Saturday, November 26, 2016

নামের পূর্বে লক্বব বা উপাধি ব্যবহার করা সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা


আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কাযযাবুদ্দীন তার ভ্রান্ত পুস্তিকা “………ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে, “নিজের নামের আগে পিছে প্রায় ৫২টি উচ্চ অর্থ সম্পন্ন খেতাব সংযুক্ত করেছেন। আজ পর্যন্ত উম্মতের কেউ এমন খেতাবের বিশাল বহর নিজের নামের সাথে যোগ করেননি।”
মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব

যাক কাযযাবুদ্দীনগং তাহলে অবশেষে সুর পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে। আগে তারা বলতো স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও এত লক্বব মুবারক ছিলনা। আর এখন বলছে উম্মত এত লক্বব ব্যবহার করেননি। অর্থাৎ কাযযাবুদ্দীনের বক্তব্য দ্বারা এটাই বুঝা যাচ্ছে যে, উম্মত এত লক্বব ব্যবহার না করলেও উম্মতের যিনি রসূল, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এত লক্বব মুবারক ব্যবহার করেছেন। সুতরাং কাযযাবুদ্দীনের বক্তব্য দ্বারাই লক্বব ব্যবহার ‘সুন্নতে রসূল’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রমাণিত হয়। অতএব, যেখানে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসংখ্য লক্বব মুবারক ব্যবহার করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত এবং কাযযাবুদ্দীনও তা অস্বীকার করেনি। সেখানে “উম্মতের কেউ এত লক্বব ব্যবহার করেননি” এ বক্তব্য প্রদান করা জিহালত ও গোমরাহী বৈ কিছুই নয়। এ ক্ষেত্রে উক্ত বক্তব্য একেবারেই মূল্যহীন।  শুধু মূল্যহীনই নয় বরং তার উক্ত বক্তব্য ডাহা মিথ্যাও বটে। কারণ পূর্ববর্তী অনেক ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের অসংখ্য লক্বব মুবারক ছিল। নিম্নে তার কিছু দলীল ভিত্তিক প্রমাণ পেশ করা হলো-
হানাফী মাযহাব-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম হযরত ইমামে আ’যম
ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লক্বব মুবারক
১। امام الـمكثرين فى الـحديث (ইমামুল মুকছিরীনা ফিল হাদীছি) ২। امام الكبير فى الفقه (ইমামূল কাবীরি ফিল ফিক্বহি) ৩। حافظ الـمغرب (হাফিযুল মাগরিবি) ৪। امام فى العلوم الشرعية الـمرضية (ইমামুন ফিল উলূমিশ্ শারইয়্যাতিল মারদ্বিয়্যাতি) ৫। افقه اهل بلده (আফক্বাহু আহ্লি বালাদিহী) ৬। سيد العلماء (সাইয়্যিদুল উলামায়ি আলিম) ৭। امام اهل الرائى (ইমামু আহলির রায়ি) ৮। سراج الـملة (সিরাজুল মিল্লাতি) ৯। قمر الامة (ক্বমারুল উম্মাহ) ১০। امام الـمسلمين (ইমামুল মুসলিমীনা) ১১। العلامة (আলআল্লামাতু) ১২। الـحجة (আল্হুজ্জাতু) ১৩। هادى الناس (হাদিউন্ নাসি) ১৪। قامع البدعة (ক্বামিউল বিদ্য়াতি) ১৫। الـجامع بين الـحديث والفقه (আলজামিউ বাইনাল হাদীছ ওয়াল ফিক্বাহ্) ১৬। الـجليل القدر (আলজালীলুল কুদরাতু) ১৭। الـجميل ذكره (আল্জামীলু যিকরুহ) ১৮। عظيم الشان (আযীমুশ্ শা’নি) ১৯। قوى البرهان (ক্ববিয়্যুল বুরহানি) ২০।عالـم القران (আলিমুল কুরআনি) ২১। حافظ احاديث الرسول (হাফিযু আহাদীছির রসূলি) ২২। الامام الاعظم (আল্ ইমামুল আ’যামু) ২৩। فقيه العراق (ফাক্বীহুল ইরাক্বি) ২৪।قدوة اهل الرائى  (কুদওয়াতু আহলির রায়ি) ২৫। صاحب مذهب الـمكزى (ছাহিবু মাযহাবিল মাকযিয়্যি) ২৬। امام الـهمام (ইমামুল হুমামি) ২৭।  امام الائمة (ইমামুল আইম্মাতি) ২৮।مقدام الامة  (মিক্বদামুল উম্মাতি) ২৯। افقه الناس  (আফক্বাহুন্ নাসি) ৩০। حافظ الـحديث  (হাফিযুল হাদীছি) ৩১। جامع مقدار العظيم (জামিউ মিক্বদারিল আযীমি) ৩২। الامام الاول (আল্ ইমামুল আউয়ালু) ৩৩। كاشف الغمة (কাশিফুল গুম্মাতি) ৩৪। ذو مناقب جـمه (যূ মানাক্বিবি জাম্মিহি) ৩৫। طبق علمه الشرق والغرب من ديار الاسلام (ত্ববাকু ইলমিহিশ্ শারক্বি ওয়াল গারবি মিন দিয়ারিল ইসলামি) ৩৬। فاز بفضل الطبعية (ফাযা বিফাদ্বলিত্ তব্ইয়্যাতি) ৩৭। اجلة العلماء الاعلم  (আজলাতুল উলামাইল আ’লামি) ৩৮। ازكى بنى ادم (আযকা বানী আদামা) ৩৯। ثقة حافظ الـحديث (ছিক্বাতু হাফিযিল হাদীছি) ৪০। عالـم الدنيا (আলিমুদ্ দুন্ইয়া) ৪১। اعلم اهل زمانه (আ’লামু আহলি যামানিহী) ৪২। اعلم بتفسير الـحديث (আ’লামু বিতাফসীরিল হাদীছি) ৪৩। اعلم الناس (আ’লামুন্ নাসি) ৪৪। اورع الناس (আওরউন্ নাসি) ৪৫। احد اعلم الـحفاظ الـمشاهير (আহাদু আ’লামিল হুফফাযিল মাশাহীরি) ৪৬। ثقة امام الصدوق (ছিক্বাতু ইমামিছ ছুদূক্বি) ৪৭। افقه اهل الارض (আফক্বহু আহলিল আরদ্বি) ৪৮। احفظ كل احاديث (আহফাযু কুল্লি আহাদীছা) ৪৯। حاكم الـحديث (হাকিমুল হাদীছি) ৫০।  الـمجدد الاول (আল মুজাদ্দিদুল আউয়াল) ৫১। الـمجتهد الـمطلق (আল মুজতাহিদুল মুতলাক)। (ইলাউস্ সুনান, তাহাবী শরীফ, আত্তারগীব ওয়াত তাহরীব)
