Monday, February 1, 2016

বাইয়াত এর ব্যাখ্যা ও গুরুত্ব


সুরা তওবার ১১১ নং আয়াতে আল্লাহ পাক ঘোষনা করেছেন যে, "মুমিনের জান-মাল বেহেস্তের বিনিময়ে খরিদ করে নিয়েছেন।"

আর মালের মালিক যদি নিজ ইচ্ছায় মাল বিক্রয় না করে তবে তার মাল কেহ ক্রয় করতে পারে না। অর্থাৎ যে সকল মুমিন নিজ ইচ্ছায় জান-মাল বিক্রয় করতে ইচ্ছুক আল্লাহ তাদের কাছ থেকেই জান-মাল ক্রয় করতে ইচ্ছুক। আর যারাই জান-মাল বিক্রয় করবে তারাই সত্যিকারের মুমিন। যেহুত বেহেশত দুনিয়ার জীবনে পাওয়া সম্ভব নয় তাই বেহেশতের বিনিময়ে ক্রয় করা জান ও মাল আল্লাহ সাথে সাথে নিয়েও নেন না।

উপমা স্বরূপ বলা যায় আপনি হাট বা বাজার হতে মাল ক্রয় করলেন এই শর্তে যে, মাল বাড়ী পর্যন্ত পৌছে দিলেই মালেন মালিক বিনিময় মূল্য বুঝে পাবে।
তদ্রুপ মুমিন যখন তার জান-মাল আল্লাহর নিকট বিক্রয় করার শপথ দেয় তখন আল্লাহ মুমিনের জান-মাল এই শর্তে ক্রয় করে যে, তার বাকী জীবন আল্লাহর মর্জি মতো পথে পরিচালিত করবে। আর যে সকল মুমিন আল্লাহর মর্জি মত জীবন পরিচালনা করতে পারে তারাই মৃত্যুর পরপারে বেহেশত পেতে পারে অন্যথায় নয়।
তাই তো সাহাবায়ে কেরাম রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  এর নিকট বাইয়াত গ্রহণ করেছেন। আর রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়া হতে চলে যাওয়ার পর সাহাবয়ে কেরাম মুসলিম জামায়াতের আমীর হযরত আবূ বক্কর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর নিকট আবার বাইয়াত গ্রহণ করেন। এর ধারা বাহিকতায় সাহাবয়ে কেরাম খলিফাগণের নিকট বাইয়াত গ্রহণ করতেn
পরবর্তীতে সাহাবায়েকেরামদের মধ্যে বিশেষ করে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  এর হাত মোবারকে বায়াত গ্রহণ করে অসংখ্য ব্যক্তিবর্গ মুসলমান হিসেবে দাবিদার হয়েছেন। তাঁহাদেরকে তাবেয়ীন বলা হয়। এরকম অসংখ্য তাবেয়ীন এবং হযরত আওলাদে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু , হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু , হযরত ইমাম জয়নাল আবেদিন রহমতুল্লাহি আলাইহি , হযরত ইমাম বাকের রহমতুল্লাহি আলাইহি , হযরত ইমাম জাফর সাদেক রহমতুল্লাহি আলাইহি , হযরত ইমাম কাজেম রহমতুল্লাহি আলাইহি , হযরত ইমাম আলী রেজা রহমতুল্লাহি আলাইহি  সমেত অসংখ্য তাবেয়ীনদের হাতে বাইয়াত(মুরীদ) হওয়ার মাধ্যমেই সারা বিশ্বজাহানে ইসলাম প্রচার হয়েছে, প্রসার হয়েছে। 
যার ফলশ্রুতিতে আমরা বিশ্বনন্দিত মাজহাবের ইমাম হযরত আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি কে পেয়েছি। আওলাদে রাসূলদের পক্ষ হতে হযরত হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, 
হযরত জুনায়েদ বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি, 
হযরত আবু সায়ীদ মাখজুমি রহমতুল্লাহি আলাইহি, 
হযরত জুননুন মিছরি রহমতুল্লাহি আলাইহি  ,
পীরানে পীর দস্তগির হযরত গাউসুল আজম আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি , 
হযরত গাউসুল আজম খাজা মুইনুদ্দিন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি , 
হযরত ফরিদ উদ্দিন আকতার রহমতুল্লাহি আলাইহি, 
হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি , 
হযরত জালাল উদ্দিন রুমি রহমতুল্লাহি আলাইহি ,
হযরত শামস তাবরীজ রহমতুল্লাহি আলাইহি  , 
হযরত ফখরুদ্দিন রাজি রহমতুল্লাহি আলাইহি  ,
হযরত ইমাম জালাল উদ্দিন সূয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি ) , 
হযরত শাহ জালাল (রহমতুল্লাহি আলাইহি  , 
হযরত শাহ পরান রহমতুল্লাহি আলাইহি , 
হযরত শাহ মাগদুম রহমতুল্লাহি আলাইহি 
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি 
হযরত আমানত শাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি), 
হযরত বদর শাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি সমেত অসংখ্য আউলিয়ায়ে কামেলিন রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ ।
এরা প্রত্যেকেই ইসলাম কোরআন, হাদিস, ইজমা, কিয়াস, শরীয়ত, তরিকত , মারফত ও হাকিকতের মাধ্যমে এপৃথিবীতে ইসলাম প্রচার করেছেন। অতএব আপনারা (যারা অলি আউলিয়া, পীর মুর্শিদ অস্বীকারকারী) কি করে ঢালাও ভাবে পীর মুরিদকে অস্বীকার করে


No comments:

Post a Comment