Wednesday, December 11, 2019


ত্বহারাত বা পবিত্রতা অর্জনকারীর ফযীলত
১.পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক
২.পবিত্রতা ছাড়া সলাত কবুল হয় না।
৩.পবিত্রতা (উযূ) হলো সলাতের চাবি।
৪.যে ব্যক্তি উত্তমরূপে উযূ অর্থাৎ তাহারাত বা পবিত্রতা অর্জন করে, তার পূর্বেকার সকল গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হয়। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
৫. ক্বিয়ামাতের দিন উম্মাতে মুহম্মদীকে এমন অবস্থায় আহবান করা হবে যে, পূর্ণাঙ্গরূপে উযূ করার কারণে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল উজ্জ্বল থাকবে। উযুর প্রভাবে তাহাদের মুখমণ্ডল ও হাত-পায়ের উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে পড়বে। সুবহানাল্লাহ!   
৬. কোন মুসলিম বান্দা উযূর সময় যখন মুখমণ্ডল ধুয়ে ফেলে তখন তার চোখ দিয়ে অর্জিত গুনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যায়। যখন সে দুই হাত ধৌত করে তখন তার দুই হাতের স্পর্শের মাধ্যমে সব গুনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যায়। অতঃপর যখন সে তার পা দু’খানা ধৌত করে তখন তার দুই পা দিয়ে হাঁটার মাধ্যমে অর্জিত সব গুনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে ঝরে যায়, এভাবে সে যাবতীয় গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
৭.পবিত্রতা দ্বারা আল্লাহ পাক বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। সুবহানাল্লাহ!
৮.কোন মুসলিম যখন উত্তমরূপে উযূ করে একাগ্রচিত্তে মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে রুজু হয়ে দাঁড়িয়ে দুই রাক’আত সলাত আদায় করে তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়।  উত্তমরূপে উযূ করার পর যদি বলে : “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা ও রাসূল।” তাহলে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয় সে ইচ্ছে করলে এর যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। সুবহানাল্লাহ!
৯. উযূ করার পর যদি কোন বান্দা বলে-“সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবিহামাদিক আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইক্”- তার জন্য এটি একটি সাদা পাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়। অতঃপর তা সীল করে দেয়া হয় যা কিয়ামাতের দিন পর্যন্ত নষ্ট করা হয় না।” সুবহানাল্লাহ!
১০. কেউ যখন উত্তমরূপে উযূ করে সলাতের উদ্দেশ্যে বের হয়, তখন সে তার ডান পা উঠাতেই মহান আল্লাহ্ পাক তার জন্য একটি সাওয়াব লিখে দেন। এরপর বাম পা ফেলার সাথে সাথেই মহান আল্লাহ্ পাক তার একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
১১.উযূর সহিত রাত্রি যাপনকারীর সাথে  একজন ফিরিশতাও রাত্রি যাপন করেন। সে জাগ্রত হওয়ার আগ পর্যন্ত (বা জাগ্রত হলে) ঐ ফিরিশতা তার জন্য  মাগফিরাত কামনা করে। সুবহানাল্লাহ!

১২.কোন মুসলিম যদি পবিত্র অবস্থায় রাত্রি যাপন করে, অতঃপর রাতে উঠে আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ্ তাই দান করেন। সুবহানাল্লাহ!

১৩.উযূরসহিত রাত্রি যাপনকারীর যদি  মৃত্যু হয় তবে ইসলামের উপর মৃত্যু হবে। সুবহানাল্লাহ!


No comments:

Post a Comment