এই ৫১টি লক্বব মুবারক ছাড়াও ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আরো বহু লক্বব মুবারক কিতাবে উল্লেখ আছে। কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় বর্ণনা সংক্ষিপ্ত করা হলো।
মালিকী মাযহাব-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম
হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লক্বব মুবারক
১। حجة الـحديث (হুজ্জাতুল হাদীছ) ২। امام من ائمة الـمسلمين   (ইমামুন মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন) ৩। امام الفقه (ইমামুল ফিক্বাহ্) ৪। حارب البدعة (হারিবুল বিদ্য়াত) ৫। نازع الـمحلد (নাযিউল মুহিল্লাদ) ৬। شيخ الكبير  (শাইখুল কাবীর) ৭। مقتدى الاقوم  (মুক্তাদিয়ুল আক্বওয়াম) ৮। مسند الاكرم والافخر (মাসনাদুল আকরাম ওয়াল আফখার) ৯।امام مقتدى الامة  (ইমামু মুক্তাদিউল উম্মাহ্) ১০। فخر الائمة (ফখরুল আইম্মা) ১১। نعم الامام السالك (নিয়ামুল ইমামুস্ সালেক) ১২। امام الائمة  (ইমামুল আইম্মা) ১৩। فقيه الامة (ফক্বীহুল উম্মাহ্) ১৪। شيخ الاسلام (শাইখুল ইসলাম) ১৫। عالـم الـمدينة (আলিমুল মাদীনা) ১৬।امير الـمؤمنين فى الـحديث (আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ) ১৭। ذو الاصبحى الـمدنى  (যুল ইছবাহিল মাদানী) ১৮। النبوية امام دار الـهجرة (ইমামু দারিল হিজরতিন্ নুবুবিয়্যাহ) ১৯। احد اعلم الاسلام (আহাদু আ’লামিল ইসলাম) ২০। احد اعيان الامة (আহাদু আ’য়ানিল উম্মাহ্) ২১। واحد اركان الـملة  (ওয়াহিদু আরকানিল মিল্লাত) ২২।  واحد ائمة الـمتبوعين(ওয়াহিদু আইম্মাতিল মাতবুঈন) ২৩। واحد من وضع له القبول فى الارض (ওয়াহেদু মান ওদায়া লাহুল কবুলা ফিল র্আদ) ২৪।واحد من سلمت له الامة والامامة فى الحديث الفقه جـميعا (ওয়াহিদুম মান সাল্লামাত লাহুল উম্মাতু ওয়াল ইমামাতু ফিল হাদীছ ওয়াল ফিক্বাহ্ জামীয়া) ২৫। مالك العظمة (মালিকুল আ’যমাতে) ২৬। رأس الاجلة (রা’সুল আযিল্লাহ) ২৭।قدوة العلماء الـمدينة (কুদওয়াতুল উলামাইল মাদীনা) ২৮। يعجز اللسان (ইয়া’জিযুল লিসান) ২৯। امام الـمشهور (ইমামুল মাশহুর) ৩০। صدر الصدور (ছদরুস ছুদূর) ৩১। اكمل العقلاء (আকমালুল উক্বালা) ৩২। اعقل الفضلاء  (আ’ক্বালুল ফুযালা) ৩৩। وارث حديث الرسول (ওয়ারিছু হাদীছির রসূল) ৩৪। نشر فى امة الرسول الاحكام والفصول (নাশ্রুন ফি উম্মতির রসূল আল আহ্কাম ওয়াল ফুছূল) ৩৫। امير الـمؤمنين (আমীরুল মু’মিনীন) ৩৬। مفتى الـحرمين (মুফতিয়ুল হারামাইন) ৩৭। عالـم اهل الـحجاز (আলিমু আহলিল হিযায) ৩৮। حجة فى زمانه (হুজ্জাতুন ফি যামানিহি) ৩৯।  سراج الامة (সিরাজুল উম্মাহ্) ৪০। امام فى الـحديث والفقه (ইমামুন ফিল হাদীছ ওয়াল ফিক্বাহ্) ৪১। امام من ائمة الـمسلمين (ইমামুন মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন) الـمجتهد الـمطلق (আল মুজতাহিদুল মুতলাক)। (আত্তারগীব ওয়াততারহীব-১৪, মুয়াত্তায়ে মালিক-৯, আওযাযুল মাসালিক-৪, মুক্বাদ্দামায়ে কিতাবুল হুজ্জাহ, মুক্বাদ্দামায়ে শরহে যুরকানী)
এই ৪২টি লক্বব মুবারক ছাড়াও ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আরো বহু লক্বব মুবারক কিতাবে উল্লেখ আছে। কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় বর্ণনা সংক্ষিপ্ত করা হলো।
শাফিয়ী মাযহাব-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম 
হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লক্বব মুবারক
১। الامام الاكبر (আল্ ইমামুল আকবার) ২। الـمجتهد الاعظم (আল মুজতাহিদুল আ’যম) ৮। سراج لـحملة الاثار (সিরাজুন লি হামলাত্লি আছার) ৯। نقلة الاخبار  (নাক্বলাতুল আখবার)  ১০। طويل سائل الـخدين (তাবিলু সায়িলিল্ খাদীন) ১১।  قليل لحم الوجه  (ক্বালীলু লাহমিল ওয়াজহি) ১২। خفيف العارضين (খাফীফুল আরিজীন) ১৩।  طويل العنق (তাবিলুল্ উনুক্ব) ১৪। طويل القصب (ত্বাবিলুল্ ক্বুসুব্) ১৫। حسن الصوت (হুসনুছ ছাউত) ১৬। حسن السمت (হুসনুছ ছুমত) ১৭। عظيم العقل (আযীমুল আক্বল) ১৮। حسن الوجه (হুসনুল ওয়াজহে) ১৯। حسن الـخلق (হুসনুল খুল্ক) ২০। مهيب (মুহীব) ২১। فصيح (ফছীহ্) ২২। كثير الاستقام  (কাছীরুল ইসতিক্বাম) ২৩। مكتصد فى لباسه (মুকতাছিদুন ফি লিবাছিহী) ২৪। اشجع الناس (আশজাউন্ নাস) ২৫। امام الشريعة (ইমামুশ্ শারীয়াহ্) ২৬। امام فى كل شىء (ইমামুন ফিকুল্লী শাইইন) ২৭। امام الـمذهب  (ইমামুল মাযহাব) ২৮। الـمحدث (আল মুহাদ্দিছ) ২৯। الفقيه  (আল ফক্বীহ্) ৩০। الـهاشـمى (আল হাশেমী) ৩১। الشافعى  (আশ্ শাফেয়ী) ৩২। الغازى (আল গাজী) ৩৩। فاتح الفقه من القفل  (ফাতেহুল্ ফিক্বাহ মিনাল কুফলি)  ৩৪। كامل كل شىء (কামিলু কুল্লা শাইয়িন) ৩৫। افهم من قريش (আফহামু মিন কুরাইশী) ৩৬। افضل اهل زمانه (আফযালু আহ্লে যামানা) ৩৭। افرس الناس (আফরসুন্ নাস) ৩৮। الـمجتهد الـمطلق (আল মুজতাহিদুল মুতলাক)। (মা’য়ারিফুস্ সুনান ওয়াল আছার, আহকামুল কুরআন লিশ্ শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, আহ্কামুল কুরআন পৃষ্ঠা ১২, তারগীব ওয়াত্ তাহরীব পৃষ্ঠা ১২)
