয়ে দেয়। নাউযুবিল্লাহ।
কাগজের ফুল দিয়েও গন্ধ বের হবে না, হাকিক্বত চুপিয়ে রাখা যায় না। যাহার মাঝে সঠিক ইশকে রাসূল আছে সেটা ঠিক সময় জাহির হবেই হবে। সবাই যখন প্রশাসনের হুংকার শুনে রাসূলপ্রেমকে হারিয়ে ফেলেছিলো, তখন ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি ঠিক-ই ঐ সময় দেশের আইন মোতাবেক হাইকোর্টে রিট করার ব্যবস্থা নিলেন এবং উকিল প্রেরণ করলেন। এবং মহান আল্লাহ তায়ালার কুদরত এবং রাসূল্লাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুজিজা, ঠিক ঠিক কোর্টের জাস্টিসরা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এর্টনীকে বলে দিলো। ঐ দিন রাতের বেলা কোর্ট নির্দেশের মূল কপি না পাওয়ায় অ্যাডভোকেট কপি পাওয়া গেলো। যার প্রেক্ষিতে পরদিন সরকারের উধ্র্বতন মহল থেকে বলে দেয়া হলো- উনাদের কাছে হাইকোর্টের আদেশ আছে, পুলিশ যেন বাধা না দিয়ে উনাদের অনুষ্ঠানে সহায়তা করে।
অবশেষে ১২ই শরীফ দিনে বেলা সারা ঢাকা শহরব্যাপী র্যালী হলো এবং সবার শেষে পবিত্র সাইয়্যিদুল অাইয়াদ শরীফ গেইটের সামনে অনুষ্ঠিত হলো ‘কোটি কণ্ঠে মিলাদ শরীফ’ অনুষ্ঠান। সুবহানাল্লাহ।
আসলে যিনি সত্যিকারের ওলী আল্লাহ তা কখন চুপ রাখা যাবে না এবং যার সাথে সত্যি সত্যি আল্লাহ তায়ালা ও রাসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত আছে তা কখন থামিয়ে রাখা যাবে না, চুপিয়ে রাখা যাবে না। উনারা কারো কাছে কখনই মাথা নত করবেন না। সুবহানাল্লাহ।
পবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিন ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত শায়েখ আলাইহি সালাম উনার পৃষ্ঠপোষকতায় মাহফিলসমূহ পালন তার-ই প্রমান বহন করে।
No comments:
Post a Comment