Saturday, November 26, 2016

কাযযাবগং তথা উলামায়ে সূ’দের মিথ্যাচারিতার দাঁতভাঙ্গা জবাব ২(৪)


বাতিলপন্থিরা এ পর্যন্ত বহু মিথ্যা রটনা বা অপপ্রচারই করেছে। তবে তাদের প্রতিটি মিথ্যা অপপ্রচারেরই দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হয়েছে বা রয়েছে। উক্ত জবাবের কোন খ-নমূলক জবাব না দিতে পেরে তারা বাধ্য হয়েছে “মিথ্যার আশ্রয় নিতে”।
ইদানিংকালে ঢাকার  তথাকথিত মুফতী বোর্ড ও মারকাজুল ইসলামী-এর তথাকথিত চেয়ারম্যান ও মুফতী … শামছুল হক “বেশরা…দের গোমর ফাঁক” নামে একটি রেসালা প্রকাশ করেছে এবং মুনাফিক গোষ্ঠী ও বাতিলপন্থী ওহাবী, খারিজী, জামাতিরা কয়েকটি লিফলেট প্রচার করেছে। সেগুলোতে যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাব “শামছু ও মুনাফিক গোষ্ঠীরা রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতা করতে গিয়ে যে সকল মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছে, তা তাদেরকে আশাদ্দুদ দরজার জাহিল, যুগের আবূ জাহিল, গোমরাহ ও দাজ্জালে কাযযাব হিসেবেই সাব্যস্ত করেছে।