এই ৩৮টি লক্বব মুবারক ছাড়াও ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আরো বহু লক্বব মুবারক কিতাবে উল্লেখ আছে। কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় বর্ণনা সংক্ষিপ্ত করা হলো।
বুখারী শরীফ-এর লিখক হযরত মুহম্মদ ইবনে ইসমাঈল
অর্থাৎ ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লক্বব মুবারক
১। امير الـمؤمنين فى الـحديث (আামীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ) ২।رئيس الـمحدثين فى القديـم والـحديث (রঈসুল মুহাদ্দিছীন ফিল ক্বদীম ওয়াল হাদীছ) ৩। استاذ الحافظ (উস্তাজুল হুফ্ফায) ৪।امام الدنيا فى الـحديث (ইমামুদ্ দুনিয়া ফিল হাদীছ) ৫। شيخ الـحديث (শায়খুল হাদীছ) ৬।  امام الـهمام (ইমামুল হুমাম) ৭। استاذ الاساتذين  (উস্তাজুল আসাতিযীন) ৮। سيد الـمحدثين (সাইয়্যিদুল মুহাদ্দিছীন) ৯।طبيب الـحديث فى علله (ত্ববীবুল হাদীছ ফী ইলালিহী) ১০। الـحافظ الـحفيظ (আল হাফিযুল হাফীয) ১১। الـمميز الناقد البصير (আল মুমাইয়্যিযুন্ নাকিদুল বাছীর) ১২। حجة الاسلام (হুজ্জাতুল ইসলাম) ১৩।امام الـمسلمين (ইমামুল মুসলিমীন) ১৪। قدوة الـموحدين (কুদওয়াতুল মুওয়াহ্হিদীন) ১৫। الـمقدم فى قوله وفعله (আল মুক্বাদ্দামু ফী ক্বওলিহী ওয়া ফি’লিহী) ১৬। صاحب فضل الـمتواتر (ছাহিবু ফাযলিল মুতাওয়াতির) ১৭। العلم الصحيح (আল ইলমুছ্ ছহীহ্) ১৮। الكامل الوافر (আল কামিলুল ওয়াফির) ১৯। امام الائمة الـحديث (ইমামুল আইম্মাতিল হাদীছ) ২০। ناصر الاحاديث النبوية (নাছিরুল আহাদীছিন্ নুবুবিয়্যাহ) ২১।ناصر الـموارث (নাছেরুল মাওয়ারিছ) ২২। استاذ الاساتذة (উস্তাজুল আসাতিজা) ২৩। الـحافظ الناقد (আল হাফিযুন্ নাক্বিদ) ২৪। شيخ الاسلام (শাইখুল ইসলাম) ২৫। جبل الـحفظ (জাবালুল হিফয) ২৬। امام الدنيا (ইমামুদ্ দুনিয়া) ২৭। امام الـمحدثين (ইমামুল মুহাদ্দিছীন) (বুখারী শরীফ-১/৩, উমদাতুল ক্বারী-১/২, জাওয়াহেরুল বুখারী, বুখারী শরহে কিরমানী, তানযীমুল আশতাত, আশয়াতুল লুময়াত-১/৯, তারীখুল কাবীর)
এই ২৭টি লক্বব ছাড়াও ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আরো বহু লক্বব মুবারক কিতাবে উল্লেখ আছে। কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় বর্ণনা সংক্ষিপ্ত করা হলো।
ক্বাদেরিয়া তরীক্বার প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম হযরত বড় পীর আব্দুল ক্বাদির জ্বিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লক্বব মুবারক
১। غوث الثقلين (গাউছুছ্ ছাক্বালাইন) ২। نـجيب الطرفين  (নাযীবুত্তরফাইন) ৩। قطب ربانى (কুতুবে রব্বানী) ৪। مـحبوب سبحانى  (মাহবুবে সুবহানী) ৫। غوث پاک (গাউছে পাক) ৬। امام اجل واكرم  (ইমামে আযাল ওয়া আকরাম) ৭। شيخ الـمشائخ (শাইখুল মাশাইখ) ৮। قدوة الاولياء (কুদওয়াতুল আউলিয়া) ৯। قطب الاقطاب  (কুতুবুল আক্বতাব) ১০। فرد الاحباب (ফরদুল আহবাব) ১১।  غوث الاعظم(গাউছুল আ’যম) ১২। حضور پور نور (হুযূরে পূর নূর) ১৩। سيد الافراد (সাইয়্যিদুল আফরাদ) ১৪। قطب الارشاد (কুতুবুল ইরশাদ) ১৫। مـحى الدين  (মুহিউদ্দীন) ১৬। سيد الناس (সাইয়্যিদুন্ নাস) ১৭। سيد سعادة القيام (সাইয়্যিদু সায়াদাতিল ক্বিয়াম) ১৮। سيد الاولياء العظام (সাইয়্যিদুল আউলিয়াইল ইযাম) ১৯।شيخ السماء والارض (শায়খুস্ সামাই ওয়াল র্আদ) ২০। نور الرحـمانى (নূরে রহমানী) ২১। شيخ الـجن والانس (শায়খুল জ্বিন্নে ওয়াল ইন্স) ২২। امام الطريقة (ইমামুত্ ত্বরীকত) ২৩।مـحى السنة (মুহিয়ুস্ সুন্নাত) ২৪। قامع البدعة (ক্বামিউল বিদ্য়াত) ২৫।  جامع الكملات (জামিউল কামালাত) ২৬।نائب رسول (নায়েবে রসূল) ২৭। پیران پیر (পীরানে পীর) ২৮। دستگیر (দস্তগীর) ২৯। আমি উম্মুক্ত তলোয়ার ৩০। আমি বিধ্বংসী কামান ৩১। আমার তীর লক্ষ্যস্থির ৩২। আমার বর্শা নির্ভুল ৩৩। আমার ঘোড়া জ্বীন বিহীন ৩৪। আমি আল্লাহ পাক উনার আগুনে বিদগ্ধ প্রেমিক ৩৫। আমি অতলান্তিক মহা সমুদ্র ৩৬। আমি যুগের নকীব ৩৭। আমি মুহিব্ব ৩৮। মাহ্বুবদের হাল আমার হাতের মুঠায় ৩৯। আমি আল্লাহ পাক উনার তরফ হতে মাহফুয ৪০। আমি উনার নেক নজর দ্বারা বেষ্টিত ৪১। আমার দৃষ্টি লাওহে মাহফুযের দিকে সনির্বদ্ধ ৪২। আমি ইল্মের সমুদ্র ৪৩। আমি আল্লাহ পাক উনার দীদারে মশগুল ৪৪। আমি তোমাদের সকলের চেয়ে আল্লাহ পাক উনার অধিক মাহ্বুব ৪৫। আমি নায়েবে রসূল ৪৬। আমিই উনার ওয়ারিছ ৪৭। আমি জ্বিন ইনসান ও ফেরেশ্তাদেরও পীর ৪৮। আমি পীরদেরও পীর ৪৯। আমার সৃষ্টি সকল সৃষ্টির ঊর্ধ্বে ৫০। আমি মানুষের জ্ঞান ও আক্বলের বাইরে  ৫১। আমি তাদেরই অন্তর্ভূক্ত যাদেরকে আল্লাহ পাক তিনিই চিনেন। (আশয়াতুল লুময়াত-১/১৭, ফায়সালায়ে হাফতে মাসায়েল, সাইয়ি্যুদুল আউলিয়া, আখবারুল আখইয়ার)
এই ৫১টি লক্বব মুবারক ছাড়াও বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আরো বহু লক্বব মুবারক কিতাবে উল্লেখ আছে। কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় বর্ণনা সংক্ষিপ্ত করা হলো।
চিশতীয়া তরীক্বার প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লক্বব মুবারক
১। امام الشريعة والطريقة (ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত) ২।سلطان الهند (সুলতানুল হিন্দ) ৩। عطاء رسول (আতায়ে রসূল) ৪। خواجہ اجمیری  (খাঁজায়ে আজমীর) ৫। خواجہ بزرگ (খাঁজায়ে বুযুর্গ) ৬। هند الولى (হিন্দুল ওলী) ৭। غريب نواج (গরীবে নিওয়াজ) ৮। نائب رسول  فى الهند (নায়েবে রসূল ফিল হিন্দ) ৯। تاج المقربين والمحققين (তাজুল মুর্কারেবীন ওয়াল মুহাক্কিক্বীন) ১০। سيد العابدين (সাইয়্যিদুল আবেদীন) ১১।تاج العاشقين (তাজুল আশেক্বীন) ১২। برهان الواسلين (বুরহানুল ওয়াছেলীন) ১৩। افتاب جھاں (আফতাবে জাহাঁ) ১৪। پناہ بیکساں (পানাহে বেকাসাঁ) ১৫।دليل العارفين (দলীলুল আরেফীন) ১৬। مـخزن الـمعرفة (মাখযানুল মা’রিফত) ১৭। قدوة الاولياء (কুদওয়াতুল আউলিয়া) ১৮। سلطان العارفين (সুলতানুল আরেফীন) ১৯। كتب دوران (কুতুবে দাওরান) ২০।قطب الـمشائخ البر والبحر (কুতুবুল মাশায়খুল বাররে ওয়াল বাহর) ২১। معين الملة (মুঈনুল মিল্লাত) ২২। وارث الانبياء والـمرسلين (ওয়ারিছুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন) ২৩। مقتدى ارباب دين (মুক্তাদিয়ে আরবাবে দ্বীন) ২৪। پشواے٫ ارباب یقین (পেশওয়ায়ে আরবাবে ইয়াক্বীন) ২৫। صاحب الاسرار (ছাহিবুল আসরার) ২৬। مهبة الانوار (মাহ্বাতুল আনওয়ার) ২৭। برهان الاصفياء (বোরহানুল আছফিয়া) ২৮। عالـم علم الظاهر والباطن (আলিমু ইলমিয যাহির ওয়াল বাতিন) ২৯।  قدوة السالكين (কুদওয়াতুস্ সালিক্বীন) ৩০। اقف رموز صورى ومعنوى (ওয়াকেফু রুমুজে ছুয়ারী ও মা’নবী) ৩১। معين الـحق (মুঈনুল হক) ৩২। مـحب اولياء زمان (মুহিব্বে আউলিয়ায়ে যামান) ৩৩। كاملين  راه نـماء(রাহ্নুমায়ে কামিলীন) ৩৪। حبيب الله (হাবীবুল্লাহ্) ৩৫। مـحى السنة (মুহিয়্যুস্ সুন্নাহ্) ৩৬। قطب الهند والـمشائخ (কুতুবুল হিন্দ ওয়াল মাশায়িখ) ৩৭। اجـميرى سنجرى (আজমেরী সাঞ্জেরী) ৩৮। الـحسنى والـحسينى والقريشى (আল হাছানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী) ৩৯। قطب بر البحر (কুতুবে বাররুল বাহর) ৪০। اشرف الاولياء  (আশরাফুল আউলিয়া) ৪১। نور چشم عارفین (নূরে চশ্মে আরিফীন) ৪২। شمع چییشتیہ (শাময়ে চীশ্তীয়া) ৪৩। روشن جمير (রৌশন জামীর) ৪৪। غوث صمدانى (গাউছে ছামদানী) ৪৫।  برهان العاشقين  (বুরহানুল আশেক্বীন) ৪৬। صدر الاولياء (ছদরুল আউলিয়া) ৪৭। مشكوة المحبين (মিশকাতুল মুহিব্বীন) ৪৮। لـمع رسالة ماب (লুম্মায়ে রেসালতে মাআব) ৪৯। اولاد صاحب لولاك (আওলাদে ছহেবে লাওলাক) ৫০। خليفهء سلطان لتنهر (খলীফায়ে সুলত্বানে লাতানহার) ৫১।نقيب اصفياء (নকীবে আছফিয়া) ৫২। صاحب كن فيكون (ছাহেবে কুন ফায়াকুন) ৫৩। صاحب اسم اعظم (ছাহেবে ইসমে আ’যম) ৫৪। صاحب نذر كمية  (ছাহেবে নজরে কিমিয়্যা) ৫৫। بحر عرفان (বাহ্রে ইরফান) ৫৬।كاشف رموج حبيب الهى (কাশেফে রুমুজে হাবীবে ইলাহি) ৫৭। صاحب وحدة الوجود (ছাহেবে ওয়াহ্দাতুল অজুদ) ৫৮। امام الموحدين (ইমামুল মুয়াহ্হেদীন) ৫৯। اهل تصرف (আহ্লে তাছাররূফ) ৬০। اهل سماء (আহ্লে সামা) ৬১। نقطع عشق وعلوم  (নুকতায়ে ইশক্ব ও উলূম)  ৬২। الانسان الكامل (আল ইন্সানুল কামিল) ৬৩।  قبله كعبىء  (ক্বিবলায়ে কাবাঈ) ৬৪।  محترمى  (মুহতারামী) ৬৫। معظمى (মুয়াজ্জমী) ৬৬। معين الحق والدين  (মুঈনুল হক্ব ওয়াদ্দীন) ৬৭। سراج السالكين (সিরাজুস ্সালেকীন) ৬৮। موادل مشتاكين (মুয়াদুল মুশতাকীন) ৬৯। شمس العارفين (শামসুল আরিফীন) ৭০। سلطان الاولياء (সুলতানুল আউলিয়া) ৭১। خواجہ خواجگان (খাজায়ে খাজেগাঁ) ৭২। قطب ربانى  (কুতুবে রব্বানী) ৭৩। محبوب سبحانى (মাহবুবে সুবহানী) ৭৪। پیران پیر (পীরানে পীর) ৭৫। بادشاه هند (বাদশাহে হিন্দ) ৭৬। چراگ چیشتیہ (চেরাগে চীশ্তীয়া) ৭৭। ولى كامل (ওলীয়ে কামিল) ৭৮। وارث الانبياء (ওয়ারিছুল আম্বিয়া) ৭৯। ال رسول (আলে রসূল) ৮০। আউলিয়া সম্রাট ৮১।    ইলমে শরীয়ত, ত্বরীকত, মারিফত ও হাক্বীকতের প্রভাকর ৮২। এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ও সর্বাধিক সংখ্যক বিধর্মীদেরকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা দানকারী। (আনিসুল আরওয়াহ, দলীলুল আরেফীন, রাহাতুল মুহিব্বীন, মুঈনুল হিন্দ-১৮)