পক্ষান্তরে তাদের উক্ত লেখাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব।  কেননা, তারা তাদের উক্ত লিখায় রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার আক্বীদা ও আমলগত কোন ভুলই দলীল দ্বারা ছাবেত করতে পারেনি। যা লিখেছে তা সবই মনগড়া ও বানানো। কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ-এর সাথে তার কোনই সম্পর্ক নেই।
স্মর্তব্য যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার আক্বীদা ও আমলগত কোন ত্রুটি বাতিল পন্থিরা  আজ পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারেনি। ইনশাআল্লাহ কেউ পারবেও না। কেননা তিনি আক্বীদার ক্ষেত্রে পরিপূর্ণরূপেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী। যেমন তিনি  বিশ্বাস করেন-
মহান আল্লাহ পাক তিনি এক ও অদ্বিতীয়,
উনার কোন শরীক নেই,
তিনি নিরাকার,
তিনি ইলম ও কুদরতের দ্বারা সর্বত্র বিরাজমান এবং আসমা ও ছিফাত দ্বারা সর্বত্র জাহির বা প্রকাশমান,
উনার হাক্বীক্বী ছূরত কেউ পৃথিবীতে দেখবে না। তবে মেছালী ছূরত দেখা সম্ভব,
মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী,
তিনি সমস্ত কিছু থেকে বেনিয়াজ,
উনার সমকক্ষ কেউ নেই।
কুরআন শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম যা গায়রে মাখলূক।
মহান আল্লাহ পাক তিনি মানব জাতির হিদায়াতের জন্য এক লক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পাঠিয়েছেন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বশেষ নবী ও সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল।
তিনি নূরে মুজাসসাম বা নূর মুবারক দ্বারা তৈরী,
উনার শরীর মুবারকের কোন ছায়া ছিলনা,
উনার শরীর মুবারকের সমস্ত কিছুই পবিত্র থেকে পবিত্রতম,
উনার পর আর কোন নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম পৃথিবীতে আগমন করবেন না। কারণ তিনি “খাতামুন্ নাবিইয়ীন”। কেউ নবী দাবি করলে সে কাট্টা কাফির হয়ে চির জাহান্নামী হবে। যেমন, কাদিয়ানী, বাহাই সম্প্রদায়।
নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনারা সকলেই ছিলেন মা’ছূম বা নিষ্পাপ।
নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের পর পৃথিবীতে সবচেয়ে মর্যাদাবান ও সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হচ্ছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণ। এরপর তাবেঈনগণ এবং অতঃপর পরবর্তীগণ।
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণ উনাদের বিরোধিতা ও সমালোচনা করা কুফরী,
উনারা প্রত্যেকেই মি’য়ারে হক্ব বা সত্যের মাপকাঠি,
উনাদের কোন ইজতিহাদই ভুল ছিলনা।
এমনিভাবে ইসলামের প্রতিটি বিষয়েই তিনি কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী। যার ফলে বাতিল পন্থিরা বা বিরোধিতাকারীরা উনার কোন একটি আক্বীদাও ভুল প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি।
অনুরূপভাবে তিনি আমলের ক্ষেত্রেও পরিপূর্ণভাবে কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসকে অনুসরণ করেন। অর্থাৎ, ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদা, সুন্নতে যায়িদা এমনকি মুস্তাহাব আমলগুলোও সূক্ষাতিসূক্ষ্মভাবে পালন করেন। যেমন-
তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামায়াতে তাকবীরে উলার সাথে নিজে ইমাম হয়ে আদায় করেন,
রমাদ্বান মাসে রোযা রাখেন,
বিশ রাকায়াত তারাবীহ নামায নিজে ইমাম হয়ে জামায়াতে আদায় করেন,
প্রতি বৎসর রমাদ্বান শরীফ-এর শেষ দশ দিন ই’তিকাফ করেন,
ছদকাতুল ফিতর আদায় করেন,
যাকাত প্রদান করেন,
ঈদের নামায ছয় তাকবীরে নিজ ইমামতীতে আদায় করেন,
প্রতি রাত্রে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করেন, এমনকি সফরে থাকার সময়েও কখনো তিনি তাহাজ্জুদ নামায তরক করেন না।
কুরবানী করেন,
তিনি খাছ শরয়ী পর্দা করেন, তাক্বওয়া বা পরহেযগারীর জন্যে উনার সামনে ৫/৭ বছর বয়সের মেয়েদেরকেও আসতে দেননা এবং উনার অন্দর মহলেও ৫ বছর বয়সের ছেলেও প্রবেশ করতে পারে না।
তিনি যাচাই-বাছাই করে হাদিয়া গ্রহণ করেন।
বিশেষ বিশেষ দিন ও মাসে তিনি নফল রোযা রেখে থাকেন।
চলা-ফেরা, খাওয়া-দাওয়া, লেবাস বা পোষাকে তিনি পরিপূর্ণরূপে সুন্নতের ইত্তেবা করে থাকেন।
এমনিভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস মুতাবিক আমল করে থাকেন। যার ফলে বাতিলপন্থি বা বিরোধিতাকারীরা আজ পর্যন্ত উনার একটি আমলও শরীয়ত বিরোধী বা সুন্নত পরিপন্থী প্রমাণ করতে পারেনি এবং কস্মিনকালেও পারবেনা ইনশাআল্লাহ।
অনুরূপভাবে উক্ত রেসালার লেখক যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাব শামছু তার রেসালার মাধ্যমে ও মুনাফিক তথা বাতিলপন্থীরাও তাদের লিফলেটের মাধ্যমে পারেনি রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কোন আক্বীদা ও আমল শরীয়ত বিরোধী প্রমাণ করতে। পেরেছে শুধু মনগড়া, মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদেরকে যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক, দাজ্জালে কাযযাব ও আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হিসেবে সাব্যস্ত করতে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে হয় যে, কুমন্ত্রক শামছু ও মুনাফিক গং তাদের সমর্থনকারী গোষ্ঠীর অজ্ঞতাকেই নিজের বড় পুঁজি মনে করে রাজারবাগ শরীফ-এর বিরুদ্ধে তাদের কুমন্ত্রণার জাল বিস্তার করেছে।
তার উদাহরণটা মূলতঃ ঐ রকম যে, অজ্ঞ গ্রামবাসীর সামনে দু’জন শিক্ষকের যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হল, তখন অপেক্ষাকৃত কমজ্ঞানী কিন্তু চতুর শিক্ষক যখন জ্ঞানবান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করল “I don’t know”-এর অর্থ কি? জ্ঞানী শিক্ষকের সঠিক জবাব “আমি জানিনা” বললে, অজ্ঞ গ্রামবাসী ভেবে নিল তিনি বুঝি সত্যিই এ প্রশ্নের উত্তর জানেন না।
চতুর কুমন্ত্রক কাযযাব উদ্দীন গং তাদের গোষ্ঠীর অজ্ঞতা সম্পর্কে অবগত। তাই তারা রাজারবাগ শরীফ-এর বিরুদ্ধে অপবাদ রচনা করতে গিয়ে তাদের চিরাচরিত কায়দায় লক্বব, স্বপ্ন তথা বুযূর্গী ইত্যাদি বিষয় নিয়েই অহেতুক অপপ্রচারের কলম ধরেছে, চিরদিনের জন্য হেনস্তা হওয়ার নির্ধারিত লক্ষ্যে।
নিম্নে “বেশরা …..দের গোমর ফাঁক” নামক ভ্রান্ত রেসালা ও লিফলেটসমূহে প্রদত্ত মিথ্যাচারিতার দফাওয়ারী দলীলভিত্তিক দাঁতভাঙ্গা জাওয়াব দেয়া হলো।

No comments:

Post a Comment