এই ৮২টি লক্বব মুবারক ছাড়াও খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আরো বহু লক্বব মুবারক কিতাবে উল্লেখ আছে। কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় বর্ণনায় সংক্ষিপ্ত করা হলো।
মুজাদ্দিদিয়া তরীক্বার প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম হযরত ইমাম শায়খ আহমদ ফারুক্বী সিরহিন্দী মুজদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লক্বব মুবারক
১। امام الشريعة والطريقة  (ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত) ২। امام ربانى  (ইমামে রব্বানী) ৩। محبوب سبحانى (মাহবুবে সুব্হানী) ৪।محبوب صمدانى  (মাহবুবে ছামদানী) ৫। قطب العالم (কুতুবুল আলম) ৬।مجتهد فى جامع العلوم (মুজতাহিদ ফি জামিয়িল উলুম) ৭। مصلحا بين الفئتين  (মুসলিহাম বাইনাল ফিআতাইন) ৮।  صلاح امة (ছেলাহে উম্মত) ৯।  نور عظيم  (নূরূন আযীম) ১০।  محى السنة (মুহিয়্যুস্ সুন্নাহ্) ১১। ماحى البدعة (মাহিয়ুল বিদ্য়াত) ১২। امام الاولياء (ইমামুল আউলিয়া) ১৩। جامع القطبين  (জামিয়ুল কুতুবাইন) ১৪। قيوم اول (ক্বাইউমে আউয়াল) ১৫।  قطب الارشاد  (কুতুবুল ইরশাদ) ১৬।  سراج الامة (সিরাজুল উম্মত) ১৭। خزينة الرحمة  (খাজীনাতুর রহমত) ১৮। زبدة المقربين  (জুবদাতুল মুকাররিবীন)  ১৯। قطب الاقطاب (কুতুবুল আক্বতাব) ২০।  فضيلة ماب  (ফযীলাতে মায়াব) ২১।مظهر تجليات الهى (মুযহারে তাজ্জালিয়াতে ইলাহী) ২২। بدر الدين (বদ্রুদ্দীন) ২৩। افضل الاولياء  (আফযালুল আউলিয়া) ২৪।  مجدد الف ثانى  (মুজাদ্দিদে আল্ফে ছানী)। (সীরাতে মুজাদ্দিদে আল্ফে ছানী/মাকতুবাত শরীফ/রওযাতুল কাইয়্যূমিয়াত)
এই ২৪টি লক্বব মুবারক ছাড়াও মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আরো বহু লক্বব মুবারক কিতাবে উল্লেখ আছে। কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় বর্ণনা সংক্ষিপ্ত করা হলো।
লক্বব বিরোধীদের গুরু ইমদাদুল ফতওয়া-এর
লিখক আশরাফ আলী থানবীর লক্বব
১।  حكيم الامة (হাকীমুল উম্মাত) ২।  الامام الفقهية(আল-ইমামুল ফিক্বহিয়্যাহ্) ৩।الامام الداعية الكبير  (আল-ইমামুদ দায়িয়াতিল কাবীর) ৪।   مجدد الملة (মুজাদ্দিদুল মিল্লাত) ৫।  سند علماء الدهر (সনদু উলামাইদ্ দাহর) ৬।شيخ مشائخ العصر  (শাইখু মাশাইখিল আছর) ৭। مسند الوقت (মাছনাদুল ওয়াক্ত) ৮। اعظم المفسرين (আ’যমুল মুফাস্সিরীন) ৯।  سلطان العلم والعمل (সুলতানুল ইলমে ওয়াল আমল) ১০। امير المؤمنين فى التفسير والحديث والفقه (আমীরুল মু’মিনীন ফিত্ তাফসীর ওয়াল হাদীছ ওয়াল ফিক্বাহ) ১১।  مقدم علماء الراسخين (মুক্বাদ্দামু উলামাইর রাসিখীন) ১২।  اشرف العلماء والاولياء الكاملين (আশরাফুল উলামাই ওয়াল আউলিয়াইল কামিলীন) ১৩।  الشيخ العلام  (আশ্ শাইখুল আল্লাম)  ১৪।  المفتى (আল-মুফতী) ১৫।  الامام الهمام  (আল্ ইমামুল হুমাম) ১৬।  مقدام العلماء الكرام  (মিক্বদামুল উলামাইল কিরাম) ১৭।  بهجة الانام  (বাহজাতুল আনাম) ১৮।  شيخ الاسلام  (শাইখুল ইসলাম) ১৯।  حكيم الامة المحمدية  (হাকীমুল উম্মাতিল্ মুহম্মদিয়া) ২০।  مجدد الملة الاسلامية الحنفية  (মুজাদ্দিদুল মিল্লাতিল ইসলামিয়াতিল হানাফিয়াহ্) ২১।  تاج الـملة  (তাজুল মিল্লাত)  ২২।  سراج الامة  (সিরাজুল উম্মাত)  ২৩।  التقى النقى  (আত্ তাক্বিউন নাক্বী)  ২৪। المحدث  (আল মুহাদ্দিছ) ২৫।  المفسر  (আল-মুফাস্সির) ২৬।  الفقية الولى  (আল-ফাক্বীহুল ওলী) ২৭।  الحافظ الثقة  (আল-হাফিযুছ ছেক্বাহ্) ২৮।  الثبت الحجة  (আছছাবতুল হুজ্জাহ্) ২৯। قطب دوران (কুতুবে দাওরান) ৩০। پیر مرشد (পীর মুরশীদ) ৩১। امام العصر  (ইমামুল আছর) ৩২। قطب الارشاد  (কুতুবুল ইরশাদ) ৩৩। العلامة الاوحد (আল্ আল্লামাতুল আওহাদ)  ৩৪।  الحبر المفرد  (আল হিবরুল মুফরাদ) ৩৫।  شيخ المشائخ فى البلاد الهندية (শাইখুল মাশায়িখ ফিল বালাদিল হিন্দিয়াহ্) ৩৬। المحدث الكبير  (আল মুহাদ্দিছুল কাবীর) ৩৭। الجهبذ الناقد البصير  (আজ জিহবাজুন নাক্বিদুল বাছীর) ৩৮। سلطان العلماء فى زمانه  (সুলতানুল উলামা ফি যামানিহী) ৩৯। صاحب ايات  (ছহেবু আয়াতিন) ৪০। مجدد ملة الاسلامية (মুজাদ্দিদু মিল্লাতিল ইসলামিয়্যাহ) ৪১। اشرف الاولياء الكاملين (আশরাফুল আউলিয়াইল কামিলীন) ৪২।  حجهت فى زمانه  (হুজ্জাতুন ফি যামানিহী) ৪৩। رأس اهل البر والتقى  (রা’সু আহলিল বিররে ওয়াত্ তাক্বী) ৪৪।  رئيس اهل المجد والنهى (রঈসু আহলিল মাজদি ওয়াননাহী) ৪৫। الماحى لرسم الضلال والغواية  (আল মাহী লিরসমীদ দালাল ওয়াল গাওয়াইয়াহ) ৪৬। المجدد لرسم الرشد والهداية (আল্ মুজাদ্দিদু লিরসমির রুশদী ওয়াল হেদায়াহ) ৪৭। قدوة السالكين  (কুদওয়াতুছ্ ছালেকীন) ৪৮। زبدة العارفين (জুবদাতুল আরিফীন) ৪৯।  تاج الملة  (তাজুল মিল্লাত) ৫০।  سراج الامة  (সিরাজুল উম্মাত) ৫১।  حضرة الشيخ (হাযরাতুশ শায়খ) ৫২। الحافظ (হাফিয) ৫৩।  الحاجى  (হাজী) ৫৪।  القارى الستة  (ক্বারিউস সিত্তাতে)  ৫৫। فقيه زمانه  (ফক্বীহে যামানাহ্)  ৫৬। مفسر دوران  (মুফাস্সিরে দাওরান) ৫৭।  صاحب الشرعية والطريقة (ছাহেবুশ শারইয়াহ্ ওয়াত্ তরীক্বাহ) ৫৮। مقدام العاشقين (মিকদামুল আশিক্বীন) ৫৯। غزالى دوران (গাজালীয়ে দাওরান) ৬০। رئيس المفسرين  (রঈসুল মাফাসসিরীন) ৬১।  تاج المحدثين  (তাজুল মুহাদ্দেসীন) (আহ্কামুল কোরআন লি জাফর আহমদ ওসমানী -১/২, মোকাদ্দমায়ে ইলাউসসুনান-১১, এমদাদুল আহকাম, তাবলীগে দ্বীন, বজলুল মাজহুদ শরহে আবূ দাঊদ, এমদাদুল ফতওয়া-১ম জিঃ, আত তামবিহুত ত্ববারী)
এছাড়াও “মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া” কিতাবের মুক্বাদ্দমায় উয়ালামায়ে দেওবন্দের অনেকের নামের পূর্বে অসংখ্য লক্বব ব্যবহৃত হয়েছে।
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, উম্মতের বড় বড় অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরামগণ উনাদের অসংখ্যা লক্বব মুবারক ছিলো এবং রয়েছে।
এমনকি কাযযাবুদ্দীনের গুরু থানবীর প্রায় ৬১টিরও বেশি লক্বব রয়েছে। এটা কাযযাবুদ্দীন নিজেও তার উক্ত ভ্রান্ত পুস্তিকায় স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। যেমন, সে লিখেছে, “ ……… মাওলানা আশরাফ আলী থানবী লক্বব ছিল প্রায় ৬১ টি। …….. বিভিন্ন জন তাদের প্রশংসায় যেসব শব্দাবলী ব্যবহার করেছেন তা গণনা করলে হয়তবা এ রকম সংখ্যা দেখানো যাবে।” তবে এক্ষেত্রে কাযযাবুদ্দীন আবারও জিহালতী ও গোমরাহীর পরিচয় দিয়েছে এবং সাধারণ লোকদেরকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে একটি মিথ্যা তথ্য সংযুক্ত করেছে। সে লিখেছে,  “….. তারা নিজেদের নামের সাথে জুড়ে দেননি। তদুপরি তারা ….. খেতাবের বহর জুড়ে দেয়াকে সুন্নত মনে করেননি।” কে নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দিয়েছে আর কাকে অন্যজন দিয়েছে, সেটা প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হচ্ছে নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দেয়া। অর্থাৎ নিজের লক্বব নিজে প্রকাশ করা জায়িয় না নাজায়িয?  কাযযাবুদ্দীন এ ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট ফায়সালা দিতে পারেনি। সে যদি মনে করে যে “নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দেয়া জায়িয।” তবে তার উক্ত বক্তব্য অবান্তর ও অযৌক্তিক বলে প্রমাণিত হয়। আর যদি সে নাজায়িয মনে করে, তবে তাকে দলীল দিতে হবে যে, কুরআন শরীফ শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর কোথায় উল্লেখ আছে যে, নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দেয়া নাজায়িয? মূলতঃ শরীয়তের সঠিক ও দলীল ভিত্তিক ফতওয়া হলো, “নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দেয়াকে নাজায়িয বলা কাট্টা কুফরী।” কারণ স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই নিজের সাথে বহু লক্বব মুবারক সংযুক্ত করেছেন। হাদীছ শরীফ-এ তার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যেমন হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন,
عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال جلس ناس من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فخرج حتى اذا دنا منهم سمعهم يتذاكرون قال بعضهم ان الله اتخذ ابراهيم خليلا وقال اخر موسى كلمه تكليما وقال اخر فعيسى كلمة الله وروحه وقال اخر ادم اصطفاه الله فخرج عليهم رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال قد سمعت كلامكم وعجبكم ان ابرهيم خليل الله وهو كذلك وموسى نجى الله وهو كذلك وعيسى روحه وكلمته وهو كذلك وادم اصطفاه الله وهو كذلك الا وانا حبيب الله ولا فخر وانا حامل لواء الحمد يوم القيمة تحته ادم فمن دونه ولا فخر وانا اول شافع و اول مشفع يوم القيمة ولا فخر وانا اول من يحرك حلق الجنة فيفتح الله لى فيدخلنيها ومعى فقراء الـمؤمنين ولا فخر وانا اكرم الاولين والاخرين على الله ولا فخر. وفى رواية عن حضرت جابر رضى الله تعالى عنه ان النبى صلى الله عليه وسلم قال انا قائد الـمرسلين ولا فخر وانا خاتم النبين ولا فخر
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এক স্থানে বসে (অতীতের নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে) আলোচনা করছিলেন। এ সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের নিকটবর্তী স্থানে পৌঁছে (আড়াল থেকে) উনাদের কথাবার্তা-আলোচনাগুলি শুনলেন। উনাদের একজন বললেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আরেকজন বললেন, হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এমন ছিলেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। অপর একজন বললেন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন কালীমুল্লাহ ও রূহুল্লাহ এবং আরেকজন বললেন, হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ছফীউল্লাহ বানিয়েছেন অর্থাৎ উনাকে কুদরতী হাত মুবারক-এ সৃষ্টি করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে বললেন: আমি আপনাদের কথাবার্তা-আলোচনা শুনেছি এবং আপনারা যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তাও আমি জেনেছি। নিশ্চয়ই হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি যে খলীলুল্লাহ ছিলেন ইহা সত্যই। হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যে সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা বলেছেন ইহাও সত্য কথা। হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি যে রূহুল্লাহ ও কালীমুল্লাহ ছিলেন ইহাও সত্য। এবং হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি যে মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত ছিলেন অর্থাৎ উনাকে কুদরতী হাত মুবারক-এ সৃষ্টি করেছেন ইহাও সম্পূর্ণ সত্য।
তবে সাবধান! আমার সম্পর্কে আপনারা জেনে রাখুন, আমি হলাম মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব। এতে আমার কোনো ফখর নেই। ক্বিয়ামতের দিন প্রশংসার পতাকা আমার হাত মুবারক-এ থাকবে আর উক্ত পতাকার নিচে হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনিসহ অন্যান্য সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা অবস্থান করবেন। এতেও আমার কোনো ফখর নেই। ক্বিয়ামতের দিন আমিই হবো সর্বপ্রথম শাফায়াতকারী এবং সর্বপ্রথম আমার সুপারিশই কবুল করা হবে। এতে আমার কোনো ফখর নেই। এছাড়া আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজায় কড়া নাড়া দিবো, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার জন্য তা খুলে দিবেন এবং আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর আমার সাথে থাকবেন কতিপয় গরিব মু’মিন-মুসলমান। এতে আমার কোনো ফখর নেই। সর্বোপরি আমিই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের চেয়ে সম্মানিত। এতেও আমার কোনো ফখর নেই।”
অপর এক রিওয়াতে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “ক্বিয়ামতের দিন আমিই হবো সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্বায়িদ (পরিচালক)। এতেও আমার কোনো ফখর নেই এবং আমিই নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের আগমনের সিলসিলা সমাপ্তকারী। এতেও আমার কোনো ফখর নেই।”(দারিমী, মিশকাত)
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, নিজ নামের সাথে লক্বব ব্যবহার করা শুধু জায়িয নয় বরং খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিগণ উনাদেরকে বিভিন্নজন লক্বব দান করেছেন। এটা যেরূপ সত্য, উনারা নিজেরা নিজেদের লক্বব প্রকাশ করেছেন এটাও তদ্রুপ সত্য। পূর্ববর্তী আউলিয়ায়ে কিরামগণ উনাদের জীবনী মুবারক ও কিতাবাদি সমূহে এর বহু প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে। যেমন প্রখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত সীরাতগ্রন্থ “আখবারুল আখইয়ার” কিতাবে গাউছূল আ’যম বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে লিখেন, গাউছূল আ’যম বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজেই নিজের লক্বব মুবারক প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, “আমি উম্মুক্ত তলোয়ার, আমি বিধ্বংসী কামান, আমার তীর লক্ষ্যভেদকারী, আমার বর্শা নির্ভুল, আমার ঘোড়া জ্বীন বিহীন, আমি মাহন আল্লাহ পাক উনার আগুনে বিদগ্ধ প্রেমিক, আমি অতলান্তিক মহা সমুদ্র, আমি যুগের নকীব, আমি মুহিব্ব, মাহ্বুবদের হাল আমার হাতের মুঠোয়, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ হতে মাহফুয, আমি উনার নেক নজর দ্বারা বেষ্টিত, আমার দৃষ্টি লাওহে মাহফুযের দিকে নিবদ্ধ, আমি ইল্মের সমুদ্র, আমি আল্লাহ পাক উনার দীদারে মশগুল, আমি তোমাদের সকলের চেয়ে আল্লাহ পাক উনার অধিক মাহ্বুব, আমি নায়েবে রসূল, আমিই উনার ওয়ারিছ, আমি জ্বিন, ইনসান ও ফেরেশ্তাদেরও পীর, আমি পীরদেরও পীর, আমার সৃষ্টি সকল সৃষ্টির ঊর্ধ্বে, আমি মানুষের জ্ঞান ও আক্বলের বাইরে, আমি তাদেরই অন্তর্ভুক্ত, যাঁদেরকে কেবল মহান আল্লাহ পাক তিনিই চিনেন।” কাযযাবুদ্দীন লিখেছে, “উনারা খেতাবের বহর জুড়ে দেয়াকে সুন্নত মনে করেননি।” কাযযাবুদ্দীনের উক্ত জিহালতপূর্ণ বক্তব্যের জবাবে প্রথমতঃ বলতে হয় যে, কে সুন্নত মনে করলো, আর কে করলোনা সেটা মুল বিষয় নয়। কারণ কারো কিছু মনে করার সাথে ‘সুন্নত’-এর কোন সম্পর্ক নেই। সুন্নত-এর সম্পর্ক হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বওল, ফে’ল ও তাকরীর মুবারকের সাথে। উনার ক্বওল, ফে’ল ও তাকরীর মুবারক দ্বারা যেটা প্রমাণিত হবে সেটাই সুন্নত। আর তার খিলাফ হলে তা সুন্নত নয়। যেহেতু ক্বওল, ফে’ল ও তাকরীর মুবারকের দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে, তিনি নিজে নিজের লক্বব মুবারক প্রকাশ করেছেন। তাই এটা সুন্নত। কেউ মনে করুক আর না করুক। অথবা মানুক আর নাই মানুক। আমরা এটাকে সুন্নত মনে করি। কাযযাবুদ্দীন যদি এটাকে সুন্নতের খিলাফ প্রমাণ করতে চায়, তবে তাকে কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ থেকে দলীল পেশ করতে হবে। দ্বিতীয়তঃ বলতে হয় যে, কাযযাবুদ্দীন যে ঢালাও ভাবে বলল, “তারা …….. সুন্নত মনে করেননি।” সে কি উনাদের সকলের মনের ভেতর প্রবেশ করেছিল? অথবা সে কি মানুষের মনের বা অন্তরের খবর জানার দাবি করে? যদি সে এরূপ দাবি করে তবে তো সে আল্লাহ দাবি করলো। নাঊযুবিল্লাহ! “উনারা সুন্নত মনে করেননি”-এ কথার কোন দলীল কাযযাবুদ্দীন দিতে পারবে কি? বিষয়টিকে যদিও কেউ কেউ সুন্নত বলে কিতাবে উল্লেখ করেননি, কিন্তু সুন্নত নয় বা সুন্নতের খিলাফ অথবা আমি সুন্নত মনে করিনা এ ধরনের কোন বক্তব্য কোন কিতাব থেকে কাযযাবুদ্দীন দেখাতে পারবে কি? কস্মিনকালেও সে তা পারবেনা।  তাহলে কি করে বলা যেতে পারে যে, “উনারা সুন্নত মনে করেননি।” তবে হ্যাঁ, কেউ যদি লক্বব ব্যবহারকে অপছন্দ করে থাকে তবে সেটা তার নিতান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। সে কেন অপছন্দ করেছে সেটা আগে জানতে হবে। সে অজ্ঞতার কারণে অপছন্দ করলো, না অন্য কোন কারণে। সেটা না জানা পর্যন্ত তার ব্যপারে কোন ফায়সালা দেয়া যাবে না। তবে এ ফায়সালা দেয়া যায় যে, কারো মনে করা বা না করার সাথে যেরূপ সুন্নতের কোন সম্পর্ক নেই, তদ্রুপ কারো পছন্দ-অপছন্দের সাথেও সুন্নতের কোন সম্পর্ক নেই।  সুন্নতের সম্পর্ক হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বওল,  ফে’ল ও তাকরীর মুবারকের সাথে। ক্বওল, ফে’ল ও তাকরীর মুবারক দ্বারা যেটা ‘সুন্নত’ প্রমাণিত সেটাকে মহান আল্লাহ পাক না করুন, পৃথিবীর সমস্ত মানুষও যদি সুন্নত মনে না করে তবু আমরা সেটাকে সুন্নত মনে করি, আর পৃথিবীর সমস্ত মানুষও যদি সেটাকে অপছন্দ করে তবু আমরা সেটাকে পছন্দ করি। কারণ আমরা জানি সুন্নতকে সুন্নত মনে না করা এবং সুন্নতকে অপছন্দ করা কুফরী। কাজেই কাযযাবুদ্দীন যে আবলতাবল জারিজুরি মেরে জনগণকে ধোঁকা দিবে, তা সে কখনো পারবেনা। কারণ জনগণ কাযযাবুদ্দীনের মতো এতটা আশাদ্দুদ্দরজার জাহিল নয়। সর্বশেষে বলতে চাই, কাযযাবুদ্দীন যে এত জারিজুরি প্রকাশ করছে যে, “তারা নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দেননি” অথচ কাযযাবুদ্দীন নিজেই তো নিজের নামে লক্বব জুড়ে দিয়েছে। তার প্রমাণ তার ভ্রান্ত পুস্তিকা “….. ভ্রান্ত মতবাদ” সে উক্ত পুস্তিকার একেবারে শুরুতেই তার নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দিয়েছে। যেমন, মাওলানা, হাফিয, মুহাদ্দিছ, ইমাম, খতীব, ইসলামী গবেষক, আহকামে জিন্দেগীর মুছান্নিফ, গবেষক, লিখক ইত্যাদি। তার মনে রাখা দরকার যে, “পরের জন্য কুয়ো খুঁড়লে সে কুয়োয় নিজেকেই পরতে হয়।” কাযযাবুদ্দীন হয়তো নিজের খোড়া কুয়ো থেকে বেড়িয়ে আসার জন্যে সর্বশেষ অস্ত্র ব্যবহার করবে এই বলে যে, ‘দু’, চার, পাঁচটা জুড়ে দিলে কোন অসুবিধা নেই। আমি তো বলেছি, “লক্ববের বহরের কথা।”
বেতাল কাযযাবুদ্দীন আসলেই তাল হারিয়ে ফেলেছে। দু’, চার, পাঁচটা লক্বব জুড়ে দিলে অসুবিধা নেই। ৫০/৬০ জুড়ে দিলে অসুবিধা আছে। তার এ দাবির পিছনে কি দলীল আছে? বাহাছে জনগণের সামনে সে এটা প্রমাণ করতে পারবে তো? তাই কাযযাবুদ্দীনের প্রতি উপদেশ রইল, প্রথমে যেন ইলম্ হাছিল করে, তারপর ফতওয়া দেয়। নিজেই নিজের নামে লক্বব জুড়ে দিয়ে আবার ফতওয়াবাজী করছে যে, কেউ নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দেয়নি। মিথ্যাবাদী প্রতারক।  লক্বব সম্পর্কিত আলোচনা আর দীর্ঘ না করে মিথ্যাবাদী প্রতারক কাযযাবুদ্দীনকে দু’একটি প্রশ্ন করেই এ সম্পকির্ত লিখা খতম করছি। কাযযাবুদ্দীনের নিকট প্রশ্ন- ১। কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ -এর দৃষ্টিতে নিজের নামে নিজে লক্বব জুড়ে দেয়া জায়িয না নাজায়িয? ২। নাজায়িয হলে কোন আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর দৃষ্টিতে তা নাজায়িয এবং কেন? ৩। জায়িয হলে কয়টা পর্যন্ত জুড়ে দেয়া জায়িয? দু’চারটা, পাঁচটা না ৫০টা অথবা ১০০টা? অর্থাৎ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ এর কোথাও কি লক্বব জুড়ে দেয়ার সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে? অতএব, কাযযাবুদ্দীনকে উল্লিখিত প্রশ্নগুলোর জবাব কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর দলীলের দ্বারা অবশ্যই দিতে হবে। নচেৎ জনগণই তাকে লাঞ্ছিত করে দেশ ছাড়া করবে।

No comments:

Post a Comment